আবদুর রাজ্জাক (বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক)
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবি আবদুর রাজ্জাক ১৯১৪ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পারাগ্রাম গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেণ। তার পিতা আব্দুল আলী একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] শিক্ষাজীবন
তিনি ঢাকার সরকারী মুসলিম হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেণ এবং ঢাকা কলেজ থেকে কলা বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৩১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে Political Economy বিভাগে ভর্তি হন। তিনি ১৯৩৬ সালে প্রথম শ্রেনীতে এমএ পাশ করেন এবং সেই বছর একজন প্রভাষক হিসেবে একই বিভাগে যোগদান করেন। যখন এই বিভাগ ভেঙ্গে যায় তখন তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনিমিক্স এর অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কির তত্তাবধায়নে উচ্চ শিক্ষার্থে যুক্তরাষ্ট্রে যান। কিন্তু অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কির মৃত্যুর পর তিনি কোনো ডিগ্রি গ্রহণ না করেই দেশে চলে আসেন। ১৯৭৫ সালে তিনি একজন সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে এই বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগেও ক্লাস নিয়েছেন।
[সম্পাদনা] জ্ঞানের পরিধি
তিনি অর্থশাস্ত্র, ধর্ম-সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, শিল্প-সাহিত্য এই সব গুলো বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মত মতামত দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হওয়া সত্তেও তিনি তার জীবনে কোনো বই লেখেন নাই। অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকে বলা হত শিক্ষকদের শিক্ষক। তার গুনগ্রাহি ব্যক্তিদের তালিকার শুধু বুদ্ধিজীবিরাই ছিলেন না, ছিলেন রাজনৈতিক নেতারাও। এদের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যতম।
[সম্পাদনা] উপাধি
তার জ্ঞানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মাননা দেয়। ১৯৭৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে।
[সম্পাদনা] মৃত্যু
১৯৯৯ সালের নভেম্বর ২৮ তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
-
- জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের ছাত্র আহমদ ছফা এর লেখা যদ্যপি আমার গুরু" বইটি থেকে।