রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯১৫ সালে তোলা ছবি
জন্ম মে ৭ ১৮৬১
কলকাতা, ভারত
মৃত্যু আগস্ট ৭ ১৯৪১
কলকাতা, ভারত

(৭ই মে, ১৮৬১-৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ব.-২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ব.) বাংলা সাহিত্যের দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার ও দার্শনিক। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। তিনি তাঁর গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি তার সারা জীবনের কর্মে সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি বিশ্বকবি, কবিগুরু ও গুরুদেব নামে পরিচিত। তিনি বিশ্বের একমাত্র কবি যিনি দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। বলা যায় তাঁর হাতে বাঙ্গালীর ভাষা ও সাহিত্য,শিল্পকলা ও শিল্প চেতনা নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] ছেলেবেলা

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর স্ত্রী, মৃণালিনী দেবী। ১৮৮৩ সালে তোলা ছবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর স্ত্রী, মৃণালিনী দেবী। ১৮৮৩ সালে তোলা ছবি
লন্ডনে রবীন্দ্রনাথ। ১৮৭৮ সালের ছবি
লন্ডনে রবীন্দ্রনাথ। ১৮৭৮ সালের ছবি

রবীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬১ সালে, জোড়াসাঁকো, কলকাতায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে। তাঁর পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন ধনাঢ্য জমিদার। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা দেবীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। রবীন্দ্রনাথের ভাই-বোনদের অনেকেই উল্লেখযোগ্য, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, এবং বিশেষত বহুমুখী প্রতিভাধর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর বোন স্বর্ণকুমারী দেবী বাঙালী নারীদের মধ্যে প্রথম বাংলা উপন্যাস লেখেন।

এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন হয়। এর ঠিক পরেই রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পিতা ফেব্রুয়ারি ১৪, ১৮৭৩ এ কয়েক মাসের জন্য ভারতবর্ষের সর্বত্র ভ্রমণে বের হন। এসময় তাঁরা শান্তিনিকেতন, অম্রিতসর ঘুরে হিমালয়ের পাদদেশের ডালহৌসি হিল স্টেশনে আসেন। এখানে রবীন্দ্রনাথ ইতিহাস, জ্যোতির্বিদ্যা, আধুনিক বিজ্ঞান, সংস্কৃত ভাষা, এবং কালীদাস এর কবিতার উপরে পড়াশোনা করেন। ১৮৭৭ সালে রবীন্দ্রনাথ বেশ কিছু কাব্য রচনা করে সাড়া জাগান।[১][২] এর মধ্যে রয়েছে মৈথিলি রীতিতে লেখা একটি মহাকাব্য। তিনি অবশ্য মজা করে দাবী করেছিলেন যে এটা সদ্য আবিষ্কৃত ১৭শ শতাব্দীর বৈষ্ণব কবি ভানু সিংহের লেখা।[৩] বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রথম ছোট গল্প ভীখারিনী লেখা হয় ১৮৭৭ সালে।[৪][৫] তিনি ১৮৮২ সালে সন্ধ্যা সঙ্গীত নামের কাব্যগ্রন্থ লেখেন, যার মধ্যে তাঁর প্রখ্যাত কবিতা নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ অন্তর্গত।

ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ১৮৭৮ সালে রবীন্দ্রনাথকে ইংল্যান্ড এর ব্রাইটনে পাঠানো হয়। পরে তিনি লন্ডনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-এ ভর্তি হন, কিন্তু পড়ায় তাঁর মন বসেনি। পড়া শেষ না করেই তিনি ১৮৮০ সালে বাংলায় ফিরে আসেন। ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি খুলনার মৃণালিনী দেবীকে বিয়ে করেন। তাঁদের ৫টি সন্তান হয়, যদিও এর মধ্যে চার জনই শৈশবে মারা যায়।[৬]

[সম্পাদনা] শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ

১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথ তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে পারিবারিক জমিদারী দেখাশোনা করার জন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহে(বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত) চলে আসেন। এখানে রবীন্দ্রনাথের দিন কেটেছে পদ্মা নদীতে বজরায় নৌকাভ্রমণে আর জমিদারী পরিচালনায়। তাঁর সাধনা পর্ব (১৮৯১-১৮৯৫, রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত পত্রিকার নামানুসারে) ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল সময়গুলির অন্যতম। তিন খন্ডে লেখা গল্পগুচ্ছের ৮৪টি গল্পের অর্ধেকেরও বেশী লেখা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের এই শিলাইদহে থাকার সময়ে। সমসাময়িক পূর্ববঙ্গের গ্রামীণ জীবন, সংস্কৃতি ইত্যাদি তাই রবীন্দ্রনাথের এসময়কার সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে। শিলাইদহে অবস্থান কালে কবি তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের ইংরেজী অনুবাদ শুরু করেন।

[সম্পাদনা] শান্তিনিকেতনের দিনগুলো

১৯০৫ সালে সুকুমার রায়ের তোলা রবীন্দ্রনাথের ছবি
১৯০৫ সালে সুকুমার রায়ের তোলা রবীন্দ্রনাথের ছবি

[সম্পাদনা] জীবনের শেষভাগ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহাত্মা গান্ধী, শান্তিনিকেতন, ১৯৪০
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহাত্মা গান্ধী, শান্তিনিকেতন, ১৯৪০

[সম্পাদনা] ভ্রমণ

[সম্পাদনা] সাহিত্যকর্ম

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য কর্ম গান গীতবিতান
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকালমাঝে।
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে।
তুমি আছে বিশ্বনাথ অসীমরহস্যমাঝে।
নীরবে একাকী আপন মহিমানিলয়ে।
অনন্ত এ দেশকালে অগণ্য এ দীপ্তলোকে।
তুমি আছ মোরে চাহি আমি চাহি তোমা পানে।
স্তব্ধ সর্ব কোলাহল শান্তিমগ্ন চরাচর।
এক তুমি তোমামাঝে আমি একা নির্ভয়ে।।

রবীন্দ্রনাথের সাক্ষর
রবীন্দ্রনাথের সাক্ষর

[সম্পাদনা] রাজনৈতিক দর্শন

[সম্পাদনা] প্রভাব

অনেকের মতে রবীন্দ্রনাথের গানে প্রাচীন আইরিশ এবং স্কটিশ সুর ও ছন্দের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় , "পুরোনো সেই দিনের কথা" গানটির মূল সুর নেয়া হয়েছে স্কটিশ লোকগীতি "অল্ড ল্যাং সাইন" হতে। এছাড়া তার অনেক গানেই স্থানীয় বাউল গান, দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের উচ্চাঙ সঙ্গীতের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।

[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র

  1. দত্ত & রবিনসন ১৯৯৫, পৃ. ৫৫-৫৬।
  2. স্টুয়ার্ট & টুইচেল ২০০৩, পৃ. ৯১।
  3. স্টুয়ার্ট & টুইচেল ২০০৩, পৃ. ৩।
  4. চক্রবর্তী ১৯৬১, পৃ. ৪৫।
  5. দত্ত & রবিনসন ১৯৯৭, পৃ. ২৬৫।
  6. দত্ত & রবিনসন ১৯৯৫, পৃ. ৩৭৩।

[সম্পাদনা] উৎসপঞ্জি

এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন