ফিফা বিশ্বকাপ
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফিফা বিশ্বকাপ (সাধারনত ফুটবল বিশ্বকাপ, সকার বিশ্বকাপ অথবা শুধু বিশ্বকাপ নামেও পরিচিত) একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যেখানে ফেদারেশন ইন্তারন্যাশিওনালে ডি ফুটবল এসোসিয়েশন (Fédération Internationale de Football Association) (ফিফা), এর সহযোগী দেশগুলো অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় নি।
প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্যায় যা বিশ্বকাপ মূল পর্ব নামে পরিচিত, দর্শক সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অনুষ্ঠান। ২০০২ বিশ্বকাপ দেখেছেন প্রায় ১.১ বিলিয়ন মানুষ।[১] প্রতিযোগিতার বর্তমান ধরন অনুযায়ী ৩২টি জাতীয় দল চুড়ান্ত পর্যায়ে অংশ নেয়। আয়োজক দেশে প্রায় একমাস ধরে এ প্রতিযোগিতা চলে। চুড়ান্ত পর্যায়ে উন্নীত হতে হলে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে বিশ্বকাপের আগের তিন বছর ধরে বাছাই পর্বে অংশ নিতে হয়।
এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৮টি আসরে কেবল ৭টি জাতীয় দল বিশ্বকাপ জিতেছে। ৫ বার বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিল হচ্ছে বিশ্বকাপের সফলতম দল। বর্তমান শিরোপাধারী দল ইতালি ৪টি শিরোপা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, এবং জার্মানি ৩টি শিরোপা জিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে উরুগুয়ে (প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী) ও আর্জেন্টিনা দু’বার করে এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স একবার করে শিরোপা জিতেছে।
শেষ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে জুন ৯ থেকে জুলাই ৯, ২০০৬ জার্মানিতে, যেখানে ইতালি ফ্রান্সকে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে ১-১ গোলে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে পরাজিত করেছে। পরবর্তী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০১০ সালে দক্ষিন আফ্রিকায়।
১৯৯১ সাল থেকে ফিফা ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন শুরু করেছে। এটিও সাধারন বিশ্বকাপের মত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ইতিহাস
এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাস
[সম্পাদনা] পূর্ববর্তী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা
প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা হয়েছিল ১৮৭২ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে।[২] এ পর্যায়ে ফুটবল খেলা গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড এর বাইরে কদাচিৎ খেলা হত। সে শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বের অন্যান্য অংশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে একে ১৯০০, ১৯০৪ ও ১৯০৬ সালের অলিম্পিকে প্রদর্শনী খেলা হিসেবে রাখা হয় তবে এর জন্য কোন পুরস্কার ছিল না। ১৯০৮ সালের অলিম্পিকে ফুটবল প্রথম আনুষ্ঠানিক খেলার মর্যাদা পায়। এফএর পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রতিযোগিতা ছিল অপেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য ও এটি প্রতিযোগিতার তুলনায় প্রদর্শনী হিসেবেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হত। ১৯০৮ ও ১৯১২ দু’টি অলিম্পিকেই গ্রেট ব্রিটেন (ইংল্যান্ড জাতীয় অপেশাদার ফুটবল দল) জয়লাভ করে।
১৯০৪ সালে ফিফা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঠিক পরেই ফিফা অলিম্পিকের আদল থেকে ভিন্ন একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সুইজারল্যান্ডে ১৯০৬ সালে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বয়স তখন অনেক কম এবং হয়ত একারনেই ফিফা এই প্রতিযোগিতাকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়েছে।[৩]
স্যার থমাস লিপটন ১৯০৯ সালে তুরিনে স্যার থমাস লিপটন ট্রফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। এটি ছিল বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন দলের (জাতীয় দল নয়) মধ্যে একটি চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা। এসব দলের প্রত্যেকে আলাদা আলাদা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল, এজন্য এই প্রতিযোগিতাকে অনেকে প্রথম বিশ্বকাপ[৪] বলেন। এতে ইতালি, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা পেশাদার দল অংশ নেয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের ফুটবল এসোসিয়েশন এই প্রতিযোগিতার সাথে জড়িত থাকতে ও পেশাদার দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায়। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য লিপটন পশ্চিম অকল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানান যা ছিল ডারহাম কাউন্টির একটি অপেশাদার দল। পশ্চিম অকল্যান্ড এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়, এবং ১৯১১ সালের প্রতিযোগিতায় পুনরায় শিরোপা লাভ করে। প্রতিযোগিতার নিয়ম মোতাবেক তাদেরকে চিরতরে ট্রফিটি দিয়ে দেয়া হয়।
১৯১৪, ফিফা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ফুটবলকে "অপেশাদার বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ",[৩] হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয় এবং এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এর ফলে ১৯২০ সালের গ্রীষ্ম অলিম্পিকে বিশ্বের প্রথম আন্তমহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় মিশর ( প্রথম খেলায় নকড আউট হয়) ও তেরটি ইউরোপীয়ান দল। এতে স্বর্ণ জিতে বেলজিয়াম।[৫] উরুগুয়ে ১৯২৪ ও ১৯২৮ সালের অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ লাভ করে। ১৯২৮ সালে অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে নিজস্ব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৩০ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পা দেয়া দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে (১৯২৪ সাল থেকে ফিফা পেশাদার খেলা শুরু করে) ফিফা তাদের ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করে।
[সম্পাদনা] প্রথম বিশ্বকাপ
১৯৩২ সালের লস এঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্ম অলিম্পিকে ফুটবলকে না রাখার পরিকল্পনা করা হয় কারন যুক্তরাষ্ট্রে তখন ফুটবল (সকার) জনপ্রিয় ছিল না। ফুটবলের পরিবর্তে ওখানে আমেরিকান ফুটবল (রাগবি ফুটবল) জনপ্রিয় ছিল। ফিফা এবং আইওসির মাঝে অপেশাদার খেলার মর্যাদা নিয়ে মতবিরোধও দেখা দেয়। ফলে ফুটবল অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ে যায় হয়। [৬] ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে (Jules Rimet) এভাবে ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। নির্বাচিত বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুটবল সংস্থাকে এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু উরুগুয়েতে বিশ্বকাপ আয়োজনের অর্থ ছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল সফরে আসতে হবে। এজন্য কোন ইউরোপীয় দেশ প্রতিযোগিতা শুরুর দুইমাস আগেও দল পাঠাতে সম্মত হয়নি। [৭] রিমে শেষ পর্যন্ত বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রোমানিয়া, ও যুগোস্লাভিয়া থেকে দল আনাতে সক্ষম হন। মোট ১৩টি দেশ এতে অংশ নেয়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সাতটি, ইউরোপ থেকে দু’টি ও উত্তর আমেরিকা থেকে দু’টি।
প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচ একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় যাতে অংশ নেয় ফ্রান্স ও মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়াম। ফ্রান্স ৪-১ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৩-০ ব্যবধানে এতে জয়ী হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম গোল করেন ফ্রান্সের লুসিয়েন লরেন্ত (Lucien Laurent)। ফাইনালে ৯৩,০০০ দর্শকের সামনে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব লাভ করে।[৮]
[সম্পাদনা] বিশ্বকাপের বিস্তৃতি
প্রথম দিকের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল সমস্যা ছিল আন্তমহাদেশীয় যাতায়াত ও যুদ্ধঘটিত সমস্যা। কয়েকটি দক্ষিণ আমেরিকান দল ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার জন্য ইউরোপে যেতে আগ্রহী ছিল। যদিও কেবল ব্রাজিলই এই দুটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি।
১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে প্রথম কোন ব্রিটিশ দল অংশ নেয়। এই ব্রিটিশ দলগুলো ১৯২০ সাল থেকে ফিফাকে বয়কট করে আসছিল। এর একটি কারন ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের সাথে যাদের যুদ্ধ হয়েছিল তাদের সাথে না খেলার মানসিকতা এবং অন্য কারনটি ছিল ফুটবলে বিদেশী কর্তৃত্বের বিপক্ষে প্রতিবাদ।[৯] তবে তারা ১৯৪৬ সালে ফিফার আমন্ত্রণে সাড়া দেয়। এই বিশ্বকাপে ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়েকে আবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে দেখা যায়, যারা পূর্ববর্তী দুটি বিশ্বকাপ বয়কট করেছিল। ১৯৫০ সালে উরুগুয়ে আবার বিশ্বকাপ জিতে নেয়।
১৯৩৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ১৬টি দল মূল পর্বে অংশ নিত। তবে ১৯৩৮ ও ১৯৫০ সালে কিছু দল না খেলায় ঐ বিশ্বকাপে যথাক্রমে ১৫ ও ১৩টি দল অংশগ্রহণ করে। অধিকাংশ দলই ছিল ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে, অল্প কিছু দল খেলেছে উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ও ওশেনিয়া থেকে। এসব দল খুব সজেই ইউরোপীয়ান ও দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর কাছে হেরে যেত। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা বাদে কেবল যে দলটি প্রথম পর্বের বাধা অতিক্রম করতে পেরেছে তারা হচ্ছেঃ যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৩০ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল; কিউবা, ১৯৩৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল; উত্তর কোরিয়া, ১৯৬৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল; এবং মেক্সিকো, ১৯৭০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল।
১৯৮২ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ২৪ করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সংখ্যা ৩২ এ উন্নীত করা হয়। এতে করে দলগুলো আফ্রিকা, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকা থেকে বেশি দল অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে ওশেনিয়া মহাদেশ ব্যতিক্রম কেননা এখান থেকে কোন দল বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি। সাম্পতিক বছরগুলোতে এসব এলাকার দলগুলো তুলনামূলক ভাবে বেশি সফলতা পেয়েছে। এসব এলাকার বিশ্বকাপের নক-আউট পর্যায়ে উত্তীর্ণ দলগুলো হলঃ মেক্সিকো, ১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৬ সালে নকআউট পর্যায়; মরক্কো, ১৯৮৬ সালে নকআউট পর্যায়; ক্যামেরুন, ১৯৯০ সালের কোয়ার্টার-ফাইনালিস্ট; কোস্টারিকা, ১৯৯০ সালে নকআউট পর্যায়; নাইজেরিয়া, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ সালে নকআউট পর্যায়; সৌদি আরব, ১৯৯৪ সালে নকআউট পর্যায়; যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৯৪ সালে নকআউট ও ২০০২ সালে কোয়ার্টার-ফাইনাল; দক্ষিন কোরিয়া, ২০০২ সালে চতুর্থ স্থান; সেনেগাল, ২০০২ সালে কোয়ার্টার-ফাইনাল; জাপান, ২০০২ সালে নকআউট পর্যায়; এবং অস্ট্রেলিয়া ও ঘানা, উভয়ে ২০০৬ সালে নকআউট পর্যায়। তবে, ইউরোপীয়ান ও দক্ষিন আমেরিকা দলগুলো এখনও অন্যান্য দলের ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। এর জলন্ত উদাহরন হচ্ছে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের আটটি দলই ছিল ইউরোপ ও দক্ষিন আমেরিকার।
২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ১৯৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে এবং ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য রেকর্ড ২০৪টি দল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে।[১০] ভুটান এখন পর্যন্ত একমাত্র ফিফা সদস্য রাষ্ট্র যারা এই বাছাই পর্বে অংশ নেয়নি। [১১]
নারীদের জন্য সমমানের ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ, প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে চীনে।
[সম্পাদনা] ট্রফি
১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বিজয়ী দলকে জুলে রিমে ট্রফি প্রদান করা হত। জনসাধারনের কাছে এটি শুধু বিশ্বকাপ বা Coupe du Monde নামেই বেশি পরিচিত ছিল, তবে ১৯৪৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনকারী ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমের নামে এটির নামকরণ করা হয়। ১৯৭০ সালে ব্রাজিল তৃতীয় বারের মত বিশ্বকাপ জিতলে তাদেরকে স্থায়ীভাবে ট্রফিটি দেয়া হয়। ১৯৮৩ সালে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায় এবং পরে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় চোর ট্রফিটিকে গলিয়ে ফেলেছে।[১২]
১৯৭০ সালের পর আরেকটি নতুন ট্রফির যা ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি নামে পরিচিত, নকশা প্রণয়ন করা হয়। সাতটি মহাদেশ থেকে আগত বিশেষজ্ঞগণ ফিফাকে ৫৩টি মডেল প্রদর্শন করেন। শেষপর্যন্ত ইতালিয় নকশাকার সিলভিও গাজ্জানিগার (Silvio Gazzaniga) তৈরীকৃত নমুনা বিশ্বকাপ ট্রফি হিসেবে গৃহীত হয়। এ নতুন ট্রফিটির উচ্চতা ৩৬ সেন্টিমিটার, ১৮-ক্যারট সোনা দিয়ে তৈরী ও ওজন ৬,১৭৫ গ্রাম। এর ভিত্তি দু’স্তরের মূল্যবান ম্যালাকাইট দিয়ে তৈরী। ভিত্তির নিচের দিকে ১৯৭৪ থেকে আজ পর্যন্ত সকল বিশ্বকাপজয়ীর নাম গ্রথিত করা আছে। গাজ্জানিগা এ ট্রফির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন: "The lines spring out from the base, rising in spirals, stretching out to receive the world. From the remarkable dynamic tensions of the compact body of the sculpture rise the figures of two athletes at the stirring moment of victory."[১৩]
এই নতুন ট্রফি বিজয়ী দেশকে স্থায়ীভাবে আর দেয়া হয় না, তা তারা যতবারই জিতুক না কেন। বিশ্বকাপজয়ীদল পরবর্তী বিশকাপ পর্যন্ত ট্রফিটি তাদের কাছে রাখতে পারে। এরপর তাদেরকে সোনার প্রলেপ দেয়া নকল বিশ্বকাপ দেয়া হয়। আর্জেন্টিনা, জার্মানি (পশ্চিম জার্মানি হিসেবে), ইতালি ও ব্রাজিল প্রত্যেকে দ্বিতীয় ট্রফিটি দু’বার করে জিতেছে, ফ্রান্স কেবল একবার এটি জিতেছে। ২০৩৮ সালে এটির ভিত্তিতে নতুন বিজয়ী দলের নাম লেখার মত আর জায়গা থাকবে না। তখন এ ট্রফিটি হয়তো বাদ দেয়া হবে।
[সম্পাদনা] খেলার ধরন
[সম্পাদনা] যোগ্যতা
১৯৩৪ সালের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে থেকে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সীমিত রাখতে যোগ্যতা নিরূপনী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছয়টি মহাদেশীয় এলাকার (আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান, দক্ষিণ আমেরিকা, ওশেনিয়া, ইউরোপ) কনফেডারেশন এটির ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত। প্রতিটি বিশ্বকাপে ফিফা ঠিক করে কোন মহাদেশ থেকে কতটি দল অংশ নেবে। সাধারনত কনফেডারেশনভুক্ত দলের শক্তি ও দক্ষতার উপর নির্ভর করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এখানে কনফেডারেশন সমূহের লবিং ও কাজ করে।
সাধারনত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার তিন বছর আগেই যোগ্যতা নিরূপনী প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। এটি প্রায় দু’বছর ধরে চলে। বিভিন্ন কনফেডারেশনভেদে প্রতিযোগিতার রকম বিভিন্ন হতে পারে। সাধারনত একটি বা দুটি স্থান আন্তমহাদেশীয় দলের মধ্যে প্লে অফের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরুপঃ ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলের বিজয়ী ও দক্ষিণ আমেরিকার পঞ্চম স্থানের দল দুটি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার জন্য প্লে অফ খেলেছিল।[১৪] ১৯৩৮ বিশ্বকাপ থেকে স্বাগতিকরা চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি অংশ নিচ্ছে। আগে বিগত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলটির পরবর্তী বিশ্বকাপে অংশ নিতে বাছাই পর্ব খেলতে হত না। কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে বিগত চ্যাম্পিয়ন দলটিকেও বাছাই পর্ব টপকে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হচ্ছে। [১৫]
[সম্পাদনা] মূল আসর
বর্তমানে ৩২টি জাতীয় দল একমাসব্যপী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতা দু ধাপে বিভক্তঃ গ্রুপ পর্যায় ও নক-আউট পর্যায়।
গ্রুপ পর্যাইয়ে দলগুলোকে প্রতি দলে চারটি করে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। বিশ্বকাপের মূলপর্বের ছয়মাস আগে কোন গ্রুপে কে থাকবে তা নির্ধারন করা হয়। ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং অনুযায়ী শীর্ষ আটটি দলকে (স্বাগতিক দল সহ) আটটি ভিন্ন গ্রুপে রাখা হয়। প্রতি গ্রুপের বাকি তিনটি দলের স্থান বিভিন্ন এলাকার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট করা হয়। পরে ঐ এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন দলের মধ্যে লটারি করে চূড়ান্ত গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৯৮ থেকে একই গ্রুপে যেন দু’টির বেশি ইউরোপীয় দল বা অন্য কনফেডারেশনের একটির বেশি দল না থাকে সে জন্য নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে।
প্রতি গ্রুপে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে একটি দল বাকী তিনটি দলের সাথে তিনটি খেলা খেলে। গ্রুপের তিনটি খেলার পর শীর্ষ দু’টি দল পরের ধাপে উত্তীর্ণ হয়। গ্রুপের মধ্যে দলের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য পয়েন্ট ব্যবস্থা গৃহীত হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে একটি দলের জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট ও ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট দেয়া হচ্ছে। এর আগে প্রতি খেলায় জয়ে জন্য দুই পয়েন্ট ছিল। যদি দুটি দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যায় তাহলে প্রথমে গোল ব্যবধান, এরপর গোল সংখ্যা, এর পর দুটি দলের খেলার ফলাফলের উপর নির্ভর করে অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এতেও যদি অবস্থান না নির্ণয় করা যায় তাহলে লটারির মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয় করা হয়।[১৬]
নকআউট পর্যায়ে কেউ হারলেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ হয়ে যায়। এতে দুটি দল এক-লেগের খেলা খেলে। নির্ধারিত নব্বই মিনিটে খেলা না শেষ হলে ‘’’অতিরিক্ত সময়’’’ ও ‘’’পেনল্টি শুটআউট’’’ এর মাধ্যমে খেলার জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। এই নিয়ম গ্রুপ পর্যায়ের পর দ্বিতীয় পর্যায় থেকেই চালু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এক গ্রুপের বিজয়ী অন্য গ্রুপের রানার্স-আপের সাথে খেলে থাকে। এরপর কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতার যে ধরন ব্যবহৃত হয়েছে তার একটি তালিকা নিচে দেয়া হয়েছে:
- ১৯৩০: গ্রুপ পর্যায়, এরপর পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী; কোন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।)
- ১৯৩৪–১৯৩৮: নকআউট প্রতিযোগিতা; কেবল এই বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্যায় ছিলনা।
- ১৯৫০: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর আরেকটি গ্রুপ পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয়। (গ্রুপ বিজয়ী); কেবল এই বিশ্বকাপেই কোন অফিসিয়াল ফাইনাল খেলা ছিল না
- ১৯৫৪–১৯৭০: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ৮টি দল অংশ নেয়। (গ্রুপ বিজয়ী ও রানার্স-আপ)
- ১৯৭৪–১৯৭৮: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর আরেকটি গ্রুপ পর্যায় যাতে দুটি গ্রুপে ৮টি দল অংশ নেয়। (প্রথম গ্রুপের বিজয়ী ও রানার্স-আপ), এরপর ফাইনাল (দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায়ের বিজয়ী ফাইনালে খেলে; দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায়ে রানার্স-আপ দলদুটি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা খেলে)
- ১৯৮২: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায় যাতে ১২টি দল অংশ নেয় (প্রথম পর্যায়ের বিজয়ী ও রানার্স-আপ), এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয় (দ্বিতীয় পর্যায়ের বিজয়ী)
- ১৯৮৬–১৯৯৪: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ১৬টি দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী, রানার্স-আপ ও চারটি শ্রেষ্ঠ তৃতীয়-স্থানের দল)
- ১৯৯৮–বর্তমান: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ১৬ট দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী ও রানার্স-আপ)
[সম্পাদনা] আয়োজক নির্বাচন
প্রথমদিকের বিশ্বকাপের আয়োজক ফিফা কংগ্রেসের সভাতে নির্ধারণ করা হত। এসব নির্বাচন ছিল চরম বিতর্কিত, কারন ফুটবলের দুই পরাশক্তি দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে জাহাজযোগে যাতায়াতে প্রায় তিন-সপ্তাহ লাগত। একারনে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে মাত্র চারটি ইউরোপীয় দেশ অংশ নেয়।[১৭] পরের দুটি বিশ্বকাপ ইউরোপে অনুষ্ঠিত হয়। এ দুটি বিশ্বকাপের দ্বিতীয়টি অর্থাৎ ১৯৩৮ ফিফা বিশ্বকাপ ফ্রান্সে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তটি বিতর্কিত হয়েছিল। অন্যান্য আমেরিকান দেশগুলো মনে করেছিল বিশ্বকাপ একবার ইউরোপ ও একবার আমেরিকা এভাবে দুটি মহাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। একারনে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে উভয়েই ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ বর্জন করে। [১৮]
১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপের পর থেকে আর কোন সম্ভাব্য বিতর্ক এড়াতে ফিফা ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে পালাক্রমে বিশ্বকাপ আয়োজনের একটি নকশা প্রণয়ন করে, যেটি ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ পর্যন্ত চলেছে। ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ যৌথ ভাবে আয়োজন করে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, যা ছিল এশিয়া মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ (এই প্রতিযোগিতাই প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রতিযোগিতা যা একাধিক দেশ মিলে আয়োজন করেছে)। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ।
বর্তমানে আয়োজক দেশ ফিফার নির্বাহী কমিটির ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। যে দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ইচ্ছুক তাদের জাতীয় ফুটবল এসোসিয়েশন ফিফার কাছ থেকে "আয়োজনের নীতিমালা" সংগ্রহ করে। এই নীতিমালায় বিশ্বকাপ আয়োজনে করনীয় সকল ধাপ ও চাহিদার বিস্তারিত বিবরন আছে। এগুলো পূরনে সক্ষম হলে সেই দেশ ফিফার কাছ থেকে আয়োজক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার কাগজপত্র সংগ্রহ করে জমা দেয়। ফিফার একটি প্রতিনিধিদল ঐ দেশ ভ্রমন করে ফিফার চাহিদা কতটুকু পূরন হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে একটি রিপোর্ট তৈরী করে। বর্তমানে আয়োজক নির্বাচন বিশ্বকাপের ছয় বছর পূর্বে হয়ে থাকে। ২০১০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ দুটি ভিন্ন মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং কেবল ঐ মহাদেশের কিছু নির্বাচিত দেশ আয়োজক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ পাবে।
[সম্পাদনা] ২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন
২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ আফ্রিকা মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০০৩ সালে, যা ১৯৭৮ সালের পর দক্ষিণ আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য প্রথম বিশ্বকাপে। ব্রাজিল ও কলম্বিয়া প্রাথমিকভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে,[১৯] কিন্তু কলম্বিয়া আগ্রহ প্রত্যাহার করায় এখন পর্যন্ত ব্রাজিল একমাত্র প্রার্থী হিসেবে টিকে আছে। [২০] অবশ্য দক্ষিণ আমেরিকার কোন দেশ যদি ফিফার বেধে দেয়া মান অর্জনে সক্ষম না হয় তাহলে বিশ্বকাপ অন্য মহাদেশে স্থানান্তর করা হতে পারে। [২১] সাম্প্রতিককালে, ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার উল্লেখ করেছেন "Brazil is likely to be the host", but also said that "I can't guarantee that Brazil will be the host, but the ball is on Brazil's court now." (ব্রাজিলের বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা বেশি। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারিনা ব্রাজিলই আয়োজক হবে, তবে বল এখন ব্রাজিলের কোর্টে।)[২২] চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ।
[সম্পাদনা] ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ কোন মহাদেশে বরাদ্দ দেয়া হয়নি; প্রকৃতপক্ষে পালাক্রমে বিভিন্ন মহাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের নীতি ২০১৪ সালের পর আর নাও থাকতে পারে। যে সব দেশ ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, মেক্সিকো, স্পেন, পর্তুগাল ও যুক্তরাষ্ট্র, আবার বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড ২০০০ উয়েফা ইউরোপীয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সফলভাবে যৌথ-আয়োজন করার পর বেনেলাক্স দেশ (বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ) যুগ্মভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।[২৩] ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০০৭ তারিখে বিশ্বকাপ বলেছেন যে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ উত্তম আমেরিকায় হওয়া উচিত এবং তিনটি দেশ আছে যারা স্বাগতিক হতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা।[২৪] অবশ্য এ সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ফিফার বিশ্বিকাপ আয়োজক নির্বাচনে আবর্তন নীতির উপর। ২০০৭ সালের এপ্রিলে ব্ল্যাটার আবার বলেন, "এর অর্থ এই যে ২০১৪ সালের পর বিশ্বকাপ এশিয়ায় হবে।"[২৫]
[সম্পাদনা] গণমাধ্যম
১৯৫৪ সালে বিশ্বকাপ প্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। বর্তমানে এটি টেলিভিশনে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এমনকি অলিম্পিক গেমসের চেয়েও বেশি মানুষ বিশ্বকাপ দেখে থাকে।[২৬] ২০০২ বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচের সর্বমোট দর্শকসংখ্যা ছিল প্রায় ২৮.৮ বিলিয়ন। [২৭] ১.১ বিলিয়ন মানুষ সরাসরি এ বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছেন যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ। ২০০৬ বিশ্বকাপের ড্র, যা বিশ্বকাপে বিভিন্ন দলের গ্রুপ নির্ধারন করে, তা দেখেছেন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন দর্শক।[২৮]
১৯৬৬ সাল থেকে প্রতি বিশ্বকাপের একটি নিজস্ব মাস্কট বা প্রতীক আছে। বিশ্বকাপ উইলি প্রথম বিশ্বকাপ মাস্কট, যা ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়েছে। ২০০৬ বিশ্বকাপের মাস্কট হচ্ছে গোলিও, একটি সিংহ, এবং পিলি, একটি ফুটবল।
[সম্পাদনা] ফলাফল
[সম্পাদনা] বিশ্বকাপ সারাংশ
বছর | আয়োজক | ফাইনাল | তৃতীয় স্থান নির্ধারনী খেলা | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | ফলাফল | দ্বিতীয় স্থান | তৃতীয় স্থান | ফলাফল | চতুর্থ স্থান | ||||
১৯৩০ বিস্তারিত |
![]() |
![]() উরুগুয়ে |
৪–২ | ![]() আর্জেন্টিনা |
![]() যুক্তরাষ্ট্র |
n/a[২৯] | |||
১৯৩৪ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ইতালি |
২–১ অতিরিক্ত সময়ে |
![]() চেকোস্লোভাকিয়া |
![]() জার্মানি |
৩–২ | ![]() অস্ট্রিয়া |
||
১৯৩৮ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ইতালি |
৪–২ | ![]() হাঙ্গেরি |
![]() ব্রাজিল |
৪–২ | ![]() সুইডেন |
||
১৯৫০ বিস্তারিত |
![]() |
![]() উরুগুয়ে |
[৩০] | ![]() ব্রাজিল |
![]() সুইডেন |
[৩০] | ![]() স্পেন |
||
১৯৫৪ বিস্তারিত |
![]() |
![]() পশ্চিম জার্মানি |
৩–২ | ![]() হাঙ্গেরি |
![]() অস্ট্রিয়া |
৩–১ | ![]() উরুগুয়ে |
||
১৯৫৮ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ব্রাজিল |
৫–২ | ![]() সুইডেন |
![]() ফ্রান্স |
৬–৩ | ![]() পশ্চিম জার্মানি |
||
১৯৬২ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ব্রাজিল |
৩–১ | ![]() চেকোস্লোভাকিয়া |
![]() চিলি |
১–০ | ![]() যুগোস্লাভিয়া |
||
১৯৬৬ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ইংল্যান্ড |
৪–২ অতিরিক্ত সময়ে |
![]() পশ্চিম জার্মানি |
![]() পর্তুগাল |
২–১ | ![]() সোভিয়েত ইউনিয়ন |
||
১৯৭০ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ব্রাজিল |
৪–১ | ![]() ইতালি |
![]() পশ্চিম জার্মানি |
১–০ | ![]() উরুগুয়ে |
||
১৯৭৪ বিস্তারিত |
![]() |
![]() পশ্চিম জার্মানি |
২–১ | ![]() নেদারল্যান্ড |
![]() পোল্যান্ড |
১–০ | ![]() ব্রাজিল |
||
১৯৭৮ বিস্তারিত |
![]() |
![]() আর্জেন্টিনা |
৩–১ অতিরিক্ত সময়ে |
![]() নেদারল্যান্ড |
![]() ব্রাজিল |
২–১ | ![]() ইতালি |
||
১৯৮২ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ইতালি |
৩–১ | ![]() পশ্চিম জার্মানি |
![]() পোল্যান্ড |
৩–২ | ![]() ফ্রান্স |
||
১৯৮৬ বিস্তারিত |
![]() |
![]() আর্জেন্টিনা |
৩–২ | ![]() পশ্চিম জার্মানি |
![]() ফ্রান্স |
৪–২ অতিরিক্ত সময়ে |
![]() বেলজিয়াম |
||
১৯৯০ বিস্তারিত |
![]() |
![]() পশ্চিম জার্মানি |
১–০ | ![]() আর্জেন্টিনা |
![]() ইতালি |
২–১ | ![]() ইংল্যান্ড |
||
১৯৯৪ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ব্রাজিল |
০–০ অতিরিক্ত সময়ে (৩–২) টাইব্রেকারে |
![]() ইতালি |
![]() সুইডেন |
৪–০ | ![]() বুলগেরিয়া |
||
১৯৯৮ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ফ্রান্স |
৩–০ | ![]() ব্রাজিল |
![]() ক্রোয়েশিয়া |
২–১ | ![]() নেদারল্যান্ড |
||
২০০২ বিস্তারিত |
![]() ও ![]() |
![]() ব্রাজিল |
২–০ | ![]() জার্মানি |
![]() তুরস্ক |
৩–২ | ![]() দক্ষিণ কোরিয়া |
||
২০০৬ বিস্তারিত |
![]() |
![]() ইতালি |
১–১ অতিরিক্ত সময়ে (৫–৩) টাইব্রেকারে |
![]() ফ্রান্স |
![]() জার্মানি |
৩–১ | ![]() পর্তুগাল |
||
২০১০ বিস্তারিত |
![]() |
||||||||
২০১৪ বিস্তারিত |
দক্ষিণ আমেরিকা ২০০৭ নভেম্বরে দেশের নাম ঘোষিত হবে |
||||||||
২০১৮ বিস্তারিত |
ঘোষনার অপেক্ষায় |
[সম্পাদনা] সফল জাতীয় দল
সবমিলিয়ে মোট ৭৮টি দেশ কমপক্ষে একটি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে। এর মধ্যে ফাইনালে উঠেছে কেবল ১১টি এবং ফাইনালে জিতেছে মাত্র ৭টি দেশ। যে সাতটি দেশ বিশ্বকাপ জিতেছে তারা নিজেদের পোশাকে তারকা ব্যবহার করতে পারে। প্রতিটি তারকা একটি বিশ্বকাপ শিরোপা নির্দেশ করে।
পাঁচটি শিরোপা জিতে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল। এবং তারাই একমাত্র দল যারা এপর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবগুলো বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। সাম্প্রতিক ২০০৬ বিশ্বকাপের শিরোপাসহ চারটি শিরোপা নিয়ে ইতালি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। পরপর দুটি বিশ্বকাপ জয় করতে পেরেছে কেবল ব্রাজিল ও ইতালি, এবং প্রত্যেকেই তাদের প্রথম দুটি বিশ্বকাপ এভাবেই জিতেছে (ইতালি: ১৯৩৪ ও ১৯৩৮; ব্রাজিল: ১৯৫৮ ও ১৯৬২)। ১৯৭০ ও ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল ও ইতালি যখন ফাইনালে মোকাবিলা করেছে, তখন উভয় দলের সামনে যথাক্রমে প্রথম দল হিসেবে তৃতীয় শিরোপা ও প্রথম দল হিসেবে চতুর্থ শিরোপা লাভের দরজা খোলা ছিল। দুটি ফাইনালেই ব্রাজিল ইতালিকে হারিয়ে দেয় এবং ২০০২ সালে রেকর্ড পঞ্চম শিরোপা জেতে। তারা চারটি মহাদেশে আয়োজিত বিশ্বকাপই জিতেছে (ইউরোপ: ১৯৫৮; দক্ষিন আমেরিকা: ১৯৬২; উত্তর আমেরিকা: ১৯৭০ ও ১৯৯৪; এশিয়া: ২০০২)। একমাত্র যে আরেকটি দল তাদের মহাদেশের বাইরে আয়োজিত বিশ্বকাপ জিতেছে তারা হচ্ছে আর্জেন্টিনা (১৯৮৬ সালে উত্তর আমেরিকায়)।
যে সব দল পরপর দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে তারা হচ্ছে ইতালি, ব্রাজিল, পশ্চিম জার্মানি, আর্জেন্টিনা, এবং কখনো শিরোপা না জেতা নেদারল্যান্ড। পরপর তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা দল হচ্ছে ব্রাজিল (১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২) ও পশ্চিম জার্মানি (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০)। ব্রাজিল এই তিনটির দুটিতে জিতেছে (১৯৯৪, ২০০২) কিন্তু পশ্চিম জার্মানি কেবল একটিতে জিতেছে। আঠারোটি ফাইনালের মধ্যে কেবল দুবার একই প্রতিপক্ষ ফাইনালে খেলেছে। ব্রাজিল ও ইতালি খেলেছে ১৯৭০ ও ১৯৯৪ সালে, এবং পশ্চিম জার্মানি ও আর্জেন্টিনা খেলেছে ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে (পশ্চিম জার্মানি ও আর্জেন্টিনাই কেবল পরপর দুটি ফাইনালে পরস্পরের মোকাবিলা করেছে)। প্রতিটি ফাইনাল খেলায় ব্রাজিল, ইতালি, (পশ্চিম) জার্মানি, ও আর্জেন্টিনার একটি দল অন্তত অংশ নিয়েছে।
নিচে যে ২৪টি দল কোন বিশ্বকাপে শীর্ষ চারে স্থান পেয়েছে তাদের তালিকা দেয়া আছে। জার্মানি সর্বোচ্চ ১১ বার শীর্ষ চারে থেকেছে। ব্রাজিল ও জার্মানি সর্বোচ্চ ৭বার ফাইনালে খেলেছে।
দল | শিরোপা | রানার্স-আপ | তৃতীয় স্থান | চতুর্থ স্থান |
---|---|---|---|---|
![]() |
৫ (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২) | ২ (১৯৫০*, ১৯৯৮) | ২ (১৯৩৮, ১৯৭৮) | ১ (১৯৭৪) |
![]() |
৪ (১৯৩৪*, ১৯৩৮, ১৯৮২, ২০০৬) | ২ (১৯৭০, ১৯৯৪) | ১ (১৯৯০*) | ১ (১৯৭৮) |
![]() |
৩ (১৯৫৪, ১৯৭৪*, ১৯৯০) | ৪ (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২) | ৩ (১৯৩৪, ১৯৭০, ২০০৬*) | ১ (১৯৫৮) |
![]() |
২ (১৯৭৮*, ১৯৮৬) | ২ (১৯৩০, ১৯৯০) | - | - |
![]() |
২ (১৯৩০*, ১৯৫০) | - | - | ২ (১৯৫৪, ১৯৭০) |
![]() |
১ (১৯৯৮*) | ১ (২০০৬) | ২ (১৯৫৮, ১৯৮৬) | ১ (১৯৮২) |
![]() |
১ (১৯৬৬*) | - | - | ১ (১৯৯০) |
![]() |
- | ২ (১৯৭৪, ১৯৭৮) | - | ১ (১৯৯৮) |
![]() |
- | ২ (১৯৩৪, ১৯৬২) | - | - |
![]() |
- | ২ (১৯৩৮, ১৯৫৪) | - | - |
![]() |
- | ১ (১৯৫৮*) | ২ (১৯৫০, ১৯৯৪) | ১ (১৯৩৮) |
![]() |
- | - | ২ (১৯৭৪, ১৯৮২) | - |
![]() |
- | - | ১ (১৯৫৪) | ১ (১৯৩৪) |
![]() |
- | - | ১ (১৯৬৬) | ১ (২০০৬) |
![]() |
- | - | ১ (১৯৩০)[২৯] | ১ (১৯৬২) |
![]() |
- | - | ১ (১৯৩০)[২৯] | - |
![]() |
- | - | ১ (১৯৬২*) | - |
![]() |
- | - | ১ (১৯৯৮) | - |
![]() |
- | - | ১ (২০০২) | - |
![]() |
- | - | - | ১ (১৯৫০) |
![]() |
- | - | - | ১ (১৯৬৬) |
![]() |
- | - | - | ১ (১৯৮৬) |
![]() |
- | - | - | ১ (১৯৯৪) |
![]() |
- | - | - | ১ (২০০২*) |
- * = স্বাগতিক
- ^ = ১৯৫৪ ও ১৯৯০ সালে পশ্চিম জার্মানি হিসেবে খেলা গুলো অন্তর্ভুক্ত
- # = এ দেশগুলো কয়েকটি স্বাধীন দেশে বিভক্ত হয়েছে
[সম্পাদনা] স্বাগতিকের সাফল্য-ব্যর্থতা
বিশ্বকাপজয়ী সাতটি দলের ছয়টি দলই অন্তত একটি বিশ্বকাপ স্বাগতিক দেশ হিসেবে জিতেছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে ব্রাজিল, যারা ১৯৫০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেও বিশ্বকাপ জয় করতে পারেনি।
ইংল্যান্ড (১৯৬৬) ও ফ্রান্স (১৯৯৮) সালে তাদের একমাত্র বিশ্বকাপ স্বাগতিক হিসেবে জিতেছে। উরুগুয়ে (১৯৩০), ইতালি (১৯৩৪) ও আর্জেন্টিনা (১৯৭৮) সালে তাদের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি স্বাগতিক হিসেবে জিতেছে। জার্মানি (১৯৭৪) তাদের দ্বিতীয় শিরোপা নিজেদের মাটিতে জিতেছে।
অন্যান্য দেশও বিশ্বকাপ আয়োজন করে সাফল্য পেয়েছে। সুইডেন (১৯৫৮ সালে রানার্স-আপ), চিলি (১৯৬২ সালে তৃতীয়), দক্ষিন কোরিয়া (২০০২ সালে চতুর্থ স্থান), মেক্সিকো (১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল) এবং জাপান (২০০২ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড) এরা তাদের সেরা সাফল্য স্বাগতিক হিসেবেই পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোন স্বাগতিক দেশই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রথম ধাপ থেকে বাদ পড়েনি।
বছর | স্বাগতিক | অবস্থান |
---|---|---|
১৯৩০ | ![]() |
শিরোপা |
১৯৩৪ | ![]() |
শিরোপা |
১৯৩৮ | ![]() |
কোয়ার্টার ফাইনাল |
১৯৫০ | ![]() |
রানার্স-আপ |
১৯৫৪ | ![]() |
কোয়ার্টার ফাইনাল |
১৯৫৮ | ![]() |
রানার্স-আপ |
১৯৬২ | ![]() |
তৃতীয় স্থান |
১৯৬৬ | ![]() |
শিরোপা |
১৯৭০ | ![]() |
কোয়ার্টার ফাইনাল |
১৯৭৪ | ![]() |
শিরোপা |
১৯৭৮ | ![]() |
শিরোপা |
১৯৮২ | ![]() |
২য় রাউন্ড |
১৯৮৬ | ![]() |
কোয়ার্টার ফাইনাল |
১৯৯০ | ![]() |
তৃতীয় স্থান |
১৯৯৪ | ![]() |
২য় রাউন্ড |
১৯৯৮ | ![]() |
শিরোপা |
২০০২ | ![]() ![]() |
চতুর্থ স্থান ২য় রাউন্ড |
২০০৬ | ![]() |
তৃতীয় স্থান |
[সম্পাদনা] বিভিন্ন মহাদেশের শ্রেষ্ঠ সফলতা
এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল বিশ্বকাপের ফাইনলে কেবল ইউরোপীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলো অংশ নিয়েছে। দুটি মহাদেশই নয়টি করে শিরোপা জিতেছে। এই দুই মহাদেশের বাইরে কেবল দুটি দলই সেমি-ফাইনালে উঠতে পেরেছে: যুক্তরাষ্ট্র (১৯৩০ সালে) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (২০০২ সালে)। সাম্প্রতিককালে আফ্রিকার দলগুলো সফলতা পেলেও তারা কখনো সেমি-ফাইনালে পৌছুতে পারেনি। ওশেনিয়া অঞ্চলের দলগুলো কেবল তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে এবং মাত্র একটিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইউরোপীয় দলগুলি তাদের জেতা সবগুলো শিরোপাই উইরোপে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে জিতেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর বাইরে ইউরোপে শিরোপা জিতেছে এমন একমাত্র দেশ হচ্ছে ব্রাজিল, যারা ১৯৫৮ সালে ইউরোপে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছে। কেবল দুটি দল পরপর দুবার শিরোপা জিতেছে - ব্রাজিল ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে এবং ইতালি ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে।
কনফেডারেশন (মহাদেশ) | শ্রেষ্ঠ ফলাফল |
---|---|
উয়েফা (ইউরোপ) | ৯ শিরোপা,, ইতালি (৪), জার্মানি (৩), ইংল্যান্ড (১), ও ফ্রান্স (১) |
কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) | ৯ শিরোপা, ব্রাজিল (৫), আর্জেন্টিনা (২), ও উরুগুয়ে (২) |
কঙ্কাকাফ (উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয়) | সেমিফাইনাল (যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৩০)[২৯] |
এএফসি (এশিয়া) | চতুর্থ স্থান (দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০২) |
সিএএফ (আফ্রিকা) | কোয়ার্টার ফাইনাল (ক্যামেরুন, ১৯৯০; সেনেগাল, ২০০২) |
ওএফসি (ওশেনিয়া) | দ্বিতীয় রাউন্ড (অস্ট্রেলিয়া, ২০০৬)[৩১] |
[সম্পাদনা] পুরস্কার
এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: ফিফা বিশ্বকাপ পুরস্কার
প্রতিটি বিশ্বকাপ শেষে খেলোয়াড় ও দলের বিশেষ অর্জনের জন্য কিছু পুরষ্কার দেয়া হয়। বর্তমানে যহহয়টি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে:
- এডিডাস সোনালী জুতা শীর্ষ গোলদাতার জন্য (সাধারনভাবে গোল্ডেন শু বা গোল্ডেন বুট নামে পরিচিত, যা প্রথম দেয়া হয় ১৯৩০ বিশ্বকাপে); সর্বসাম্প্রতিককালে, রুপালী জুতা ও ব্রোঞ্জ জুতা দেয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা গোলদাতাকে;
- এডিডাস সোনালী বল শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের জন্য, যা গণমাধ্যম কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় (গোল্ডেন বল নামে পরিচিত, যা প্রথম দেয়া হয় ১৯৮২ বিশ্বকাপে); রুপালি বল ও ব্রোঞ্জ বল দেয়া হয় ভোটে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরাদের;
- ইয়েসিন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষকের জন্য (প্রথম দেয়া হয় ১৯৯৪ বিশ্বকাপে);
- ফিফা ফেয়ার প্লে ট্রফি যে দলের ক্রীড়া আচরন সবচেয়ে ভাল তাদের জন্য (প্রথম দেয়া হয় ১৯৭৮ বিশ্বকাপে);
- মোস্ট এন্টারটেইনিং টিম যে দলের খেলা দর্শকদের সবচেয়ে আনন্দ দেয় তাদের জন্য, দর্শক ভোটে নির্ধারন করা হয় (প্রথম দেয়া হয় ১৯৯৪ বিশ্বকাপে);
- জিলেট শ্রেষ্ঠ তরুন খেলোয়াড় ২১ বছরের কমবয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয় (প্রথম দেয়া হয় ২০০৬ বিশ্বকাপে).
পূর্ণ-তারকা দল শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের বাছাই করে বিশ্বকাপের শেষে একটি দল ঘোষোনা করা হয়, যেটি ১৯৯৮ বিশ্বকাপ থেকে চালু হয়েছে।
[সম্পাদনা] রেকর্ড ও পরিসংখ্যান
এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: ফিফা বিশ্বকাপ পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা] শীর্ষ গোলদাতা
গোল | গোলদাতা |
---|---|
১৫ | ![]() |
১৪ | ![]() |
১৩ | ![]() |
১২ | ![]() |
১১ | ![]() ![]() |
১০ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
৯ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
৮ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
৭ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
৬ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
৫ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
[সম্পাদনা] দ্রুততম গোল
সময় (সেকেন্ড) |
খেলোয়াড় | দল | প্রতিপক্ষ | বিশ্বকাপ |
---|---|---|---|---|
১১ | হাকান শুকুর | ![]() |
Template:KORf | ২০০২ কোরিয়া/জাপান |
১৫ | Václav Mašek | Template:TCHf | Template:MEXfold | ১৯৬২ চিলি |
২৩ | পাক সিউং-জিন | Template:PRKf | ![]() |
১৯৬৬ ইংল্যান্ড |
২৪ | আর্নস্ট লেহনার | Template:GERfold | ![]() |
১৯৩৪ ইতালি |
২৭ | ব্র্যায়ান রবসন | ![]() |
![]() |
১৯৮২ স্পেন |
৩৭ | বার্নার্ড লাকোম্বে | ![]() |
![]() |
১৯৭৮ আর্জেন্টিনা |
[সম্পাদনা] সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া খেলোয়াড়
Player | Appearances |
---|---|
![]() |
৫ (১৯৫০, ৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬) |
![]() |
৫ (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) |
![]() |
৪ (১৯৫০*, ৫৪, ৫৮*, ৬২*) |
![]() |
৪ (১৯৫০*, ৫৪, ৫৮, ৬২) |
![]() |
৪ (১৯৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬) |
![]() |
৪ (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) |
![]() |
৪ (১৯৫৮*, ৬২, ৬৬, ৭০) |
![]() |
৪ (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) |
![]() |
৪ (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) |
Template:Country data URS Lev Yashin | ৪ (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০*) |
![]() |
৪ (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪) |
![]() |
৪ (১৯৬২*, ৬৬, ৭০, ৭৪*) |
![]() |
৪ (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪) |
Template:Country data BUL Dobromir Zhechev | ৪ (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪*) |
![]() |
৪ (১৯৬৬*, ৭০, ৭৪, ৭৮) |
![]() |
৪ (১৯৭০*, ৭৪, ৭৮, ৮২) |
Template:Country data POL Władysław Żmuda | ৪ (১৯৭৪, ৭৮, ৮২, ৮৬) |
![]() |
৪ (১৯৭০*, ৭৪, ৭৮, ৮৬*) |
![]() |
৪ (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৪) |
![]() |
৪ (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৮) |
Template:Country data BEL Enzo Scifo | ৪ (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) |
Template:Country data BEL Franky Van Der Elst | ৪ (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) |
![]() |
৪ (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) |
Template:Country data KOR Hong Myung-Bo | ৪ (১৯৯০, ৯৪, ৯৮, ০২) |
Template:Country data KOR Hwang Sun-Hong | ৪ (১৯৯০, ৯৪, ৯৮*, ০২) |
![]() |
৪ (১৯৯০, ৯৪, ৯৮, ০২) |
![]() |
৪ (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২) |
Template:Country data BEL Marc Wilmots | ৪ (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২) |
Template:Country data CMR Jacques Songo'o | ৪ (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২*) |
![]() |
৪ (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬*) |
![]() |
৪ (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬) |
![]() |
৪ (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬) |
![]() |
৪ (১৯৯৪*, ৯৮, ০২, ০৬) |
![]() |
৪ (১৯৯৪*, ৯৮*, ০২, ০৬) |
![]() |
৪ (১৯৯০*, ৯৮, ০২*, ০৬) |
![]() |
৪ (১৯৯৪*, ৯৮, ০২, ০৬) |
*Did not play but was part of the squad.
[সম্পাদনা] ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ী অধিনায়ক ও ম্যানেজার
ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, পশ্চিম জার্মানি, একমাত্র ব্যক্তি যিনি অধিনায়ক (১৯৭৪) ও কোচ (১৯৯০) হিসবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। মারিও জাগালো, ব্রাজিল, একমাত্র ব্যক্তি যিনি চারবার বিশ্বকাপ জিতেছেন, দুইবার খেলোয়াড় হিসেবে (১৯৫৮ ও ১৯৬২), একবার কোচ (১৯৭০) এবং একবার সহকারী কোচ হিসেবে (১৯৯৪)।
বছর | অধিনায়ক | কোচ | দল |
---|---|---|---|
১৯৩০ | José Nasazzi | Alberto Suppici | Template:URUf |
১৯৩৪ | Giampiero Combi | Vittorio Pozzo | Template:ITAfold |
১৯৩৮ | Giuseppe Meazza | Vittorio Pozzo | Template:ITAfold |
১৯৫০ | Obdulio Varela | Juan López | Template:URUf |
১৯৫৪ | Fritz Walter | Sepp Herberger | Template:FRGf |
১৯৫৮ | Hilderaldo Bellini | Vicente Feola | Template:BRAf |
১৯৬২ | Mauro Ramos | Aymoré Moreira | Template:BRAf |
১৯৬৬ | Bobby Moore | Alf Ramsey | ![]() |
১৯৭০ | Carlos Alberto | Mário Zagallo | Template:BRAf |
১৯৭৪ | Franz Beckenbauer | Helmut Schön | Template:FRGf |
১৯৭৮ | Daniel Passarella | César Luis Menotti | Template:ARGf |
১৯৮২ | Dino Zoff | Enzo Bearzot | ![]() |
১৯৮৬ | Diego Maradona | Carlos Bilardo | Template:ARGf |
১৯৯০ | Lothar Matthäus | Franz Beckenbauer | Template:FRGf |
১৯৯৪ | Dunga | Carlos Alberto Parreira | Template:BRAf |
১৯৯৮ | Didier Deschamps | Aimé Jacquet | ![]() |
২০০২ | Cafu | Luiz Felipe Scolari | Template:BRAf |
২০০৬ | Fabio Cannavaro | Marcello Lippi | ![]() |
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ টিভি প্রচারনা, ফিফা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑ ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের খেলা নং - ১
- ↑ ৩.০ ৩.১ Where it all began ফিফা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, তথ্য উদ্ধারঃ এপ্রিল ১০ ২০০৬।
- ↑ 'The First World Cup'. The Sir Thomas Lipton Trophy. Shrewsbury and Atcham Borough Council. তথ্য উদ্ধারঃ এপ্রিল ১১ ২০০৬.
- ↑ VII. Olympiad Antwerp 1920 Football Tournament rec.sport.soccer Statistics Foundation. তথ্য উদ্ধারঃ জুন ১০ ২০০৬.
- ↑ The Football World Cup - An Introduction, h2g2. তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑ উরুগুয়ে ১৯৩০ ফিফা বিশ্বকাপ সাইট. তথ্য উদ্ধারঃ জানুয়ারি ৯ ২০০৬.
- ↑ FIFA World Cup Originপিডিএফ (53.6 KiB), FIFA Media Release. তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑ স্কটল্যান্ড এবং ১৯৫০ বিশ্বকাপ, বিবিসি তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩ ২০০৬।
- ↑ Record number of 204 teams enter preliminary competition
- ↑ ভুটান - দলের প্রোফাইল, ফিফা বিশ্বকাপ সাইট, তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑ Jules Rimet Cup, ফিফা বিশ্বকাপ সাইট, তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬।
- ↑ ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি, ফিফা বিশ্বকাপ সাইট। তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬।
- ↑ Matches and Results, ফিফা বিশ্বকাপ সাইট, তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬
- ↑ Brazil’s Juan warns against complacency, ফিফা বিশ্বকাপ সাইট। তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑ Regulations of the ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ (page 40–41). (PDF) Retrieved on ২০০৬-০৫-২২.
- ↑ ১৯৩০ বিশ্বকাপের ইতিহাস, বিবিসি। তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑ ফ্রান্স ১৯৩৮, ফিফা বিশ্বকাপ সাইট। তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑ ব্রাজিল ও কলম্বিয়া ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ™ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে. ফিফা: (২০০৬-১২-১৯). Retrieved on ২০০৬-১২-২০.
- ↑ ব্রাজিল confirms bid - কলম্বিয়া withdraws. ফিফা: (২০০৭-০৪-১৩). Retrieved on ২০০৭-০৪-১৩.
- ↑ Others ready if ব্রাজিল blow ২০১৪ bid, says Blatter. The Guardian: (২০০৬-12-17). Retrieved on ২০০৬-12-20.
- ↑ ব্রাজিল in position to host ২০১৪ বিশ্বকাপ. TSN: (২০০৬-০৯-২৮). Retrieved on ২০০৬-১১-০২.
- ↑ Benelux trio to apply to host ২০১৮ বিশ্বকাপ. ESPN: (২০০৬-১০-১৬). Retrieved on ২০০৬-১০-১৮.
- ↑ Blatter: ২০১৮ বিশ্বকাপ উত্তর আমেরিকায় হওয়া উচিত. ESPN Soccernet: (2007-02-28). Retrieved on 2007-04-13.
- ↑ "FA ready to answer World Cup call", The Times, News International Newspapers Limited, 2007-04-30. Retrieved on 2007-05-21.
- ↑ ফিফা নিউজলেটার জুন ১৯৯৭, - জোসেফ এস. ব্ল্যাটার, ফিফা মহাসচিব. তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑
- ↑ Socceroos face major challenge: Hiddink, ABC Sport, ডিসেম্বর ১০, ২০০৫. তথ্য উদ্ধারঃ মে ১৩, ২০০৬.
- ↑ ২৯.০ ২৯.১ ২৯.২ ২৯.৩ There was no official বিশ্বকাপ Third Place match in ১৯৩০ and no official third place was awarded; যুক্তরাষ্ট্র and যুগোস্লাভিয়া lost in the semi-finals.
- ↑ ৩০.০ ৩০.১ There was no official বিশ্বকাপ final match in ১৯৫০. The tournament winner was decided by a final round-robin group contested by four teams (উরুগুয়ে, ব্রাজিল, সুইডেন, and স্পেন). However, উরুগুয়ে's 2-1 victory over ব্রাজিল (a match known as Maracanazo) was the decisive match (and also coincidentally one of the last two matches of the tournament) which put them ahead on points and ensured that they finished top of the group as world champions. Therefore, this match is often considered the "final" of the ১৯৫০ বিশ্বকাপ [1]পিডিএফ (149 KiB). Likewise, সুইডেন's 3-1 victory over স্পেন (played at the same time as উরুগুয়ে vs ব্রাজিল) ensured that they finished third.
- ↑ Australia represented the OFC after qualifying through the Oceanian zone as an OFC member, even though they left the OFC and joined the AFC as of January 1 2006.
- ↑ There was a controversy regarding the number of goals scored by the Ademir in ১৯৫০ because of incomplete data from the final group round game against স্পেন, that ended in a 6-1 victory for ব্রাজিল. The first goal had been credited to Spanish defender Parra as an own goal, and the fifth ব্রাজিলian goal was credited to Jair. However, recently ফিফা credited Ademir with both these goals, thus making him the ১৯৫০ বিশ্বকাপ top scorer, with nine goals.
- ↑ ফিফা initially credited Leônidas with eight goals in ১৯৩৮. However, ফিফা changed it to seven goals in November ২০০৬, meaning he scored a total of eight goals overall (he scored one goal in ১৯৩৮). In some sources. Leônidas was credited with nine goals in the ১৯৩৮ tournament, mis-crediting one ব্রাজিলian goal in the first-round match against পোল্যান্ড.
- ↑ ফিফা initially credited Nejedlý with only four goals in ১৯৩৪. However, ফিফা changed it to five goals in November ২০০৬, meaning he scored a total of seven goals overall (he scored two goals in ১৯৩৮). [2]
[সম্পাদনা] আরও দেখুন
- ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ
- ফিফা বিশ্বকাপ মাস্কট
[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ
- FIFA official site
- FIFA World Cup Germany 2006 Official Site
- FIFA Official Ranking of all Participants at Finals 1930-2002পিডিএফ (80.1 KiB)
- FIFA Match Results for all Stages 1930–2002
- World Cup resource site
- Official FIFA World Cup Charity Campaign
বিশ্বকাপ ফুটবল আসর সমূহ |
---|
•উরুগুয়ে ১৯৩০ •ইতালি ১৯৩৪ •ফ্রান্স ১৯৩৮ •ব্রাজিল ১৯৫০ •সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪ •সুইডেন ১৯৫৮ •চিলি ১৯৬২ •ইংল্যান্ড ১৯৬৬ •মেক্সিকো ১৯৭০ •পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ •আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ •স্পেন ১৯৮২ •মেক্সিকো ১৯৮৬ •ইতালি ১৯৯০ •যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ •ফ্রান্স ১৯৯৮ •কোরিয়া/জাপান ২০০২ •জার্মানি ২০০৬ •দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ |
Template:Featured article