তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (আগস্ট ২৩, ১৮৯৮-সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯৭১) বাংলা ভাষার একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গল্পলেখক
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] জন্ম ও শিক্ষা
১৮৯৮ সালের ২৩ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা-মায়ের নাম হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রভাবতী দেবী। লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন।
[সম্পাদনা] রাজনৈতিক জীবন
তারাশঙ্কর কংগ্রেসের কর্মী হয়ে সমাজসেবামূলক কাজ করেন এবং এর জন্য তিনি কিছুদিন জেল খাটেন। একবার তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন।
[সম্পাদনা] লেখার বৈশিষ্ট্য
তাঁর লেখায় বিশেষ ভাবে পাওয়া যায় বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছোট বা বড় যে ধরনের মানুষই হোক না কেন, তারাশঙ্কর তাঁর সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তাঁর লেখার সবচেয়ে বড় গুন। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তাঁর অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম জীবনের ভাঙনের কথা, নগর জীবনের বিকাশের কথা।
[সম্পাদনা] চলচ্চিত্র
- জলসাঘর ও অভিযান (সত্যজিৎ রায় এর পরিচালিত)
[সম্পাদনা] উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য কর্ম
[সম্পাদনা] উপন্যাস
- চৈতালি ঘূর্ণি, (১৯৩১)
- ধাত্রীদেবতা, (১৯৩৯)
- কালিন্দী, (১৯৪০)
- কবি, (১৯৪৪)
- হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, (১৯৫১)
- রাইকমল, (১৯৩২)
- গণদেবতা, (১৯৪৩)
- পঞ্চগ্রাম, (১৯৪৪)
- মন্বন্তর, (১৯৪৪)
- সন্দীপন পাঠশালা, (১৯৪৬)
- অভিযান, (১৯৪৬)
- নাগিনী কন্যার কাহিনী, (১৯৫২)
- আরোগ্যনিকেতন, (১৯৫৩)
- সপ্তপদী, (১৯৫৮)
- বিচারক, (১৯৫৭)
[সম্পাদনা] ছোট গল্প
- রসকলি(১৯৩৯)
- বেদেনী(১৯৪৩)
- ডাকহরকরা
- ছলনাময়ী(১৯৩৭)
- জলসাঘর(১৯৩৮)
- প্রতিধ্বনি(১৯৪৩)
- হারানো সুর(১৯৪৫)
- ইমারত(১৯৪৭)
[সম্পাদনা] নাটক
- দ্বীপান্তর(১৯৪৫)
- পথের ডাক(১৯৪৩)
- দুই পুরুষ(১৯৪৩)
[সম্পাদনা] পুরস্কার
- শরৎস্মৃতি পুরস্কার (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)।
- জগত্তারিণী স্মৃতিপদক (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)।
- রবীন্দ্র পুরস্কার।
- সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার।
- জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।
- পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ উপাধি।
+ + +