পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ1
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, ভারতীয় উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ বিহার; ধর্মপাল এটি নির্মাণ করেন
স্টেট পার্টি Template:Flag
ধরণ সাংস্কৃতিক
মাপকাঠি i, ii, vi
পরিচয় নম্বর #৩২২
অঞ্চল এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয়
অভিলিখনের ইতিহাস
আনুষ্ঠানিক অভিলিখন: ১৯৮৫
নবম ডব্লিউএইচ কমিটি সেশন
ডব্লিউএইচ সংযোগ: http://whc.unesco.org/en/list/322

1 ডব্লিউএইচ তালিকায় নথিভুক্ত নাম
2 ইউনেস্কো কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদত্ত শ্রেণী

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানায় পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। পৃথিবীর বড় বৌদ্ধ বিহার গুলোর মধ্যে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার অন্যতম। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বৌদ্ধ স্থাপত্যের অন্যতম। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান (World Heritage Site) এর মর্যাদা দেয়।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] অবস্থান ও আয়তন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষটি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বাদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। অপর দিকে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে এর দূরত্ব পশ্চিমদিকে মাত্র ৫ কিমি। এর ভৌগলিক অবস্থান ২৫°০´ উত্তর থেকে ২৫°১৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫০´ পূর্ব থেকে ৮৯°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। গ্রামের মধ্যে প্রায় ০.১০ বর্গ কিলোমিটার (১০ হেক্টর) অঞ্চল জুড়ে এই পুরাকীর্তিটি অবস্থিত। এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি চতুর্ভূজ আকৃতির যার বাইরের অংশের প্রতিটি পার্শ্বের দৈর্ঘৈ ২৭৫ মিটার।[১] এটি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্লাবন সমভূমিতে অবস্থিত। বিস্তীর্ণ সমভূমির মধ্যে একটি সুউচ্চ (পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি থেকে প্রায় ২৪ মিটার উচুতে অবস্থিত) পাহাড় সদৃশ স্থাপনা হিসেবে এটি টিকে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন একে পাহাড় বলে ডাকতো। সেই থেকেই এর নাম হয়েছে পাহাড়পুর।

[সম্পাদনা] পাহাড়পুরের ইতিহাস

[সম্পাদনা] প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ইতিহাস

ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমনের পর তারা সকল স্থানে জরিপ কাজ চালানো শুরু করে। পূর্ব ভারতে জরিপ কাজ পরিচালনা করেন বুকানন হ্যামিল্টন যিনি ১৮০৭ থেকে ১৮১২ সালের মধ্যে কোন এক সময়ে পাহাড়পুর পরিদর্শন করেন। এটিই ছিল পাহাড়পুর প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক পরিদর্শন। এরপর এই প্রত্নস্থল পরিদর্শনে আসেন ওয়েস্টম্যাকট। ১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই ঐতিহাসিক স্থানটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর এই জমিটি ব্যাপক হানে খনন করার প্রতি তিনি আগ্রহ দেখান। কিন্তু জমির মালিক বলিহারের তদানীন্তন জমিদার তাকে এই কাজে বাঁধা দেয়। তাই তিনি বিহার এলাকার সামান্য অংশে এবং পুরাকীর্তির কেন্দ্রীয় ঢিবির শীর্ষভাগের সামান্য অংশে খনন কাজ চালিয়েই অব্যাহতি দেন। এই খননকার্যের সময় কেন্দ্রীয় ঢিবির অংশে চারপাশে উদ্‌গত অংশ বিশিষ্ট একটি বর্গাকার ইমারত আবিষ্কার করেন যার দৈর্ঘ্য ছিল ২২ ফুট।[২]

১৯১৯ সালে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯০৪ সালের পুরাকীর্তি আইনের আওতায় এই ঘোষণা দেয়া হয়। এর পরই মূলত এই প্রত্ন নিদর্শনের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এবং এর উদ্ধারকাজ বিশেষ গুরুত্বের সাথে শুরু হয়। ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ, বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এর ব্যাপকতর খননকাজ শুরু করে ১৯২৩ সালে। এটি প্রথম ব্যাপক আকারের খননকাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। এই কাজে প্রথমদতিকে আর্থিক সাহায্য করে দিঘাপতিয়ার জমিদার শরৎ কুমার রায় এবং এর নেতৃত্ব দেন ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের পশ্চিম অঞ্চলের প্রাক্তন সুপারিনটেনডেন্ট অধ্যাপক ডি. আর. ভাণ্ডারকর।

[সম্পাদনা] স্থাবর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ

[সম্পাদনা] কেন্দ্রীয় মন্দির

[সম্পাদনা] উন্মুক্ত অঙ্গন

[সম্পাদনা] কক্ষসমূহ

[সম্পাদনা] অপর এক যুগের বিহারের ধ্বংসাবশেষ

[সম্পাদনা] নতুন যুগের সাংস্কৃতিক দ্রব্যাদি

[সম্পাদনা] অস্থাবর প্রত্নবস্তুসমূহ

[সম্পাদনা] মূল বিহারের বাইরের স্থাপনাসমূহ

[সম্পাদনা] উন্মুক্ত মঞ্চ

[সম্পাদনা] স্নানঘাট

[সম্পাদনা] গন্ধেশ্বরী মন্দির

[সম্পাদনা] মন্দিরের শ্রেণীকরণ

এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন
অন্যান্য ভাষা