ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | ||
![]() |
||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||
---|---|---|
জন্মতারিখ | ফেব্রুয়ারি ৫, ১৯৮৫ | |
জন্মস্থান | ফান্তাল, পর্তুগাল | |
উচ্চতা | ১.৮৪ মি (৬' ০")[১] | |
ডাকনাম | রোনালদো, রুনি, রকেট রোনালদো, অ্যাসওয়াইপ |
|
অবস্থান | ডান উইঙ্গার, ফরোয়ার্ড | |
ক্লাব তথ্য | ||
বর্তমান ক্লাব | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | |
নম্বর | ৭ | |
যুব ক্লাব | ||
আন্দরিনহা সিডি ন্যাসিওনাল পর্তুগাল স্পোর্টিং ক্লাব |
||
পেশাদারী ক্লাব* | ||
বছর | ক্লাব | উপস্থিতি (গোল) |
১৯৯৯-২০০৩ ২০০৩–বর্তমান |
পর্তুগাল স্পর্টিং ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড |
২৮ (৩) ১২৯ (৩৫) |
জাতীয় দল | ||
২০০৩ – বর্তমান | পর্তুগাল | ৪৬ (১৭) |
* পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা |
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (জন্ম ফেব্রুয়ারি ৫, ১৯৮৫) পর্তুগীজ ফুটবল তারকা। তিনি ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লীগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে খেলে থাকেন। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] জীবনী
তিনি পর্তুগালের মাদিয়েরাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জোসে দিনিস এভেরিও ও মা মারিয়া ডোলোরেস দস সান্তোস এভেরিও। বড় ভাই হুগো এবং বড় দুবোন এলমা ও কাতিয়ার সাথে তিনি বেড়ে উঠেছেন। কাতিয়া পর্তুগালের একজন গায়িকা। মঞ্চে তিনি "রোনাল্ডা" নামে গান করেন।
রোনালদোর নামটি পর্তুগালে সচরাচর দেখা যায় না। তার বাবা-মা আমেরিকান রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রেগানের সাথে মিলিয়ে এ নাম রাখেন।
[সম্পাদনা] প্রাথমিক ক্যারিয়ার
তিন বছর বয়স থেকে রোনালদো ফুটবলের সংস্পর্শে আসেন। তিনি ছয় বছর বয়স থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলতে শুরু করেন। কৈশোরে তার প্রিয় দল ছিল "বেনফিকা" যদিও তিনি তাদের প্রতিপক্ষ "স্পোর্টিং ক্লাবে দি পর্তুগালে" যোগদান করেন। তিনি মাত্র আট বছর বয়সে প্রথমে "আন্দোরিনহা" নামে একটি অপেশাদার দলে তার ক্রীড়াজীবন শুরু করেন, যেখানে তার বাবা কাজ করতেন। ১৯৯৫ সালে, দশ বছর বয়সের মধ্যেই পর্তুগালে তার সুনাম ছড়াতে থাকে। মাদিয়েরার শীর্ষ দুটি দল "সিএস মারিতিমো" ও "সিডি ন্যাশিওনাল" তাকে পেতে উম্মুখ ছিল। অপেক্ষাকৃত বড় দল মারিতিমো আন্দোরিনহার ব্যবস্থাপকের সাথে একটি মিটিং-এ অংশ নিতে পারেননি। ফলে সিডি ন্যাশিওনাল রোনালদো কে হস্তগত করে। ন্যাশিওনালের হয়ে সে মৌসুমে শিরোপা জেতার পর স্পোর্টিং দলের সাথে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন।
[সম্পাদনা] স্পোর্টিং ক্লাবে দি পর্তুগাল
রোনালদো স্পোর্টিং এর অন্যান্য তরুন খেলোয়াড়ের সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দলে "ফুটবল কারখানা" হিসেবে পরিচিত Alcochete তে। এখানে তিনি প্রথম-শ্রেনীর প্রশিক্ষণ পান। স্পোর্টিং বুঝতে পারে রোনালদোর আরো সমর্থন দরকার। তাই তারা রোনালদোর মাকে তার কাছে রাখার ব্যবস্থা নেয়। স্পোর্টিং-এর পক্ষে তার অভিষেক খেলায় তিনি দুই গোল করেন মোরেইরেন্সের (Moreirense) বিপক্ষে। তিনি পর্তুগালের হয়ে উয়েফা অনুর্ধ ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছেন।
উয়েফা অনুর্ধ ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে তার কৃতিত্বের কারনে তিনি ফুটবল বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষনে সমর্থ হন। লিভারপুলের সাবেক ম্যানেজার জেরার্ড হুলিয়ার ১৬ বছর বয়সের রোনালদোর দিকে আকৃষ্ট হন। কিন্তু লিভারপুল তাকে দলে নিতে অস্বীকৃতি জানায় কারন তিনি ছিলেন খুবই কম বয়সী ও শীর্ষ ফুটবলার হতে তার আরো সময় দরকার ছিল।[২] ২০০৩ সালের গ্রীষ্মে তিনি স্যার এলেক্স ফার্গুসনের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হন যখন লিসবনে স্তাদিও জোসে এলভালাদে স্টেডিয়াম উদ্বোধনের জন্য আয়োজিত খেলায় স্পোর্টিং ৩-১ গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে দেয়। রোনালদো দুই উইংএই খেলার দক্ষতা দেখান। এই খেলার পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা তরুন রোনালদোর প্রশংসা করেন ও বলেন ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে খেলার চেয়ে তাকে নিজেদের দলে খেলতে দেখতে চান।[২]
[সম্পাদনা] ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ডেভিড বেকহ্যাম রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাওয়ার পর ফার্গুসন সিদ্ধান্ত নেন তিনি রোনালদোকে দলে নেবেন। রোনালদো ১২.২৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেন।[1] ওল্ড ট্রাফোর্ডে বোল্টন ওয়ান্ডারার্সের বিরুদ্ধে ৬০তম মিনিটের পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে রোনালদোর ম্যানচেস্টারের পক্ষে অভিষেক হয়। তখন ইউনাইটেড ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। তিনি একটি পেনাল্টি জিতেন, তবে রুড ভ্যান নিস্তেলরয় সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি। তবে এখেলার ফলাফলে সেটির কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়েনি, ইউনাইটেড এতে ৪-০ গোলে জয়ী হয়। রোনালদোকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঐতিহ্যবাহী ৭ নং জার্সি দেয়া হয়, যেটি পড়ে একসময় মাঠ কাঁপিয়েছেন জর্জ বেস্ট, ব্রায়ান রবসন, এরিক ক্যান্টোনা ও ডেভিড বেকহ্যাম। তবে রোনালদো শুরুতে ২৮ নং জার্সি চেয়েছিলেন যেটি পড়ে তিনি স্পোর্টিং এ খেলতেন, কারন তিনি ৭ নং জার্সির প্রত্যাশার চাপ বহন করতে চাননি।[৩] তিনি ইউনাইটেডের হয়ে মূলত উইঙ্গার হিসেবে খেলেছেন এবং যেকোন উইংএই তিনি খেলতে সক্ষম।
২০০৬ সালে ক্যারিংটন প্রশিক্ষন শিবিরে রুড ভ্যান নিস্তেলরয় ও রোনালদোর মাঝে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। ফলে দলে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।[৪] তবে রোনালদো ইউনাইটেডের সাথে ২০১০ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তি করেন। রোনালদো বলেন যে, ইউনাইটেড তার পাশে দাঁড়িয়েছে তাই তিনি ইউনাইটেডের পাশে দাঁড়িয়ে তার প্রতিদান দিতে চান।[৫]
খেলার সময় মাঝে মাঝে রোনালদোর মেজাজ চড়ে যায়। ম্যানচেস্টার সিটির সাথে একটি খেলায় তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেয়া হয়। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে বেনফিকার একজন সমর্থককে "এক-আঙ্গুলের ইঙ্গিত" করায় উয়েফা রোনালদোকে এক খেলার জন্য সাসপেন্ড করে।[৬] পর্তুগালের হয়ে লুক্সেমবার্গের সাথে একটি প্রীতি খেলায় জেফ স্ট্রসার তাকে অবৈধভাবে বাধা দেয়ার পর তিনি জেফের গলা ধাক্কা দেন, ফলে একটি হলুদ কার্ড পান। পর্তুগালের তৎকালীন কোচ ফিলিপ স্কলারি রোনালদোকে ২০০৬ বিশ্বকাপে মাথা গরম করার ব্যাপারে সতর্ক করেন।[৭]
২০০৫ সালের ২৯শে অক্টোবরে রোনালদো প্রিমিয়ারশিপে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষে ১০০০তম গোল করেন। মিডলসব্রোর বিরুদ্ধে এই খেলায় ইউনাইটেড ৪-১ গোলে পরাজিত হয়। ফেব্রুয়ারিতে তিনি ফুলহামের বিরুদ্ধে হোম ও অ্যাওয়ে দুটি খেলাতেই দুটি করে গোল(ডাবল ডাবল) করেন। এর পরের খেলাতে উইগানের বিরুদ্ধে আবার গোল করে প্রিমিয়ারশিপে তার গোল সংখ্যা ৮ এ উন্নীত করেন। ২০০৬ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি কার্লিং কাপের ফাইনালে কার্ডিফের মিলেনিয়াম স্টেডিয়ামে তিনি উইগানের বিরুদ্ধে গোল করলে মৌসুমে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ১০।
২০০৫ সালে তাকে ফিফপ্রো বিশেষ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড় ঘোষনা করা হয়। এটিই একমাত্র পুরস্কার যা সমর্থকের ভোটের মাধ্যমে দেয়া হয়। ২০০৬ সালেও তিনি এ পুরস্কার পান। ২০০৫ সালের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় তালিকায় তিনি ২০ নম্বর অবস্থানে ছিলেন।
২০০৬ সালে বিশ্বকাপের পর দলে খেলতে এসে বিশ্বকাপের সেই ঘটনা সত্ত্বেও অধিকাংশ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকের কাছে রোনালদোর জনপ্রিয়তা কমেনি। ফুলহামের সাথে ৫-১ ব্যবধানে জেতার সময় অনেক দর্শকের গলা থেকে শোনা গেছে রোনালদো অদ্বিতীয়।
২০০৬ সালের নভেম্বরে তিনি বার্কলে মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। মিডলসব্রোর সাথে একটি খেলায় বিপক্ষ দলের ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে যাওয়ার জন্য রোনালদোর সমালোচনা করেন। [৮]
২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসেই রোনালদো ইউনাইটেডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিনত হন, পরপর তিনটি লীগ খেলায় ছয় গোল করে প্রিমিয়ারশিপে মোট গোলসংখ্যা উন্নীত করেন ১২ তে। উইগানের সাথে একটি খেলায় মধ্য-বিরতিতে তাকে নামানো হলে তিনি সাথে সাথে তার দক্ষতা দেখান কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের ম্যানেজার স্যার এলেক্স ফার্গুসন বলেছিলেন মৌসুমে ১৫ গোল না করলে রোনালদোর বেতন কমিয়ে দেবেন। পরে স্যার এলেক্স মন্তব্য করেন যে রোনালদো তাকে খুশি করেছে কারন সে কঠোর পরিশ্রম করে। তিনি আরো বলেন, রোনালদো এখনো খেলা শিখছে, এবং পাস দেয়াতে তার দক্ষতা মৌসুমে তাকে সাহায্য করেছে। তার পাস খুব নিখুত। এতেই বোঝা যায় সে খেলোয়াড় হিসেবে পরিনত হয়েছে। সে অসাধারন ও সময়ের সাথে আরো উন্নতি করছে।[৯]
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে রোনালদো পরপর দ্বিতীয় মাসের জন্য বার্কলে মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আবার নির্বাচিত হন। প্রিমিয়ারশিপের ইতিহাসে এটি তৃতীয় ঘটনা। এর আগে আর্সেনালের ডেনিস বের্গক্যাম্প ১৯৯৭ ও রবি ফাউলার ১৯৯৬ সালে পরপর দুইমাস এ পুরস্কার জিতেছেন।[১০][১১] ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে টোটেনহামের সাথে একটি খেলায় পেনাল্টি আদায় করার পর রোনালদোর বিরুদ্ধে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়। [১২]
প্রতি মৌসুমের শেষের দিকে বিশেষ করে ২০০৬ ও ২০০৭ সালে, রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদ দলে খেলতে ইচ্ছুক বলে গুজব ওঠা একটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। মূলত রিয়াল মাদ্রিদের থেকেই এই গুজবের সূত্রপাত, যারা ২০০৭ এর এপ্রিলে ৮০ মিলিয়ন ইউরোর (৫৪ মিলিয়ন পাউন্ড) বিনিময়ে রোনালদোকে কিনতে প্রস্তুত ছিল।[১৩] তবে ২০০৭ সালের মার্চ মাসের শুরুতে রোনালদো ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিশ্চিত করে যে তার বর্তমান চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা শুরু হচ্ছে। ১৩ এপ্রিল ২০০৭ তারিখে রোনালদো প্রতি সপ্তাহে ১২০,০০০ পাউন্ডের বিনিময়ে ইউনাইটেডের সাথে পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি করেন যা ইউনাইটেডের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। [১৪] তিনি বলেন, "আমি দলে খুশি ও আমি ট্রফি জিততে চাই। আশাকরি এই মৌসুমেই আমরা সেটা করব।" [১৫]
প্রিমিয়ারশিপের ২০০৬-০৭ মৌসুমের জন্য এপ্রিল ২২, ২০০৭ তারিখে রোনালদো পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও পিএফএ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। এই দুটি পুরস্কার ছাড়াও (যেটি ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে এর আগে পেয়েছেন কেবল অ্যান্ডি গ্রে)[১৬] রোনালদো, ম্যানচেস্টারের আরো সাতজন সহযোগীসহ পিএফএ প্রিমিয়ারশিপের বর্ষসেরা দলের সদস্য নির্বাচিত হন। ২৪ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে রোনালদো পিএফএ সমর্থক রায়ে বর্ষসেরা খেলোয়াড় মনোনীত হন, যেটির অধিকাংশ ভোট দেন সারা যুক্তরাজ্যের সমর্থকেরা। এছাড়া ২০০৭ সালে তিনি পর্তুগীজ বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও ২০০৭ সালের মে মাসের শুরুতে তিনি ফুটবল লেখক সংস্থার পুরস্কারও জেতেন।
রোনালদো ইউনাইটেডের পক্ষে তার ৫০তম গোল করেন চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে যেটি ৪ বছর পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে লীগ শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিয়েছে।
[সম্পাদনা] আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
২০০৩ সালের আগস্টে কাজাখস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোনালদোর অভিষেক হয়। ইউরো ২০০৪ এর উদ্বোধনী যে খেলায় গ্রীসের বিরুদ্ধে পর্তুগাল ২-১ গোলে হেরে যায়, তাতে তিনি ছিলেন পর্তুগালের একমাত্র গোলদাতা। সেমি-ফাইনালে পর্তুগাল নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয়ী হয় এবং সেটির প্রথম গোল তিনিই করেন। ফাইনালে উদ্বোধনী খেলার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং গ্রীস পর্তুগালকে হারিয়ে ইউরো ২০০৪ চ্যাম্পিয়ন হয়।
২০০৪ গ্রীষ্ম অলিম্পিকে তিনি পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিনি ৭ গোল করে ইউরোপীয় অঞ্চলের দ্বিতীয় সেরা গোলদাতা হয়েছিলেন। ১৭ জুন, ২০০৫ পর্যন্ত পর্তুগালের পক্ষে ২৫ খেলায় তিনি ১১ গোল করেন।
ইরানের বিরুদ্ধে পেনাল্টি কিক থেকে রোনালদো বিশ্বকাপে তার প্রথম গোল করেন।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে পর্তুগালের সাথে নেদারল্যান্ডের খেলায় খালিদ বোলারুজের সাথে সংঘর্ষে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন। এ খেলায় পর্তুগাল ১-০ গোলে জয়ী হয়।
২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায় রোনালদো প্রথমবারের মত জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। পর্তুগীজ ফুটবল ফেডারেশন চেয়ারম্যান কার্লোস সিলভার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার জন্য, যিনি খেলার দুই দিন আগে মারা যান, রোনালদোকে অধিনায়ক করা হয়। পর্তুগালের কোচ স্কলারি ব্যাখ্যা করেন, "মি. সিলভা আমাকে তাকে (রোনালদোকে) অধিনায়ক করতে বলেন। তিনি মনে করেছিলেন ইংরেজ দর্শক তাকে অনেক কষ্ট দেবে এবং এটা সেটার জবাব। সে দলনায়ক হওয়ার জন্য খুবই কম বয়সী, কিন্তু মি. সিলভা আমকে বলেছিলেন, এবং আজ তিনি আমাদের মাঝে আর নেই।"[১৭]
[সম্পাদনা] বিশ্বকাপের ঘটনা
২০০৬ সালের ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত ২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ও পর্তুগালের একটি খেলায় ইউনাইটেড সহযোগী ওয়েইন রুনিকে লাল কার্ড দেয়ার ব্যাপারে রোনালদোর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ইংরেজ গণমাধ্যম এই লাল কার্ড দেয়ার পিছনে রোনালদোর ভূমিকা আছে বলে সরব হয়। রোনালদো তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার কাছে মনে হয় তার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে যাওয়া উচিত, কেননা তখনকার অবস্থা সেখানে খেলার উপযুক্ত ছিলনা।[১৮]
স্প্যানিশ দৈনিক মার্সাকে দৃঢ় কন্ঠে রোনালদো বলেন, “আমি আমার এজেন্টকে বলেছি আমি ছেড়ে যেতে প্রস্তুত। আমি এটা যতটা সম্ভব ভালভাবে করতে চাই। আমি রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে চাই এবং এটা আমার একটি স্বপ্ন।”[১৯] ৯ জুলাই তিনি একটি পর্তুগীজ চ্যানেল এসআইসিকে বলেন, তার বিরুদ্ধে চলমান বাকযুদ্ধ ও ভবিষ্যত সম্পর্কে জল্পনা-কল্পনার কোন অর্থ খুজে পান না। রোনালদো বলেন পর্তুগাল ইংল্যান্ডকে যে খেলায় হারিয়ে দিয়েছে সেখানে তিনি কোন খারাপ আচরন করেননি এবং তাকে পর্তুগালের সম্মান রক্ষা করার জন্য দোষারোপ করাও উচিত নয়। তিনি আরো বলেন, যেখানে লোকজন তাকে পছন্দ করে না সেখানে তিনি বসবাস কিংবা কাজ করতে পারবেন না, তাই তিনি ইংল্যান্ড ছেড়ে গেলেই খুশি হবেন।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার পর রোনালদো ইংরেজ ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলির রোষানলে পড়েন। দি সান তার চোখ টেপার ছবি দিয়ে একটি ডার্ট বোর্ড তৈরী করে যেরকম বোর্ড দি ডেইলি মিরর ১৯৯৮ বিশ্বকাপে বেকহ্যামের জন্য বানিয়েছিল।[২০][২১][২২]
রোনালদো বলেছেন রুনি তার বন্ধু এবং তিনি রুনিকে লাল কার্ড পেতে সাহায্য করেননি।[২৩] রুনি বলেন, "ক্রিস্টিয়ানোর প্রতি আমার কোন খারাপ মনোভাব নেই তবে এই ঘটনায় তার জড়ানোয় আমি দুঃখ পেয়েছি।"[২৪]
ফিফা শৃংখলা কমিটি লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনা তদন্ত করে রুনিকে দুটি খেলাতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং ৫,০০০ সুইস ফ্রাঁ (২,২০৭ পাউন্ড) জরিমানা করে।
খেলার পর রোনালদো স্বীকার করেন রিয়াল মাদ্রিদ তাকে পেতে আগ্রহী এবং তিনি নিজেও গ্রীষ্মের দলবদলের মৌসুমে দলত্যাগ করে রিয়ালে বা অন্য কোন দলে যেতে আগ্রহী।[২৫]
৫ জুলাই ফ্রান্সের কাছে পর্তুগাল সেমি-ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায়। এ খেলায় যখনই রোনালদোর কাছে বল যায় তখনই ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সমর্থকেরা রোনালদোর উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে দুয়ো ধ্বনি দিতে থাকে। রোনালদো ও তার সতীর্থদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে গিয়ে রেফারির ওপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উত্থাপিত হয়।[২৬][২৭][২৮][২৯][৩০] এই অভিযোগ রোনালদোর বিরুদ্ধে আগেও ছিল এবং একারনে প্রিমিয়ারশিপে তাকে একাধিকবার হলুদ কার্ড পেতে হয়েছে।[৩১][৩২][৩৩] অনলাইনে ভোটের মাধ্যমে ফিফা শ্রেষ্ঠ তরুন খেলোয়াড় নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে যাওয়ার পর বিবিসি স্পোর্ট প্রকাশ করে যে, ইংল্যান্ডের সমর্থকেরা তার বিরুদ্ধে ই-মেইল প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা রোনালদোকে পুরস্কার বঞ্চিত করার জন্য লুইস ভ্যালেন্সিয়াকে ভোট দেয়ার প্রচারণা চালায় যিনি রোনালদোর পর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন।[৩৪] যদিও অনলাইন ভোট কেবল মনোনয়ন কাজকেই প্রভাবিত করেছে, ফিফা টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপ জার্মানির লুকাস পোদোলস্কিকে শ্রেষ্ঠ তরুন খেলোয়াড় নির্বাচন করে এবং রোনালদোর আচরনকে এই পুরস্কার না জেতার একটি নিয়ামক হিসেবে উল্লেখ করে।[৩৫]
১২ জুলাই ইউনাইটেড একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলে, "দল নিশ্চিত করছে যে রোনালদোকে বিক্রির কোন সম্ভাবনা নেই। ক্রিস্টিয়ানো সাম্প্রতিক সময়ে একটি নতুন চুক্তি করেছে যা ২০১০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী এবং দল প্রত্যাশা করে তিনি চুক্তির মর্যাদা রাখবেন। দল ক্রিস্টিয়ানোর জন্য কোন প্রস্তাব বিবেচনা করবে না," এবং ১৭ জুলাই স্যার এলেক্স ফার্গুসন বলেন, "ক্রিস্টিয়ানো ফেরত আসবে।" চেলসি ম্যানেজার জোসে মরিনহো বলেন, "সে যদি ইংল্যান্ডে থাকে, তবে সব পরিবর্তন করবে।"[৩৬][৩৭] স্যার এলেক্স ফার্গুসন সহকারী বস কার্লোস কুইরোজকে পর্তুগালে পাঠান যাতে রোনালদোর মতের পরিবর্তন হয়[৩৮] এবং রুনি রোনালদোকে দল না ছাড়তে অনুরোধ করেন ও তাদের মতপার্থক্য ভুলে যেতে বলেন।[৩৯] শেষপর্যন্ত, রোনালদো ২০০৬-০৭ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই থেকে যান।
[সম্পাদনা] ব্যক্তিগত জীবন
২০০৫ সালের অক্টোবরে রোনালদো ও আরেকজনকে পুলিশ যৌন নিপীড়নের দায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রোনালদো অভিযোগ অস্বীকার করেন। পুলিশ পরে যথেষ্ঠ প্রমাণের অভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেনি।[৪০]
রোনালদো অনেক দাতব্য কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকেছেন। ২০০৫ সালের জুনে তিনি মার্তুনিস নামে এক ১১ বছর বয়সী সুনামি থেকে বেঁচে যাওয়া ইন্দোনেশিয়ান ও তার বাবাকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দেখার সুযোগ করে দেন, যার সম্পূর্ণ খরচ তিনি নিজে বহন করেন। পরে সব খেলোয়াড়েরা মিলে তার জন্য ইন্দোনেশিয়ায় একটি বাড়ি কিনতে সাহায্য করেন।[৪১][৪২]
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রিস্টিয়ানো তার নিজ শহরে "সিআর৭ (CR7)" নামে একটি ফ্যাশন স্টোর স্থাপন করেন। তার বোনেরা এটির দেখাশোনা করেন
দুটি বিশ্বকাপ বাছাই খেলার পর রোনালদো ইন্দোনেশিয়ায় যান। তিনি সেখানকার সুনামিদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অর্থ-সাহায্য তুলতে অংশ নেন। তিনি ইন্দোনেশিয়ার উপ-রাষ্ট্রপতি জুসুফ কাল্লা ও পূর্ব টিমোরের রাষ্ট্রপতি জানানা গুসমাওর সাথে দেখা করেন এবং তার নিজস্ব খেলার সরঞ্জামাদির নিলাম করে ৬৬,০০০ পাউন্ড সংগ্রহ করেন।[৪৩]
[সম্পাদনা] সম্মাননা
[সম্পাদনা] ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে সম্মাননা
- এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ: ২০০৬-০৭
- এফ.এ. কাপ: ২০০৪
- লীগ কাপ: ২০০৬
[সম্পাদনা] ব্যক্তিগত অর্জন ও পুরস্কার
- পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০০৭
- পিএফএ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড়: ২০০৭
- পিএফএ সমর্থক রায়ে বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০০৭
- পিএফএ প্রিমিয়ারশিপের সেরা দল: ২০০৫-০৬, ২০০৬-০৭
- ফুটবল লেখক সংস্থা পুরস্কার: ২০০৭
- বার্কলে মৌসুমসেরা খেলোয়াড়: ২০০৬-০৭
- বার্কলে মাসের সেরা খেলোয়াড়: নভেম্বর ২০০৬, ডিসেম্বর ২০০৬
- পিএফএ সমর্থক রায়ে মাসের সেরা খেলোয়াড়: অক্টোবর ২০০৬, ফেব্রুয়ারি ২০০৭
- ফিফপ্রো বিশেষ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড়: ২০০৫, ২০০৬
- পর্তুগীজ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব: ২০০৬
- পর্তুগীজ বর্ষসেরা ফুটবলার: ২০০৭
- স্যার ম্যাট বাজবি বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০০৬-০৭
- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড়দের বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০০৬-০৭
[সম্পাদনা] বিশেষ অর্জন
- ১৯৭৭ সালের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই সাথে পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও পিএফএ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
- প্রিমিয়ারশিপের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুইমাস মাসের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
[সম্পাদনা] ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান
দল | মৌসুম | ঘরোয়া লীগ | ঘরোয়া কাপ | ইউরোপ | সর্বমোট | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | সহায়তা | উপস্থিতি | গোল | সহায়তা | উপস্থিতি | গোল | সহায়তা | উপস্থিতি | গোল | সহায়তা | ||
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ২০০৬-০৭ | ৩১ | ১৭ | ১৪ | ৭ | ৩ | ১ | ১১ | ৩ | ৫ | ৪৯ | ২৩ | ২০ |
২০০৫-০৬ | ৩৩ | ৯ | ৬ | ৬ | ২ | ১ | ৮ | ১ | ০ | ৪৭ | ১২ | ৭ | |
২০০৪-০৫ | ৩৩ | ৫ | ৪ | ৯ | ৪ | - | ৮ | ০ | - | ৫০ | ৯ | ৪ | |
২০০৩-০৪ | ২৮ | ৪ | ৪ | ৬ | ২ | ০ | ৫ | ০ | - | ৩৯ | ৬ | ৪ | |
মোট | ১৮৫ | ৫০ | ৩৪ | ||||||||||
স্পোর্টিং ক্লাবে ডি পর্তুগাল | ২০০২-০৩ | ২৫ | ৩ | - | - | - | - | - | - | - | ২৫ | ৩ | - |
- (৫ মে, ২০০৭ পর্যন্ত)
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ 2006 FIFA World Cup Germany - Player Profile Page - CRISTIANO RONALDO - Portugal. FIFAworldcup.com. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ ২.০ ২.১ "Cristiano Ronaldo Biography", christianoronaldo101.com. Retrieved on 2007-04-16.
- ↑ "I never wanted the No7 shirt", The Sun, 2007-04-12. Retrieved on 2007-04-16.
- ↑ Simon Stone. "van Nistelrooy plays down rumours of Ronaldo Dispute", The Independent, 2006-06-23. Retrieved on 2006-07-11.
- ↑ "Ronaldo's top dog in the Premiership - and there are monthly awards for Convey, Carey and Hawley too", GiveMeFootball.com, 2006-04-03. Retrieved on 2006-07-11.
- ↑ "Ronaldo ban after finger gesture", BBC, 2006-02-03. Retrieved on 2006-07-11.
- ↑ "Scolari wants Ronaldo to cool it", Soccernet, 2006-06-04. Retrieved on 2006-07-11.
- ↑ "Ronaldo antics angers Southgate", BBC Sport, 2006-12-03. Retrieved on 2006-02-11.
- ↑ "Sir Alex: Ron will win bet", Manutd.com, 2006-12-30. Retrieved on 2006-12-31.
- ↑ "Ronaldo lands back-to-back accolades", inthenews.com. Retrieved on 2007-01-12.
- ↑ Ronaldo wins monthly award again. BBC Sport.
- ↑ "Diving row reopens FA debate over retrospective punishment", The Guardian, 2007-02-06. Retrieved on 2007-02-11.
- ↑ "Real ready to offer £54m to secure Ronaldo", The Guardian, 2007-04-12. Retrieved on 2007-04-15.
- ↑ "Ferguson lets rip at Madrid after Ronaldo signs £31m deal", The Times, 2007-04-14. Retrieved on 2007-04-16.
- ↑ "Ronaldo signs new deal at Man Utd", BBC, 2007-04-13. Retrieved on 2007-04-16.
- ↑ "Ronaldo secures PFA awards double", BBC, 2007-04-22. Retrieved on 2007-05-01.
- ↑ Collett, Mike, "Scolari delighted with Portugal victory over Brazil", The Guardian.
- ↑ "Ronaldo intends to leave Man Utd", BBC, 2006-07-08. Retrieved on 2006-07-08.
- ↑ "Cristiano Ronaldo plans Real move", Reuters, 2006-06-28. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ Luis Arroyave. "Beckham gives up armband", The Chicago Tribune, 2006-07-02. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ "British press bids Eriksson `good riddance'", Associated Press, 2006-07-02. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ Tim Spanton. Give Ron one in the eye. The Sun. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ Tim Spanton. "Ronaldo: I never asked for Rooney red card", The Sun, 2006-07-02. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ Matt Barlow. "Rooney Thanks Team-mates", Sporting Life, 2006-07-04. Retrieved on 2006-07-06.
- ↑ "World-Ronaldo's future at Manchester United in doubt", Reuters, 2006-07-01. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ youtube.com. Portugal have a Dive. Retrieved on 2006-07-20.
- ↑ Mike Hytner. "Diving threatens to ruin game", Eurosport, 2006-07-06. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ John Haydon. "Semifinal act", The Washington Times, 2006-07-06. Retrieved on 2006-07-06.
- ↑ Martyn Ziegler. "NO FOND FAREWELL FOR SCOLARI", Sporting Life, 2006-07-05. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ Bruce Crumley. "Hungry to the final whistle", Time, 2006-07-05. Retrieved on 2006-07-06.
- ↑ Henry Winter. "Ferguson's men script a showdown", The Daily Telegraph, 2005-04-18. Retrieved on 2006-07-06.
- ↑ Roy Collins. "Wolves turn the tables on United", The Daily Telegraph, 2004-01-18. Retrieved on 2006-07-06.
- ↑ Tim Rich. "Two sent off as United receive history lesson", The Daily Telegraph, 2005-04-18. Retrieved on 2006-07-06.
- ↑ "Supporters 'hijack' Ronaldo vote", BBC, 2006-07-06. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ "Podolski beats Ronaldo to award", BBC, 2006-07-07. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ "United Won't Listen to Ronaldo Offers", ESPNsoccernet, 2006-07-12. Retrieved on 2006-07-12.
- ↑ "Fergie: Ronaldo will be back", FoxSoccer.com, 2006-07-12. Retrieved on 2006-07-17.
- ↑ "Ferguson sends Man Utd No2 Queiroz to Ronaldo meeting", Tribal Football, 2006-07-11. Retrieved on 2006-07-11.
- ↑ "Rooney pleads with Ronaldo not to quit Man Utd", Tribal Football, 2006-07-09. Retrieved on 2006-07-11.
- ↑ "Ronaldo will not face rape charge", BBC, 2005-11-24. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ "Cristiano Ronaldo: "United can win the title"", FIFA.com, 2005-02-28. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ Dyah Ayu Wanodyasari. "Revisit the Tsunami Victim: a Little Miracle for Little Martunis", Blogcritics.org, 2005-06-27. Retrieved on 2006-07-10.
- ↑ "Ronaldo will wait on United deal.", Soccernet, 2005-06-23. Retrieved on 2006-07-10.
[সম্পাদনা] বহিঃসূত্র
- CristianoR7 Best web page about Cristiano Ronaldo
- Cristiano Ronaldo ক্যারিয়ার তথ্য
- premierleague.com profile
- Official Manchester United profile
- Cristiano Ronaldo ইন্টারনেট মুভি ডাটবেজে
- Cristiano Ronaldo Player Profile from Carling
পুরস্কার | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী: নেই |
ফিফপ্রো বিশেষ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড় ২০০৫, ২০০৬ |
উত্তরসূরী: নেই |
পূর্বসূরী: ওয়েইন রুনি |
পিএফএ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড় ২০০৭ |
উত্তরসূরী: নেই |
পূর্বসূরী: স্টিভেন জেরার্ড |
পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড় ২০০৭ |
উত্তরসূরী: নেই |
পূর্বসূরী: ওয়েইন রুনি |
পিএফএ সমর্থক রায়ে বর্ষসেরা খেলোয়াড় ২০০৭ |
উত্তরসূরী: নেই |
পূর্বসূরী: রিকার্দো কোয়ারেজমা |
পর্তুগীজ বর্ষসেরা ফুটবলার ২০০৭ |
উত্তরসূরী: নেই |
পূর্বসূরী: থিয়েরি অঁরি |
ফুটবল লেখক সংস্থা পুরস্কার ২০০৭ |
উত্তরসূরী: নেই |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব - বর্তমান স্কোয়াড |
---|
১ ভ্যান ডার সার | ২ নেভিল | ৩ এভরা | ৪ হাইঞ্জ | ৫ ফার্ডিনান্ড | ৬ ব্রাউন | ৭ রোনালদো | ৯ সাহা | ১০ রুনি | ১১ গিগস | ১৩ পার্ক | ১৪ স্মিথ | ১৫ ভিডিচ | ১৬ ক্যারিক | ১৭ ন্যানি | ১৮ স্কোলস | ১৯ রসি | ২০ সলশেয়ার | ২১ ডং | ২২ ও'শি | ২৩ রিচার্ডসন | ২৪ ফ্লেচার | ২৬ বার্ডসলে | ২৭ সিলভেস্ট্রে | ২৮ পিক | ২৯ কুসচাক | –– অ্যান্ডারসন | –– ফস্টার | –– হারগ্রিভস | ম্যানেজার: ফার্গুসন |