সূর্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সূর্য
সূর্য
'পর্যবেক্ষণলব্ধ উপাত্ত
পৃথিবী থেকে গড় দূরত্ব ১৪৯.৬×10<noinclude> কিমি (৯২.৯৫×10<noinclude> মা)
(আলোর গতিতে ৮.৩১ মিনিট)
দৃশ্যমান ঔজ্জ্বল্য (ভি) −২৬.৮m
পরম মান ৪.৮m
বর্ণালীভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস জি২ভি
কক্ক্ষীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ
আকাশগঙ্গার কেন্দ্র থেকে গড় দূরত্ব ~২.৫×10১৭<noinclude> কিমি
(২৬,০০০-২৮,০০০ আলোক বর্ষ)
ছায়াপথীয় পর্যায়কাল ২.২৫-২.৫০×10<noinclude> a
বেগ ২১৭ কিমি/সে ছায়াপথের কেন্দ্রের চতুর্দিকে কক্ষপথ, ২০ কিমি/সে নাক্ষত্রিক প্রতিবেশের অন্যান্য তারার সাপেক্ষে
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ
গড় ব্যাস ১.৩৯২×10<noinclude> কিমি (১০৯ পৃথিবী)
পরিধি ৪.৩৭৩×10<noinclude> কিমি
কমলাকৃতি 9×10−6<noinclude>
পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল ৬.০৯×10১৮<noinclude> মি² (১১,৯০০ পৃথিবী)
আয়তন ১.৪১×10২৭<noinclude> মি³ (১,৩০০,০০০ পৃথিবী)
ভর ১.৯৮৮ ৪৩৫×10৩০<noinclude> কেজি (৩৩২,৯৪৬ পৃথিবী)
ঘনত্ব ১,৪০৮ কেজি/মি³
পৃষ্ঠের অভিকর্ষ ২৭৩.৯৫ মি সে-২ (২৭.৯ g)
পৃষ্ঠ থেকে মুক্তি বেগ ৬১৭.৫৪ কিমি/সে (৫৫ পৃথিবী)
পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৫৭৮৫ K
করোনায় তাপমাত্রা ৫ MK
কেন্দ্রের তাপমাত্রা ~১৩.৬ MK
ঔজ্জ্বল্য (Lsol) ৩.৮২৭×10২৬<noinclude> W
~৩.৭৫×10২৮<noinclude> lm
(~98 lm/W ফলপ্রসূতা)
গড় তীব্রতা (Isol) ২.০০৯×10<noinclude> W m-২ sr-১
ঘূর্ণন বৈশিষ্ট্যসমূহ
ক্রান্তিকোণ ৭.২৫° (ভূকক্ষের সাথে)
৬৭.২৩° (ছায়াপথীয় তলের সাথে)
উত্তর মেরুর বিষুবাংশ[৩] ২৮৬.১৩°
(১৯ ঘ ৪ মিন ৩০ সে)
উত্তর মেরুর বিষুবলম্ব +৬৩.৮৭°
(৬৩°৫২' উত্তর)
বিষুবরেখার ঘূর্ণন কাল ২৫.৩৮ দিন
(২৫ দ ৯ ঘ ৭ মিন ১৩ সে)[৩]
বিষুবরেখায় বেগ ৭১৭৪ কিমি/ঘ
আলোক মণ্ডলীয় গঠন (ভর অনুসারে)
হাইড্রোজেন ৭৩.৪৬ %
হিলিয়াম ২৪.৮৫ %
অক্সিজেন ০.৭৭ %
কার্বন ০.২৯%
লোহা ০.১৬ %
নিয়ন ০.১২ %
নাইট্রোজেন ০.০৯ %
সিলিকন ০.০৭ %
ম্যাগনেসিয়াম ০.০৫ %
সালফার ০.০২ %


সূর্য ছায়াপথ নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থত একটি তারা। সূর্য ও তার মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রে আবদ্ধ গ্রহগ্রহাণুদের নিয়ে গঠিত সৌরজগত, যার তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে আমরা মানুষরা ও অন্যান্য জীবজন্তুরা বাস করি।

সূর্য নিজে ধীরে ধীরে ছায়াপথের কেন্দ্রে চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে। আবার সূর্যকে কেন্দ্র করে সৌরজগতের সকল গ্রহ এবং অন্যান্য বস্তু তথা গ্রহাণু, উল্কাণু, ধূমকেতু বা ধূলিকণা সদা সূর্যের চারিদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। সৌরজগতের শতকরা ৯৯ ভাগ ভরই সূর্য ধারণ করে। পৃথিবীর জীবমণ্ডলে সূর্যের আলোর শক্তি আহরণ করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চলে যা পৃথিবীর প্রাণশীল সকল বস্তুর জন্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। পৃথিবীর আবহাওয়া এবং জলবায়ুও সূর্য দ্বারা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয়।

সূর্যের লাতিন পরিভাষা হচ্ছে "Sol" সোল্‌ এবং প্রাচীন গ্রিক পরিভাষা হচ্ছে "ἥλιος" হ্যালিওস্‌। এই দুটি নামেও সূর্যকে মাঝেমধ্যে ডাকা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানজ্যোতিষ শাস্ত্রে সূর্যের প্রতীক হল একটি বৃত্তের ভিতরে একটি ()। সূর্যকেন্দ্রিকতা ধারণাটি প্রবতর্তিত হওয়ার পূর্বে প্রাচীন গ্রীক বিশেষজ্ঞগণ সূর্যকে আকাশে ঘূর্ণায়মান অন্যান্য বস্তুর সাথে শ্রেণীবদ্ধ একটি জ্যোতিষ্ক বা তারা হিসেবে অভিহিত করত।

[সম্পাদনা] সাধারণ আলোচনা

পৃথিবী থেকে তোলা সূর্যের ছবি।
পৃথিবী থেকে তোলা সূর্যের ছবি।

সূর্যের ভরের শতকরা ৭৪ ভাগই হাইড্রোজেন, বাকি অংশের মধ্যে ২৫% হিলিয়াম এবং এছাড়াও রয়েছে উচ্চ ভরসম্পন্ন কিছু বিরল মৌলিক পদার্থ। সূর্যের নাক্ষত্রিক শ্রেণীবিন্যাস অনুসারে এর শ্রেণী হচ্ছে জি২ভি (G2V)। "জি২" দ্বারা বোঝায় এর পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ৫,৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের চেয়ে বেশী  K দ্বারা বোঝায় এর বর্ণ সাদা, অবশ্য পৃথিবীর পরিবেশে বিচ্ছুরণের কারণে এর বর্ণ হলুদ দেখায়। এর বর্ণালী রেখা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় তাতে আয়নিত ও নিষ্ক্রীয় উভয় ধরণের ধাতুর বর্ণালী রয়েছে, এছাড়াও রয়েছে খুব দূর্বল হাইড্রোজেন রেখা। V-বর্ণটি দ্বারা বোঝায়, অন্যান্য অধিকাংশ তারার মতই সূর্য একটি প্রধান ধারার তারা। অর্থাৎ সূর্য তার প্রয়োজনীয় শক্তি হাইড্রোজেন কেন্দ্রীনকে কেন্দ্রীন সংযোজন প্রক্রিয়ায় হিলিয়াম কেন্দ্রীনে পরিণত করার মাধ্যমে উৎপাদন করে। এছাড়া প্রধান ধারার তারায় hydrostatic balance লক্ষ্য করা যায়, তথা এরা সম্প্রসারিত বা সংকুচিত হয়না। আমাদের ছায়াপথে ১০০ মিলিয়নেরও বেশী G2 শ্রেণীর তারা রয়েছে। সূর্যের সমগ্র আকারের লগারিদমভিত্তিক বিন্য্যাসের কারণে এই ছায়াপথের ৮৫% তারার চেয়ে এর উজ্জ্বলতা বেশী। অবশ্য আমাদের আকাশগঙ্গার অনেকগুলো তারাই লাল বামন পর্যায়ে রয়েছে।[১]

সূর্যের অবস্থান আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে "২৫,০০০ - ২৮,০০০ আলোক বর্ষ", আর এই দূরত্বে থেকেই এটি অবিরত ছায়াপথের কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করছে। একবার কেন্দ্রের চারদিক দিয়ে সমগ্র পথ ঘুরে আসতে সূর্যের সময় লাগে "২২৫ - ২৫০ মিলিয়ন বছর"। এর কক্ষপথীয় দ্রুতি ২১৭ কিমি/সে; এ থেকে দেখা যায় সূর্য ১,৪০০ বছরে এক আলোক বর্ষ দূরত্ব এবং ৮ দিনে এক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক (AU) দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।[২]

সূর্য একটি তৃতীয় প্রজন্মের তারা, কাছাকাছি কোন একটি অতি নব তারা থেকে উদ্ভূত অভিঘাত তরঙ্গ এর উৎপত্তিতে একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। পুরো সৌর জগতে স্বর্ণ বা ইউরেনিয়ামের মত ভারী মৌলসমূহের প্রাচুর্য লক্ষ্য করে চালিকাশক্তি হিসেবে এই ঘটনাটি প্রস্তাব করা হয়েছে। খুব সম্ভবত একটি অতি নব তারার বিবর্তনের সময় ক্রিয়াশীল endergonic কেন্দ্রীন বিক্রিয়া অথবা দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি বৃহৎ তারার অভ্যন্তরে নিউট্রন শোষণের ফলে উদ্ভূত ট্রান্সম্যুটেশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে এই মৌলসমূহ সৃষ্টি হয়েছে।

পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের সকল শক্তির মূল উৎস সূর্য। সৌর ধ্রুবক নামে একটি পদের ব্যবহারই এই উৎসের প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। সূর্যের দিকে সরাসরি মুখ করে থাকা পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রতি একক ক্ষেত্রফলের উপর সূর্য প্রদত্ত শক্তির পরিমাণকে সৌর ধ্রুবক বলে। এর আপাত মান হচ্ছে ১,৩৭০ ওয়াট/বর্গমিটার। এই মানটি সূর্য থেকে এক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক দূরত্বে অবস্থানকারী যে কোন বস্তুর পৃষ্ঠের জন্য প্রযোজ্য। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বকেই এক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দূরত্ব বলা হয়। পৃথিবীতে এতোটা শক্তি পৌঁছালেও তার পুরোটা পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছে না। যখন আবহাওয়া সম্পূর্ণ পরিষ্কার থাকে এবং সূর্য সর্বোচ্চ বিন্দুতে (zenith) থাকে তখন ভূ-পৃষ্ঠে সরাসরি পতিত সৌর শক্তির পরিমাণ হয় প্রায় ১,০০০ ওয়াট/বর্গমিটার। এই শক্তিকে কাজে লাগানোর অনেকগুলো প্রাকুতিক ও কৃত্রিম উপায় আছে। উদ্ভিদ এই শক্তি ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চালু রাখে যা থেকে প্রাপ্ত শক্তি তারা রাসায়নিক শক্তিতে (অক্সিজেন ও স্বল্প পরিমাণ কার্বন যৌগ) পরিণত করে। আবার কৃত্রিমভাবে সৌর শক্তির মাধ্যমে সরাসরি উত্তপ্ত করে বা সৌর কোষ জাতীয় বৈদ্যুতিক পরিবর্তক মাধ্যমে সৌর শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয় যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। পেট্রোলিয়াম সহ অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানীতে যে শক্তি নিহিত থাকে তা-ও উদ্ভিদ সৌর শক্তি থেকে লাভ করেছিল। সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত শক্তিই নানাভাবে পরিবর্তীত হয় এ ধরণের জ্বালানীর দাহিকাশক্তির যোগান দেয়।

সূর্যের আলোর কিছু চমৎকার জীববৈজ্ঞানিক ধর্মও রয়েছে। সৌর আলোর লুমেন ও ওয়াটের মধ্যে যে অনুপাত তা ভাল মানের প্রতিপ্রভ আলোর সাথে তুলনীয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় সূর্য যে আলো দেয় তা তার উত্তপ্ত করার ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রদত্ত এই আলোর পরিমাণ বিপুল। এ থেকেই গ্রীষ্মকালে গৃহাভ্যন্তরের আলোকসজ্জার জন্য সূর্যের আলোর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়। কারণ এটি যত না উত্তপ্ত করে তার চেয়ে বেশী আলোকিত করে, আর গ্রীষ্মকালে উত্তাপ কমানো প্রয়োজন। অবশ্য সূর্যের আলোও কিছু উত্তাপ ছড়ায়। কিন্তু বৈদ্যুতিক বাতি একদিকে বেশী উত্তাপ তো ছড়ায়ই, আবার বিদ্যুৎও ব্যবহার করে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির কিছু প্রতিষেধক গুণ রয়েছে যা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণে কাজে লাগে। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি তৈরী করে যা মানব শরীরের জন্য উপকারী।

[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র

  1. http://www.space.com/scienceastronomy/060130_mm_single_stars.html
  2. কার, এফ.জে., ডি. লিন্ডেন-বেল (১৯৮৬). "Review of galactic constants". রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক নোটিশ ২২১: ১০২৩-১০৩৮.
  • Thompson, M. J. (2004), Solar interior: Helioseismology and the Sun's interior, Astronomy & Geophysics, v. 45, p. 4.21-4.25
  • T. J. White; M. A. Mainster; P. W. Wilson; and J. H. Tips, Chorioretinal temperature increases from solar observation, Bulletin of Mathematical Biophysics 33, 1-17 (1971)

[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ

  সূর্য
চিত্র:Sun picture.png
গঠন: সূর্যের কেন্দ্র - বিকিরণ অঞ্চল - পরিচলন অঞ্চল
পরিবেশ - আলোকমণ্ডল - বর্ণমণ্ডল - অবস্থান্তর অঞ্চল - করোনা
বর্ধিত গঠন: সীমাস্থ অভিঘাত (Termination Shock) - Heliosphere - Heliopause - Heliosheath - Bow Shock
সৌর ঘটনা: সৌরকলঙ্ক - Facula - দানাসমূহ - Supergranulation - সৌর বায়ু - Spicules
Coronal loops - Solar Flares - Solar Prominences - Coronal Mass Ejections
মোরটন তরঙ্গ - Coronal Holes
অন্যান্য: সৌর জগৎ - Solar Variation - Solar Dynamo - Heliospheric Current Sheet - সৌর বিকিরণ - সূর্য গ্রহণ
সৌর জগৎ
সূর্য বুধ শুক্র চন্দ্র পৃথিবী মঙ্গলের উপগ্রহ মঙ্গল সেরেস গ্রহাণু বেষ্টনী বৃহস্পতি বৃহস্পতির উপগ্রহসমূহ শনি শনির উপগ্রহসমূহ ইউরেনাস ইউরেনাসের উপগ্রহসমূহ নেপচুনের উপগ্রহসমূহ নেপচুন প্লুটোর উপগ্রহসমূহ প্লুটো কুইপার বেষ্টনী ডিসনোমিয়া এরিস বিক্ষিপ্ত চাকতি উওর্ট মেঘ
সূর্য · বুধ · শুক্র · পৃথিবী · মঙ্গল · সেরেস · বৃহস্পতি · শনি · ইউরেনাস · নেপচুন · প্লুটো · এরিস
গ্রহসমূহ · বামন গ্রহসমূহ · প্রাকৃতিক উপগ্রহসমূহ: ভৌগলিক · মঙ্গলীয় · গ্রহাণু ধরণের · বৃহস্পতীয় · শনীয় · ইউরেনীয় · নেপচুনীয় · প্লুটোনীয় · এরিডীয়
ক্ষুদ্র বস্তুসমূহ:   উল্কাণু · গ্রহাণু (গ্রহাণু বেষ্টনী) · সেন্টাউরাস · টিএনও সমূহ (কুইপার বেষ্টনী/বিক্ষিপ্ত চাকতি) · ধূমকেতু (উওর্ট মেঘ)
আরও দেখুন: জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু, সৌর জগতের বস্তুসমূহের তালিকা, ব্যাসার্ধ্যের ভিত্তিতে তালিকা, ভরের ভিত্তিতে তালিকা, এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রবেশদ্বার
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন