রসুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রসুন হল পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যাবহৃত হয়।
রসুন গাছ একটি সপুষ্পক একবীজপত্রী লিলি শ্রেণীর বহুবর্ষজীবী গুল্ম।
বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)।
রসুন গাছের বিটপের নিম্নাংশ পরিবর্তিত হয়ে বাল্ব জাতীয় সঞ্চয়ী অঙ্গ তৈরী করে যা মশলা হিসাবে রান্নায় ব্যাবহৃত হয়। পিয়াঁজের সঙ্গে প্রধান পার্থক্য হল সাদা রঙ এবং অনেক কোয়ার গুচ্ছ।
[সম্পাদনা] ভেষজ ব্যাবহার
রসুন বিশ্বে বাণিজ্যিক ভেষজ হিসাবে সফলতম। ২০০৪ সালে ২৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশী ভেষজ রসুনজাত ওষুধ বিক্রয় হয়[১]। রসুন নিম্নলিখিত উপকার করে বলে মনে করা হয়ঃ
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে (কিছু প্রমাণ আছে)। [২]
- রক্তচাপ কম করে (কিছু প্রমাণ আছে)[৩]।
- করনারি (হার্ট) ধমনী রোগে উপকারী (নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাব আছে)[৪]।
[সম্পাদনা] ক্রিয়া প্রণালী
এর প্রধান সক্রিয় উপাদান অ্যালিসিন নামক সালফারযুক্ত জৈব যৌগ। অ্যালিসিন রসুনের কুখ্যাত গন্ধ ও বিখ্যাত ভেষজ গুণ দুইয়ের-ই প্রধাণ কারণ। অক্ষত রসুনে অ্যালিসিন থাকে না, থাকে অ্যালিইন - একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রোটিন তৈরীতে অংশ গ্রহন করে না (যা নিজে আরেক অ্যামিনো অ্যাসিড সিস্টিন থেকে তৈরী হয়) । রসুনকে কাটলে বা ক্ষত করলে অ্যালিনেজ নামে একটি উৎসেচক অ্যালিইন থেকে অ্যালিসিন তৈরী করে। অ্যালিসিন খুবই স্বল্পস্থায়ী। রান্না করলে বা অ্যাসিডের প্রভাবে অ্যালিনেজও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই ভেষজ গুণের জন্য কাঁচা রসুন বেশী উপকারী। অ্যালিসিন দেহে কোলেস্টেরল তৈরীর উৎসেচক এইচএমজিকোএ রিডাক্টেজ কে বাধা দেয় বলে জানা গেছে[৫]। অনেকে বিশ্বাস করেন অণুচক্রিকার উপরে কাজ করে এটি রক্ততঞ্চনে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, যা হৃদোরোগে উপকারী। কিন্তু এর নির্ভরযোগ্য প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি[৬]।
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ কারেন্ট মেডিকাল ডায়াগ্নসিস & ট্রিটমেন্ট ২০০৭
- ↑ কারেন্ট মেডিকাল ডায়াগ্নসিস & ট্রিটমেন্ট ২০০৭
- ↑ কারেন্ট মেডিকাল ডায়াগ্নসিস & ট্রিটমেন্ট ২০০৭
- ↑ কারেন্ট মেডিকাল ডায়াগ্নসিস & ট্রিটমেন্ট ২০০৭
- ↑ কারেন্ট মেডিকাল ডায়াগ্নসিস & ট্রিটমেন্ট ২০০৭
- ↑ কারেন্ট মেডিকাল ডায়াগ্নসিস & ট্রিটমেন্ট ২০০৭