শাড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাজা রবি বার্মার চিত্রাংকনে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ভাজের শাড়ী পরিহিতা রমনীকে দেখানো হয়েছে।
রাজা রবি বার্মার চিত্রাংকনে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ভাজের শাড়ী পরিহিতা রমনীকে দেখানো হয়েছে।

শাড়ি ভারতীয় উপমহাদেশের মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী ও নিত্যনৈমিত্তিক পরিধেয় বস্ত্র।[১] শাড়ি অনেক লম্বা সেলাইবিহীন কাপড় দিয়ে তৈরী হয়। সাধারনত একটি শাড়ি চার থেকে নয় মিটার (প্রায় ১২ হাত বা ১৮ ফুট) দীর্ঘ কাপড় দিয়ে তৈরী হয়। বিভিন্নভাবে ভাজ করে শাড়ি পরা হয়ে থাকে। সবচেয়ে সাধারন ভাজ হচ্ছে কোমরে জড়িয়ে একপ্রান্ত কাঁধের ঊপর দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া, যাকে আঁচল বলা হয়।[১] শাড়ি সাধারনত পেটিকোটের (উত্তর ভারতে লেহেঙ্গা/ঘাগড়া এবং পূর্ব ভারতে সায়া নামেও পরিচিত) উপরে পরা হয়ে থাকে। উপরের অংশের পোষাক হিসেবে ব্লাউজ (ভারতে চোলি নামেও পরিচিত) ব্যবহার করা হয়। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাধারনত শাড়ি অনুষ্ঠানের সবচেয়ে উপযোগী পোষাক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেনাবাহিনীতে নারী সেনারা শাড়ী পড়লে কোমরে শার্ট বেধে রাখেন।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] বিভিন্ন ধরনের শাড়ী

শাড়ি পরিহিতা নারী-  ১৮৪৭
শাড়ি পরিহিতা নারী- ১৮৪৭

যদিও বিমানবালাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শাড়ি বলতে আধুনিক ঘরানার শাড়িকেই জনপ্রিয় করা হয়েছে, তবে উপমাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই নিজস্ব ধরনের শাড়ির তৈরি ও জনপ্রিয় হয়েছে। নিচে কিছু পরিচিত ও জনপ্রিয় শাড়ির নাম দেয়া হয়েছে।

[সম্পাদনা] ভারতীয় শাড়ি

উত্তরাঞ্চলীয় শাড়ি:

পূর্বাঞ্চলীয় শাড়ি:

মধ্যাঞ্চলীয় শাড়ি:

দক্ষিণাঞ্চলীয় শাড়ি:


[সম্পাদনা] বাংলাদেশী শাড়ি

[সম্পাদনা] নেপালী শাড়ি

নেপালীয় নারীরা বিভিন্ন ভাবে শাড়ি পরেন। এর মধ্যে হাকু পাতাসি উল্লেখযোগ্য। এটি লাল পেড়ে কালো শাড়ি।

[সম্পাদনা] পাকিস্তানি শাড়ি

পাকিস্তানে প্রতিদিনের ব্যবহার্য শাড়ির স্থান সালোয়ার কামিজ প্রায় সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছে। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখনও শাড়ি পরা হয়ে থাকে। সাধারনত মোহাজির নামে পরিচিত ভারতীয় অভিবাসী পাকিস্তানীরা শাড়ির ব্যবহার টিকিয়ে রেখেছে, যা প্রধানত করাচীতেই চোখে পড়ে।

[সম্পাদনা] শ্রীলঙ্কার শাড়ি

শ্রীলঙ্কায় বিভিন্নভাবে শাড়ি পরা হলেও ভারতীয় ধরনেই শাড়ি বেশি পরা হয়ে থাকে, যা সাধারনভাবে কানাড়ীয় ধরন (অথবা সিংহলিজ ভাষায়'ওসারিয়া' নামে পরিচিত)। ক্যান্ডির পাহাড়ী এলাকায় ক্যান্ডীয় ধরন চালু রয়েছে।

[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র

  1. ১.০ ১.১ Alkazi, Roshan (1983) "Ancient Indian costume", Art Heritage; Ghurye (1951) "Indian costume", Popular book depot (Bombay); Boulanger, Chantal; (1997)

[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ