ইন্দ্রলাল রায়
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইন্দ্রলাল রায় | |
---|---|
ডিসেম্বর ২ ১৮৯৮ – জুলাই ২২ ১৯১৮ | |
চিত্র:Laddie Roy.jpg Indra Lal Roy in the আরএফসি ইউনিফর্ম. |
|
জন্ম স্থান | ![]() |
মৃত্যুর স্থান | ![]() |
আনুগত্য | ![]() |
কর্ম স্থান ও শাখা | ![]() |
চাকুরির সময় | c.এপ্রিল ১৯১৭ – জুলাই ১৯১৮ |
পদ | সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট |
যুদ্ধসমূহ | ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ |
পুরস্কারসমূহ | ডিস্টিংগুইশ্ড ফ্লাইং ক্রস |
ইন্দ্রলাল রায় (ডিসেম্বর ২, ১৮৯৮ - জুলাই ১৮, ১৯১৮) প্রথম বাঙালি বিমান চালক। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ফ্রান্সের পক্ষ হয়ে জার্মানির বিপক্ষে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযানে অংশ নেন এবং যুদ্ধবিমান চালনায় দক্ষতার পরিচয় দেন। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একমাত্র ভারতীয় বৈমানিক।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] জীবনী
[সম্পাদনা] প্রাথমিক জীবন
ইন্দ্রলাল রায়ের জন্ম ভারতের কলকাতায়। অবশ্য তার বাবা পি.এল. রায় বরিশাল জেলার লকুতিয়া অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। শিক্ষা জীবনের প্রথম থেকেই উজ্জ্বল মেধার পরিচয় দেন এবং বেশ কয়েকটি বৃত্তি অর্জন করেন। বৈমানিক হিসেবে যোগদানের আগে তিনি সর্বশেষ ব্যালিওল বৃত্তি লাভ করেন। এই বৃত্তি নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যান। ১৯১১ সাল পর্যন্ত তিনি কেনিংস্টন-এর সেন্টা পল'স স্কুল-এ পড়াশোনা করেন। তার মূল শিক্ষার প্রায় পুরোভাগই ইংল্যান্ডে।
পরিবারের সবার আশা ছিল তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস বা আইসিএস-এ যোগ দেবেন। কিন্তু তা না করে তিনি ১৯১৭ সালের এপ্রিল মাসে যোগ দেন রয়েল ফ্লাইং কর্প্স-এ। এই ফ্লাইং কোর থেকে ১৯১৭ সালের জুলাই ৫ ইং তারিখে সেকেন্ড লেফটেণ্যান্ট হিসেবেকমিশন লাভ করেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভেন্ড্রোম-এ প্রশিক্ষণ শুরু করেন। এরপর টার্নবারি-তে বন্দুক চালনা শিক্ষা করেন। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বিমান বাহিনীর ৫৬ স্কোয়াড্রনে যোগ দেন।[১]
[সম্পাদনা] প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
কমিশনের পরপরই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ১৯১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ফ্রান্সের পক্ষে জার্মানির বিপক্ষে একটি সামরিক বিমান অভিযানে অংশ নেন। এই অভিযানের সময় তার বিমান জার্মান বিমান কর্তৃক নো ম্যানস ল্যান্ডে ভূপাতিত হয়। তিন দিন অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকেন। এরপর একটি ব্রিটিশ সেনাদল তাঁকে উদ্ধার করে ফ্রান্সের ব্রিটিশ সামরিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সামরিক হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে মর্গে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তিনি জ্ঞান ফিরে পান। সুস্থ হওয়ার পর আবার বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিয়ে নিয়মিত উড্ডয়ন শুরু করেন।
১৯১৮ সালে ৬ জুলাই থেকে তিনি বিমান আক্রমন শুরু করেন এবং ৯ টি জার্মান বিমান ধ্বংস করে বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন। কিন্তু এবারও ভাগ্য তার বিশেষ সহায় হয় নি। ১৮ জুলাই তারিখে আবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[২]
[সম্পাদনা] সম্মাননা
একেবারে অল্প বয়সেই বিমান যুদ্ধে তিনি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। এই সাফল্যের জন্য ইংল্যান্ড সরকার তাকে মরণোত্তর ডিস্টিংগুইশ্ড ফ্লাইং ক্রস (Distinguised Flying Cross - ডিএফসি) সম্মানে ভূষিত করে।[৩]
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ ইন্দ্রলাল রায়; বাংলাপিডিয়া নিবন্ধ - এ মুজাফ্ফর
- ↑ ইন্দ্রলাল রায়; বাংলাপিডিয়া নিবন্ধ - এ মুজাফ্ফর
- ↑ ইন্দ্রলাল রায়; বাংলাপিডিয়া নিবন্ধ - এ মুজাফ্ফর
[সম্পাদনা] আরও দেখুন
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
- রয়েল ফ্লাইং কর্প্স
- ডিস্টিংগুইশ্ড ফ্লাইং ক্রস