উমর ইবনুল খাত্তাব
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উমর ইবনুল খাত্তাব | ||
---|---|---|
রাজত্বকাল | ৬৩৪ – ৬৪৪ | |
জন্ম | ৫৮০ | |
মক্কা, সৌদি আরব | ||
মৃত্যু | নভেম্বর ৭ ৬৪৪ | |
মদিনা,সৌদি আরব | ||
কবর | মসজিদে নববী | |
পূর্বসূরী | আবু বকর | |
উত্তরসূরী | উসমান |
উমর ইবনুল খাত্তাব (আরবী, عمر بن الخطاب) (৫৮০ – নভেম্বর ৩, ৬৪৪) ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। কুরাইশ গোত্রের বনু আদি সম্প্রদায়ে তার জন্ম। মুসলমান দের কাছে উমর আল ফারুক নামেও পরিচিত। ফারুক অর্থ সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। সুন্নি মুসলমান দের বিশ্বাস অনুসারে তিনি খুলাফায়ে রাশেদীন এর অন্যতম খলিফা। তবে শিয়া মতাবলম্বীরা তাকে খলিফা হিসেবে স্বীকার করেন না।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] প্রাথমিক জীবন
উমর সৌদী আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম খাত্তাব ইবনে নুফাইল। তাদের পরিবার মূলত মধ্যবর্তী ধরণের ছিল। তিনি শিক্ষিত ছিলেন যা তখনকার আরব সমাজে অনেকটাই ব্যতিক্রম ছিল এবং শিক্ষিতদের অন্যরকম সম্মান ছিল। সুস্বাস্থ্য এবং শক্তিশালী পুরুষ হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। যৌবনকালে একজন প্রথম শ্রেণীর কুস্তীগীর হিসেবে প্রখ্যাত ছিলেন। মদ পান আরবে খুবই সাধারণ বিষয় ছিল এবং অনেকের বর্ণনামতে উমর ইসলাম গ্রহণের পূর্বে মদ পান করতেন। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর তিনি কখনও অ্যালকোহল স্পর্শ করেননি।[১]
[সম্পাদনা] ইসলাম গ্রহণ
মুহাম্মদ যখন প্রথম ইসলামের বাণী প্রচার করেন তখন উমর তার তীব্র বিরোধিতা করেন এবং কুরাইশদের প্রথাগত ধর্ম রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ইসলাম বিরোধী হিসেবে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। মিসলমানদের অত্যাচার করায়ও কম যাননি। ইবনে ইসহাকের সীরাত গ্রন্থ অনুসারে উমর মুহাম্মদকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং একদিন সে উদ্দেশ্যেই মুক্ত তরবারী হাতে ঘর থেকে বের হন। পথিমধ্যে তিনি একজন মুসলমানের সাক্ষাৎ লাভ করেন যদিবো তিনি তার মুসলমান হওয়া সম্পর্কে যানতেন না। সেই মুসলিম তাকে নবীকে হত্যার পূর্বে প্রথমে নিজের ঘর সামলানোর জন্য বলেন। তার কাছে উমর জানতে পারেন তার বোন ফাতিমা এবং ভগ্নীপতি ইসলাম গ্রহণ করেছে। অগত্যা তিনি বোনের বাড়িতে যান এবং বোন ও ভগ্নীপতিকে কুরআন পাঠরত অবস্থায় আবিষ্কার করেন। ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ভগ্নীপতিকে মারধর করেন; ফাতিমা তার স্বামীকে রক্ষা করতে এলে তাকেও আঘাতের শিকার হতে হয়। প্রচন্ড আহত হওয়া সত্ত্বেও তার উসলাম ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানায়। বোনের শরীরে রক্ত দেখে তিনি শান্ত হন এবং তারা যা পাঠ করছিলো তা দেখতে চান। পবিত্র হয়ে কুরআনের একটি আয়াত তিনি পাঠ করেন। আয়াতটি ছিল সূরা ত্বা-হা'র অংশ। সেই আয়াতটি তাকে এতই আকৃষ্ট করে যে তিনি সেদিনই মুহাম্মদের কাছে যেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর ইসলাম প্রসারে তিনি ততটাই ভূমিকা রেখেছিলেন, গ্রহণের পূর্বে ইসলামের বিরুদ্ধে যতটা ভূমিকা রাখতেন।কুরআনের অর্থ[1]
এই নিবন্ধটি একটি ধারাবাহিক নিবন্ধ শ্রেণীর অংশ যার বিষয় হল |
বিশ্বাস ও অনুশীলন |
সৃষ্টিকর্তার একত্ব |
প্রধান ব্যক্তিত্ব |
হযরত মুহাম্মদ (সা:) |
গ্রন্থ ও আইন |
কুরআন • হাদীস • শরীয়ত |
ফিরকাহ |
সুন্নী • শিয়া • |
সামাজিক বিষয়াদি |
শিক্ষা • দর্শন |
আরও দেখুন |
ইসলামী শব্দকোষ |
[সম্পাদনা] মদীনায় উমরের জীবন
[সম্পাদনা] আবু বকরের খিলাফতকাল
[সম্পাদনা] খলীফা হিসেবে উমর
এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: উমরের খিলাফত
[সম্পাদনা] মৃত্যু
[সম্পাদনা] সুন্নী চিন্তাধারা
[সম্পাদনা] অমুসলিমদের চিন্তাধারা
[সম্পাদনা] ফারুকী
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
</references>
[সম্পাদনা] আরও দেখুন
- খুলাফায়ে রাশেদীন
- উমর সম্পর্কে শিয়া চিন্তাধারা
- উমরের খিলাফত
[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ
- www.al-farook.com উসরের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি সাইট
- উমরের বংশতালিকা
- উমর দি গ্রেটের জীবনী - আল্লামা শিবলী নোমানী
- খিলাফতের ইতিহাস - জালাল উদ্দীন সুইয়ুতি
- আমীরুল ম'মিনীন উমর (রাঃ) এর জীবনী
- উমর ইবনুল খাত্তাব-ইসলামের ২য় খলীফা
পূর্বসূরী: আবু বকর ইবন আবী কুহাফা |
খলিফা ৬৩৪ –৬৪৪ |
উত্তরসূরী: উসমান ইবন আফ্ফান |