মাশরাফি বিন মর্তুজা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশী পতাকা
মাশরাফি বিন মর্তুজা
বাংলাদেশ (BAN)
মাশরাফি বিন মর্তুজা
ব্যাটিং এর ধরন ডানহাতি ব্যাটসম্যান (RHB)
বোলিং এর ধরন ডানহাতি ফাস্ট
টেষ্ট ক্রিকেট একদিনের আন্তর্জাতিক
ম্যাচ ২২ ৬৬
রান ৪৩৪ ৭০৭
ব্যাটিং গড় ১২.০৫ ১৭.২৪
১০০/৫০ ০/২ ০/১
সবচেয়ে বেশি রান ৭৯ ৫১*
ওভার ৩৯৩৭ ৩৪০৩
উইকেট ৫৬ ৮৯
বোলিং গড় ৩৭.৫৭ ২৯.১৪
৫ উইকেট প্রতি ইনিংস
১০ উইকেট প্রতি ম্যাচ নেই
সবচেয়ে ভাল বোলিং ৪/৬০ ৬/২৬
ক্যাচ/স্টাম্পিং ৫/০ ২১/০

২৯ মে, ২০০৭
সূত্র: [1]

মাশরাফি বিন মর্তুজা (জন্ম অক্টোবর ৫, ১৯৮৩, নড়াইল যশোর জেলা) বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সম্ভাবনাময় পেস বোলার । তার ডাক নাম কৌশিক। তিনি একজন ডান হাতি ব্যাটসম্যান। তার বোলিং এর ধরণ ডান হাতি পেস বোলার। বাংলাদেশ জাতীয় দল ছাড়াও তিনি এশিয়ান একাদশ এ খেলেছেন।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] ক্যারিয়ার

মর্তুজা বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পেস বোলার। ২০০১ সালে বাংলাদেশে কাজ করার সময় সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টস আজকের মাশরাফিকে আবিষ্কার করেন।

২০০১-০২ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক ঘটে, যাতে তিনি তার বোলিং ক্ষমতার প্রকাশ ঘটান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত তৃতীয় টেস্ট খেলার সময় তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এর ফলে তিনি প্রায় দু'বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকতে বাধ্য হন। ইংল্যন্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলায় তিনি সফলতা পান। ৬০ রানে ৪ উইকেট নেয়ার পর আবার তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। এযাত্রায় তিনি প্রায় বছরখানেক মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য হন।

২০০৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিড়কে অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বলে আউট করে তিনি স্বরুপে ফেরার ঘোষনা দেন। সেই সিরিজে তিনি ধারাবাহিকভাবে বোলিং করেন এবং টেন্ডুলকারগাঙ্গুলীকে আউট করার সুযোগ তৈরী করেন। তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তিনি উইকেট পাননি। এই সিরিজের একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে অবিশ্বরনীয় জয়ের নায়ক ছিলেন তিনি।

২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তিনি ভালো বল করেন। বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে তার গড় ছিল সবচেয়ে ভাল। কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয় জয়ে তিনি অবদান রাখেন। তিনি মারকুটে ব্যাটসম্যান এডাম গিলক্রিস্টকে শূণ্য রানে আউট করেন এবং দশ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দেন।

ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে ভালো পেস বোলারের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশে মোহাম্মদ রফিকের মত আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও উল্লেখযোগ্য কোন পেস বোলার ছিলনা। মাশরাফি বাংলাদেশের সেই শূণ্যস্থান পূরণ করেন।


২০০৬ ক্রিকেট পঞ্জিকাবর্ষে মাশরাফি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারী। তিনি এসময় ৪৯টি উইকেট নিয়েছেন।

২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে স্মরনীয় জয়ে মর্তুজা ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ৩৮ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি খেলায় নিউজিল্যান্ডের সাথে বিজয়েও মাশরাফির ভূমিকা রয়েছে।

মাশরাফি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গতির বোলার এবং সমর্থকদের কাছে "নড়াইল এক্সপ্রেস" নামে পরিচিত।

মাশরাফি একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান। ভারতের বিপক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় তিনি পরপর চার বলে ছক্কা পেটান। সেই ওভার থেকে তিনি ২৬ রান সংগ্রহ করেন যা কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের জন্য এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

[সম্পাদনা] ক্যারিয়ার মাইলফলক

[সম্পাদনা] টেস্ট

অভিষেক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ২০০১


[সম্পাদনা] একদিনের আন্তর্জাতিক

অভিষেক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, ২০০১

  • ২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিরুদ্ধে মাশরাফি ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন, যা তার সেরা সাফল্য।


বাংলাদেশ এর পতাকা বাংলাদেশ দল - ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০০৭ বাংলাদেশ এর পতাকা

 বাশার (অ) |  নাফিস |  তামিম |  আফতাব |  সাকিবুল |  আশরাফুল |  রহীম (উর) |  রফিক |  রাজ্জাক | ১০ মর্তুজা | ১১ শাহাদাত | ১২ বৈষ্য | ১৩ রাসেল | ১৪ সালেহ | ১৫ ওমর | ১৬ রেজা | কোচ: হোয়াটমোর

বৈষ্য আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তার স্থলে রেজা এসেছেন


বাংলাদেশ এর পতাকা বাংলাদেশ দল - ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০০৩ বাংলাদেশ এর পতাকা

 মাসুদ (উর) |  আল শাহরিয়ার |  কাপালি |  আকরাম |  বাশার |  সরকার |  এহসানুল |  সানোয়ার |  মাহমুদ | ১০ মানজারুল | ১১ মর্তুজা | ১২ আশরাফুল | ১৩ রফিক | ১৪ জুবায়ের | ১৫ বৈষ্য | ১৬ ইমরান | কোচ: কামাল ও জিয়া

অন্যান্য ভাষা