কলনবিদ্যা
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অন্তর্কলন (ইংরেজি Differential Calculus) গণিতশাস্ত্রের এমন একটি শাখা যাতে কোন রাশির অন্য কোন রাশির সাপেক্ষে পরিবর্তনের হার নিয়ে আলোচনা করা হয়। অর্থাৎ ক্রমবর্ধমান বা ক্রমহ্রাসমান রাশি এবং তাদের পরিবর্তনের হার নিয়ে আলোচনা করাই অন্তর্কলনের মূল উদ্দেশ্য।
[সম্পাদনা] আবিষ্কার
অনেক আগে থেকেই অন্তর্কলনের কিছু বিষয় সম্পর্কে ভারতীয় গণিতবিদদের ধারণা ছিল। তবে তারা কখনও একে পরিমাপের একটি স্বতন্ত্র পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি; কারণ তারা অভ্যাসবশতই কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করতেন যেগুলো অনেকটা গণিতের সাধারণ পদ্ধতির বিশেষ প্রয়োগ ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। পরবর্তীতে দুইটি রাশির একটির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরিবর্তনের জন্য অন্যটির পরিবর্তন অর্থাৎ একটির সাপেক্ষে অন্যটির পরিবর্তনের হার নিয়ে অনেকেই বিশদ চিন্তাভাবনা করেন। এভাবেই একসময় বক্ররেখা বেষ্টিত কোন ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল, ঘনবস্তুর আয়তন প্রভৃতি নির্ণয়ের জন্য সমাকলন পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়। আর এই প্রায়োগিক আবিষ্কারের অংশীদার যৌথভাবে ইংরেজ বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন এবং জার্মান বিজ্ঞানী গটফ্রিড লাইবনিৎস। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে এই আবিষ্কারের ঘটনা ঘটে এবং নিউটন এবং লাইবনিৎস পরস্পর স্বাধীনভাবে এটি আবিষ্কার করেন। এজন্য দীর্ঘদিন পর্যন্ত নিউটন ও লাইবনিৎস সমর্থকদের মধ্যে এ আবিষ্কার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।
তবে নিউটনের এ আবিষ্কার সম্বন্ধে কথিত আছে যে তিনি একদিন একটি আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন। এমন সময় গাছ হতে একটি আপেল তার পড়ে যায় আর তিনি লক্ষ্য করেন যে আপেল যখন পড়তে থাকে তখন তার গতিবেগ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।