জ্যোতির্বিজ্ঞান হল জ্যোতির বিজ্ঞান। এক অর্থে বলা যায় জ্যোতিষ্কসমূহের উৎপত্তি, বিবর্তন এবং এদের রাসায়নিক ও ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ নিয়ে আলোচনা করে বলেই এর নাম হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান। আবার আরেক অর্থে বলা যায়, মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে চালিত করে নিয়ে গেছে বলেই এর নাম জ্যোতির্বিজ্ঞান। সম্ভবত মানুষের একেবারে প্রাথমিক আবিষ্কারগুলোই ছিল এই বিজ্ঞানের সাথে সংশ্লিষ্ট, যদিও বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে এর বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। এক সময় জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। সব গবেষকরাই মনে করতেন মানুষের জীবনের উপর জ্যোতিষ্কসমূহের প্রভাব বিদ্যমান। কিন্তু কালের বিবর্তনে যখন আধুনিক বিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছে, তখন একথা আজ বলাই বাহুল্য যে জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে জ্যোতিষ শাস্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। বিজ্ঞান মানুষের জীবনের উপর জ্যোতিষ্কের কোন প্রভাব স্বীকার করে না। তাই জ্যোতিষ শাস্ত্র আজ বিজ্ঞান থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে গেছে। জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞানের। ভবিষ্যৎ পৃথিবীর অস্তিত্বই এখন এই জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। |