রাঙামাটি জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাঙ্গামাটি জেলা
প্রশাসনিক বিভাগ চট্টগ্রাম
আয়তন (বর্গ কিমি) ৬,১১৬
জনসংখ্যা মোট: ৫,০৭,১৮০
পুরুষ: ৫৩.৫৯%
মহিলা: ৪৬.৪১%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: বিশ্ববিদ্যালয়: ০
কলেজ : ১৫
মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ৫১
মাদ্রাসা : ৬১
শিক্ষার হার ৩৬.৫ %
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব দেবাশীষ রায়
প্রধান শস্য ধান, পাট, সরিষা
রপ্তানী পণ্য কাঠ ও অন্যান্য বনজ দ্রব্য

রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র এখানে অবস্থিত।


সূচিপত্র

[সম্পাদনা] ভৌগলিক সীমানা

রাঙ্গামাটির মোট আয়তন ৬১১৬.৩ বর্গ কি.মি। এ জেলা উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে বান্দরবান জেলা পূর্বে ভারতের মিজোরাম প্রদেশ এবং মায়ানমারের চীন প্রদেশ ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম জেলা দ্বারা পরিবেষ্ঠিত।

[সম্পাদনা] প্রধান নদী

কর্ণফুলি, থেগা, হরিনা, কাসালং, শুভলং, চিঙ্গড়ি, কাপ্তাই।


[সম্পাদনা] প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

রাঙ্গামাটি পৌরসভা ৯ টি ওয়ার্ড ও ৩৫ টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। শহরের মোট আয়তন ৬৪.৭৫ বর্গ কি.মি। ১৯৮৩ সালে রাঙ্গামাটি একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। এ জেলায় ১০ টি উপজেলা, ৫০ টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১৬২ টি মৌযা ও ১৩৪৭ টি গ্রাম আছে। রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলা হলো:

[সম্পাদনা] ইতিহাস

মুসলিম বিজয়ের পূর্বে রাঙামাটি ত্রিপুরা ও আরাকানের রাজাদের যুদ্ধক্ষেত্র ছিল। ১৬৬৬ সালে এই অঞ্চল মুঘলদের দখলে আসে। ১৭৬০-৬১ সালে এটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়া হয়। ১৭৩৭ সালে শের মোস্তা খান নামক একজন গোত্র প্রধান মুঘলদের নিকট এখানে আশ্রয় পান। সেই থেকে চাকমারা ও পরবর্তিতে অন্য আদিবাসীরা এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। অন্য আদিবাসীদের ভিতর বোম, চাক, খুমি, খেয়াং, লুসাই, মো, মুরাং, পাঙ্কু, সান্তাল, মনিপুরিরা প্রধান।

[সম্পাদনা] শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

দুটি সরকারি কলেজ, ১৩ টি বেসরকারি কলেজ, ৬ টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ৪৫ টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ২৯১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১২০ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬১ টি মাদ্রাসা ও ৭ টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।


[সম্পাদনা] অর্থনীতি

প্রধান শস্যঃ ধান, পাট, আলু, তুলা, ভুট্টা, সরিষা।

প্রধান ফলঃ আম। কাঁঠাল, কলা, আনারস, লিচু, কালজাম।

শিল্প - কারখানাঃ চন্দ্রঘোনা কাগজের কল, রেয়ন কল, প্লাইউড কারখানা, জল-বিদ্যুৎ প্রকল্প, ঘাগড়া বস্ত্র কারখানা।

কুটির শিল্পঃ তাঁত, কামার, কাঠের কাজ, স্বর্ণকার, ঢালাই ইত্যাদি।

প্রধান রপ্তানিঃ কাঁঠাল, আনারস, বনজ পন্য, কাঠ।


[সম্পাদনা] চিত্তাকর্ষক স্থান

বুদ্ধের ব্রোঞ্জ মুর্তি
বুদ্ধের ব্রোঞ্জ মুর্তি

কাপ্তাই লেক, রাজা জং বসাক খানের দীঘি ও মসজিদ, রাজা হরিশ চন্দ্র রায়ের আবাসস্থলের ধবংসাবশেষ, ঝুলন্ত সেতু,বুদ্ধদের প্যাগোডা।


[সম্পাদনা] স্বাস্থ্য কেন্দ্র

১০ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৮ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৪৮ পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র।

[সম্পাদনা] আনুষঙ্গিক নিবন্ধ


বাংলাদেশের বিভাগ এবং জেলা বাংলাদেশের পতাকা
বরিশাল বিভাগ: বরগুনা | বরিশাল | ভোলা | ঝালকাঠি | পটুয়াখালী | পিরোজপুর
চট্টগ্রাম বিভাগ: বান্দরবান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | চাঁদপুর | চট্টগ্রাম | কুমিল্লা | কক্সবাজার | ফেনী | খাগড়াছড়ি | লক্ষ্মীপুর | নোয়াখালী | রাঙামাটি
ঢাকা বিভাগ: ঢাকা | ফরিদপুর | গাজীপুর | গোপালগঞ্জ | জামালপুর | কিশোরগঞ্জ | মাদারীপুর | মানিকগঞ্জ | মুন্সিগঞ্জ | ময়মনসিংহ | নারায়ণগঞ্জ | নরসিংদী | নেত্রকোনা | রাজবাড়ী | শরিয়তপুর | শেরপুর | টাঙ্গাইল
খুলনা বিভাগ: বাগেরহাট | চুয়াডাঙ্গা | যশোর | ঝিনাইদহ | খুলনা | কুষ্টিয়া | মাগুরা | মেহেরপুর | নড়াইল | সাতক্ষীরা
রাজশাহী বিভাগ: বগুড়া | দিনাজপুর | গাইবান্ধা | জয়পুরহাট | কুড়িগ্রাম | লালমনিরহাট | নওগাঁ | নাটোর | নবাবগঞ্জ | নিলফামারী | পাবনা | পঞ্চগড় | রাজশাহী | রংপুর | সিরাজগঞ্জ | ঠাকুরগাঁও
সিলেট বিভাগ: হবিগঞ্জ | মৌলভীবাজার | সুনামগঞ্জ | সিলেট
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন
অন্যান্য ভাষা