শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

[সম্পাদনা] জীবনপঞ্জী

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক । তাঁর জন্ম ১৮৯৯ সালের ৩০ মার্চ উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর শহরে। মৃত্যু ১৯৭০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। তাঁর রচিত প্রথম সাহিত্য প্রকাশিত হয় তাঁর ২০ বছর বয়সে, যখন তিনি কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে আইন নিয়ে পড়াশুনো করছিলেন। পড়াশুনোর সাথেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতে থাকেন। তার সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সী আত্মপ্রকাশ করে ১৯৩২ সালে।

শরদিন্দু ১৯৩৮ সালে বম্বের বম্বে টকিজ এ চিত্রনাট্যকাররুপে কাজ শুরু করেন। ১৯৫২এ সিনেমার কাজ ছেড়ে স্থায়ীভাবে পূনায় বসবাস করতে শুরু করেন। আগামী ১৮ বছর তিনি সাহিত্য চর্চায় অতিবাহিত করেন। ১৯৭০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

[সম্পাদনা] সাহিত্যজীবন

শরদিন্দুর প্রসিদ্ধতম সৃষ্টি হ্ল সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। ১৯৩২ এ 'পথের কাঁটা' উপন্যাসে ব্যোমকেশের আত্মপ্রকাশ। প্রথমে শরদিন্দু অজিতের কলমে লিখতেন। কিন্তু পরে তিনি তৃতীয়পুরুষে লিখতে শুরু করেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপন্যাস। যেমন 'কালের মন্দিরা', 'গৌর মল্লার', 'তুমি সন্ধ্যার মেঘ', 'তুঙ্গভদ্রার তীরে', ইত্যাদি। সামাজিক উপন্যাস যেমন 'বিষের ধোঁয়া' বা অতিপ্রাকৃত নিয়ে তার 'বরদা সিরিজ' ও অন্যান্য গল্প এখনো বেস্টসেলার।

[সম্পাদনা] শরদিন্দু ও সিনেমা

শরদিন্দুর জীবনে সিনেমার, বিশেষ করে বম্বের সিনেমার, খুব বড় ভূমিকা ছিল। তিনি যে ছবিগুলিতে চিত্রনাট্যকারের কাজ করেছেন সেগুলি হ্ল দূর্গা (১৯৩৯), কঙ্গন(১৯৩৯), নবজীবন(১৯৩৯) ও আজাদ(১৯৪০)। তাঁর বিভিন্ন রচনা থেকেও সিনেমা প্রস্তুত হয়েছে, যেমন নিম্নলিখিত বাংলা সিনেমাগুলি

  • চিড়িয়াখানা - নির্দেশক সত্যজিত রায়
  • ঝিন্দের বন্দী - নির্দেশক তপন সিংঘ
  • বিষের ধোঁয়া
  • দাদার কীর্তি - নির্দেশক তরুণ মজুমদার

'তিশগ্নি' নামে একটি পুরস্কারপ্রাপ্ত হিন্দি ছবি লেখকের ঐতিহাসিক ছোটগল্প 'মরু ও সঙ্ঘ'র চিত্ররুপ।

তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার (উপন্যাস 'তুঙ্গভদ্রার তীরে'র জন্য), শরৎস্মৃতি পুরস্কার, মতিলাল পুরস্কার প্রভৃতি পুরস্কার লাভ করেন।