এফএ প্রিমিয়ার লীগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

প্রিমিয়ার লীগ
প্রিমিয়ার লীগ ২০০৬-০৭
প্রতিষ্ঠা
১৯৯২
জাতি
ইংল্যান্ড এর পতাকাইংল্যান্ড
রেলিগেশন হয়ে
ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশিপ
দলের সংখ্যা
২০
পিরামিডের স্তর
প্রথম স্তর
ইউরোপীয়ান যোগ্যতা
চ্যাম্পিয়নস লীগ
উয়েফা কাপ
ইন্টারটোটো কাপ
কাপ
এফএ কাপ
ফুটবল লীগ কাপ
বর্তমান বিজয়ী (২০০৬/০৭)
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ওয়েবসাইট
Official

প্রিমিয়ার লীগ (বার্কলে প্রিমিয়ারশিপ বা বার্কলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ বা কেবল প্রিমিয়ারশিপ নামেও পরিচিত) ইংল্যান্ডের পেশাদারী ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতা যেখানে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দলগুলো অংশগ্রহণ করে থাকে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দামী ফুটবল লীগ। [১]

ফুটবল লীগের উচ্চ বিভাগের দলগুলো নিয়ে এফএ প্রিমিয়ার লীগ (বর্তমান নামে) প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯২ সালে। এর চোদ্দ মৌসুমে কেবল চারটি দল শিরোপা দখলে সমর্থ হয়েছেঃ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (নয় বার), আর্সেনাল (তিনবার), চেলসি (দু'বার) ও ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স (একবার)। বর্তমান লীগ বিজয়ী দল হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যারা ২০০৬-০৭ মৌসুমে দুটি খেলা বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে।

এফএ ইউমেন'স প্রিমিয়ার লীগ প্রিমিয়ারশিপের মত নারী খেলোয়াড়দের জন্য একটি প্রতিযোগিতা। কিন্তু এটি প্রিমিয়ারশিপের মত পুরোপুরি পেশাদার নয় এবং জাতীয় ক্ষেত্রেও ততটা জনপ্রিয় নয়।


সূচিপত্র

[সম্পাদনা] ইতিহাস

প্রিমিয়ার লীগ শিরোপাধারী
মৌসুম বিজয়ী দল
২০০৬-০৭ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২০০৫-০৬ চেলসি
২০০৪-০৫ চেলসি
২০০৩-০৪ আর্সেনাল
২০০২–০৩ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২০০১-০২ আর্সেনাল
২০০০-০১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৯-০০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৮-৯৯ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৭-৯৮ আর্সেনাল
১৯৯৬-৯৭ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৫-৯৬ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯৪-৯৫ ব্ল্যাকবার্ন রোভারস
১৯৯৩-৯৪ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৯৯২-৯৩ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

[সম্পাদনা] উৎপত্তি

ইংলিশ ফুটবলের জন্য ৮০ দশক ছিল খুব শোচনীয়। স্টেডিয়ামগুলো ছিল ভাঙ্গাচোরা, দর্শকদের জন্য তেমন কোন সুবিধাদি ছিল না, গুন্ডাগিরি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। ১৯৮৫ সালে সংঘটিত হাইসেল দুর্ঘটনার[২] জন্য ইউরোপীয় খেলায় ইংলিশ দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইংল্যান্ডের ১৮৮৮ থেকে চলতে থাকা শীর্ষস্থানীয় লীগ প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ ইউরোপের অন্যান্য লীগ যেমনঃ ইতালির সিরি এস্পেনের লা লিগা প্রভৃতি থেকে দর্শক ও আয়ের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল, ফলে ইংল্যান্ডের কিছু শীর্ষ খেলোয়াড় বিদেশে চলে যায়।[৩] এতকিছুর পরেও ৯০ দশকে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড সফল হয় যেখানে তারা টাইব্রেকারে সেমিফাইনালে হেরে যায়। ইউরোপের ফুটবলের নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান উয়েফা ১৯৯০ সাল থেকে ইউরোপীয়ান খেলাতে ইংল্যান্ডের দলগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৯০ সালের জানুয়ারী মাসে প্রকাশিত টেলরের রিপোর্টে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে ব্যয়বহুল উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা বলা হয়।[৪]

টেলিভিশনের সম্প্রচারস্বত্বের গুরুত্ব ততদিনে অনেক বেড়ে গিয়েছে। ১৯৮৬ সালে যেখানে ফুটবল লীগ মাত্র ৬.৩ মিলিয়ন পাউন্ড পেয়েছিল দুই বছরের চুক্তির জন্য, সেখানে ১৯৮৮ সালে যখন চুক্তির নবায়ন করা হয় তখন চুক্তির মূল্য মাত্র চার বছরে বেড়ে হয় ৪৪ মিলিয়ন পাউন্ড।[৫] ১৯৮৮ সালের চুক্তিটি ছিল লীগের ভাঙ্গনের একটি চিহ্ন। দশটি দল লীগ ছেড়ে একটি সুপার লীগ গঠনের হুমকি দিলেও পরে লীগে থাকতে রাজি হয়। [৬] স্টেডিয়ামের উন্নতির সাথে সাথে মাঠে দর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে ফলে শীর্ষস্থানীয় দলগুলো খেলায় মূলধনের অন্তঃপ্রবাহ ধরে রাখার জন্য আবার ফুটবল লীগ ত্যাগ করার চিন্তা করেছিল।

[সম্পাদনা] প্রতিষ্ঠা

লীগের প্রথম মৌসুম শুরু হয় ১৯৯২-৯৩ সালে ২২টি দল নিয়ে। প্রথম প্রিমিয়ারশিপ গোল করেন ব্রায়ান ডিন শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে, যে খেলায় তার ২-১ গোলে জয়ী হয়। ঘরোয়া লীগে দলগুলোর খেলার সংখ্যা কমাতে ফিফার চাপের কারনে ১৯৯৫ সালে দলের সংখ্যা কমিয়ে ২০ করা হয় যখন ৪টি দলকে প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেয়া হয় ও মাত্র ২টি দলকে প্রিমিয়ার লীগে উন্নীত করা হয়। ২০০৬ সালের ৮ জুন ফিফা সব ইতালির সিরি এ ও স্পেনের লা লিগা সহ প্রধান ইউরোপীয়ান লীগগুলিকে ২০০৭-০৮ মৌসুমে ১৮টি দলে কমিয়ে আনতে অনুরোধ করে। প্রিমিয়ার লীগ দলের সংখ্যা কমানোর জন্য ফিফার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।[৭]

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০০৭ তারিখ থেকে প্রিমিয়ার লীগের নাম কেবল 'প্রিমিয়ার লীগ' থেকে পরিবর্তন করে 'এফএ প্রিমিয়ার লীগ' করা হয়েছে। [citation needed]

[সম্পাদনা] গঠন

প্রিমিয়ার লীগ তাদের ২০টি সদস্য দলের মাধ্যমে কর্পোরেশন এর মত পরিচালিত হয়। প্রতি দলকে একজন শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং নিয়ম-কানুন পরিবির্তন বা চুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে সকল সদস্য একটি করে ভোট দিতে পারেন। দলগুলো লীগের কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য একজন চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী ও পরিচালকমন্ডলী নির্বাচন করে থাকে। [৮] ফুটবল এসোসিয়েশন প্রিমিয়ার লীগের দৈনন্দিন কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়, তবে বিশেষ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে তাদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী নির্বাচন অথবা নতুন নিয়ম কানুন প্রণয়নে ভেটো দানের ক্ষমতা আছে।[৯]

উয়েফার ইউরোপীয়ান ক্লাব ফোরাম এ প্রিমিয়ার লীগের প্রতিনিধি থাকে। উয়েফা আনুপাতিক হারে দলের সংখ্যা ও দল নির্বাচন করে। ইউরোপীয়ান ক্লাব ফোরাম উয়েফার দলগত প্রতিযোগিতার কমিটির তিনজন সদস্য নির্বাচন করে, যা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ বা উয়েফা কাপ এর মত প্রতিযোগিতা পরিচালনায় অংশ নেয়। [১০]

[সম্পাদনা] প্রতিযোগিতার ধরন ও সৌজন্যস্বত্ব

[সম্পাদনা] প্রতিযোগিতা

প্রিমিয়ার লীগে ২০টি দল থাকে। এক মৌসুমে (আগস্ট থেকে মে পর্যন্ত একটি মৌসুম) প্রতিটি দল অন্য দলগুলোর সাথে দু’বার খেলায় মিলিত হয়, একবার নিজস্ব মাঠে অন্যবার বিপক্ষ দলের মাঠে। একটি দল এক মৌসুমে সবমিলিয়ে ৩৮টি খেলা খেলে, একটি মৌসুমে সর্বমোট ৩৮০টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জয়ের জন্য বিজয়ী দল ৩ পয়েন্ট পায়, ড্রয়ের জন্য উভয় দল ১ পয়েন্ট করে পায়। হারের জন্য কোন পয়েন্ট দেয়া হয় না। দলগুলোকে উচ্চক্রমে সাজানো হয় প্রথমে মোট পয়েন্ট, তারপর গোল ব্যবধান ও তারপর পক্ষে করা গোলের সংখ্যার উপর। মৌসুম শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দলকে শিরোপা প্রদান করা হয়। যদি পয়েন্ট সমান হয় তাহলে গোল ব্যবধান ও গোল সংখ্যার উপর নির্ভর করে বিজয়ী নির্ধারন করা হয়। যদি তাও সমান হয় তাহলে দু’দলকেই বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। যদি এভাবে শিরোপাধারী দল, রেলিগেশনের আওতায় পড়া দল অথবা অন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা নির্ধারন করা না যায় তাহলে নিরপেক্ষ মাঠে দলগুলোর খেলা আয়োজন করা হয় (এ পর্যন্ত ঘটে নি)। সর্বনিম্নে থাকা তিনটি দলকে ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশিপএ নামিয়ে দেয়া হয়। ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষস্থানীয় দু’টি দলকে প্রিমিয়ারশিপে খেলার জন্য উন্নীত করা হয়। তিন থেকে ষষ্ঠ স্থানের চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি দলের মধ্যে খেলার মধ্য থেকে আরও একটি দলকে প্রিমিয়ারশিপে উন্নীত করা হয়।

[সম্পাদনা] ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা

বোল্টন ওয়ান্ডারার্স এবং ফুলহ্যাম এফএ কাপে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে
বোল্টন ওয়ান্ডারার্স এবং ফুলহ্যাম এফএ কাপে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে

প্রিমিয়ারশিপের শীর্ষ চার দল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের জন্য মনোনীত হয়। শীর্ষ দু’টি দল সরাসরি গ্রুপ পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়। গ্রুপ পর্যায়ে খেলতে হলে তৃতীয় ও চতুর্থ দলদু’টি তৃতীয় যোগ্যতা নির্ধারনী খেলায় অংশগ্রহণ করতে হয় এবং দুইলেগের নক-আউট খেলায় জিততে হয়। পঞ্চম স্থানের দলটি উয়েফা কাপে সরাসরি খেলতে পারে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দলদু’টি ঘরোয়া দু’টি লীগের ফলাফলের উপর নির্ভর করে উয়েফা কাপে অংশ নিতে পারে। যদি এফএ কাপের বিজয়ী ও দ্বিতীয় স্থানের দলদু’টি প্রিমিয়ারশিপে প্রথম পাঁচটি দলের ভিতরে থাকে তাহলে ষষ্ঠ দলটি এফএ কাপ কোটায় উয়েফা কাপে অংশ নিতে পারবে। যদি লীগ কাপ বিজয়ী দল ইতোমধ্যে কোন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে যায় তবে পরবর্তী শীর্ষদলটি লীগ কাপ কোটায় উয়েফা কাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। তবে এফএ কাপের মত এক্ষেত্রে লীগ কাপের দ্বিতীয় স্থানের দলকে সুযোগ দেয়া হয় না। যে পরবর্তী শীর্ষস্থানীয় দল চ্যাম্পিয়িনস লীগ বা উয়েফা কাপে স্থান পায়নি তাকে ইন্টারটোটো কাপে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ দেয়া হয়, যদি তারা এ কাপে অংশগ্রহণ করার আবেদন জমা দেয়। ইন্টারটোটো বিজয়ী দল সরাসরি উয়েফা কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

নীতিগতভাবে ফুটবল এসোসিয়েশন (এফএ) যে কোন দলকে ইউরোপে খেলার জন্য মনোনীত করতে পারে, যদিও তারা স্বভাবতই সেরা দলগুলোকেই পাঠায়। এই নিয়মটি আলোচিত হয় যখন ২০০৫ সালে লিভারপুল চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতলেও পরবর্তী মৌসুমে খেলার জন্য তারা প্রিমিয়ারশিপে যথেষ্ট উপরে উঠতে ব্যর্থ হয়। ফলে এই প্রথমবারের মত কোন বিগত মৌসুমের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন পরবর্তী চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলতে পারবে না এমন আশঙ্কা তৈরী হয়। আসলে এরকম ঘটনা আগেও একবার ঘটেছে ২০০০-০১ মৌসুমে যখন বিগত চ্যাম্পিয়ন রিয়েল মাদ্রিদ লা লিগায় যথেষ্ট উপরে স্থান নিতে পারেনি। সেসময় তারা অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লীগে অংশ নিতে পেরেছিল কারন চতুর্থ স্থানীয় দলটিকে অংশগ্রহন থেকে বিরত থেকেছিল। কিন্তু লিভারপুলের ক্ষেত্রে এফএ তাদের সেরা চার নীতিতে অটল ছিল। অধিকন্তু চতুর্থ স্থানীয় দল এভারটন তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ হারাতে চাইছিল না, যা তার অর্জন করেছিল। ফলে যদিও উয়েফা প্রথমে চারটির বেশি ইংলিশ দলকে সুযোগ দিতে চায়নি, কিন্তু পরে তারা ইংলিশ লীগের সেরা চার দল ও বিগত চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলসহ পাঁচটি ইংলিশ দলকে চ্যাম্পিয়নস লীগে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। এর একটি বড় কারণ ছিল উয়েফা প্রেসিডেন্ট লেনার্ট জোহানসন,[১১] ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার,[১২] ও খেলার প্রসিদ্ধ মুখ ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার প্রমুখের সমর্থন।[১৩] পরবর্তীতে উয়েফা নিয়ম করে যে বিগত চ্যাম্পিয়ন অবশ্যই পরবর্তী চ্যাম্পিয়নস লীগের যোগ্যতা অর্জন করবে, ঘরোয়া লীগে তাদের ফলাফল যাই হোক না কেন।

উয়েফার তালিকা অনুযায়ী ইউরোপীয়ান লীগগুলির মধ্যে স্পেনের লা লিগার পরই প্রিমিয়ারশিপের অবস্থান। তাদের পরই আছে ইতালির সিরি এ। এ তালিকা করা হয়েছে পাঁচ বছরব্যাপী বিভিন্ন ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতার ফলাফল হিসেব করে। [১৪] বর্তমান নিয়মানুযায়ী ইউরোপের শীর্ষ তিন লীগ থেকে চারটি ও অন্যান্য লীগ থেকে তিনটি করে দল চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলতে আসে। তবে বর্তমান উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি ভবিষ্যতে ইউরোপের যেকোন লীগ থেকে কেবলমাত্র তিনটি দলের অংশগ্রহনের প্রস্তাব দিয়েছেন।.

[সম্পাদনা] সৌজন্যস্বত্ত্ব

১৯৯৩ সাল থেকে প্রিমিয়ার লীগ সৌজন্যস্বত্ত্ব চুক্তি করেছে। বিজ্ঞাপন বা সৌজন্যদাতা প্রিমিয়ারশিপের নাম ঠিক করার অধিকার পান। এ পর্যন্ত সব স্পন্সর প্রতিযোগিতার নাম 'প্রিমিয়ারশিপ' রেখেছে। নিচে এযাবতকালের সকল সৌজন্যদাতা ও প্রতিযোগিতার নাম দেয়া হয়েছেঃ

  • ১৯৯৩–২০০১: কার্লিং (এফএ কার্লিং প্রিমিয়ারশিপ)
  • ২০০১–২০০৪: বার্কলেকার্ড কার্ড (বার্কলেকার্ড কার্ড প্রিমিয়ারশিপ)
  • ২০০৪–২০১০: বার্কলেস (বার্কলেস কার্ড প্রিমিয়ারশিপ)

[সম্পাদনা] অর্থায়ন

ইংল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের অনেকে প্রিমিয়ারশিপে খেলেন। প্রিমিয়ার লীগ বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক লীগ। ডেলইট টাচ টোহমাতসু এর মতে ২০০৪-০৫ মৌসুমে সব দলের সম্মিলিত আয় ছিল ১.৩ বিলিয়ন পাউন্ডের অধিক যা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইতালির সিরি এ থেকে ৪০% বেশি।[১৫] ২০০৭-০৮ মৌসুমে আয় আরও বৃদ্ধি পাবে যখন নতুন সম্প্রচার স্বত্ত্বের চুক্তি হবে। জানুয়ারি ২০০৭ এর মুদ্রামান অনুযায়ী ১.৩ বিলিয়ন পাউন্ডের সমতুল্য হচ্ছে ২.৫১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এই আয় বিশ্বে যে কোন খেলার প্রতিযোগিতায় বার্ষিক আয়ের তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সামনে আছে কেবল উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় মেজর প্রফেশনাল স্পোর্টস লীগ, (জাতীয় ফুটবল লীগ (এনএফএল), মেজর লীগ বেজবল, ও জাতীয় বাস্কেটবল এসোসিয়েশন (এনবিএ)) এবং ঠিক পিছনেই রয়েছে জাতীয় হকি লীগ। প্রিমিয়ার লীগে কেবল ২০টি দল আছে (এনএফএল এ আছে ৩২টি ও অন্যান্য প্রধান লীগে দলের সংখ্যা ৩০টি) এটি ধরলে ও মুদ্রা বিনিময় হারের ও আয়ের সংজ্ঞার কথা বিবেচনা করে বলা যায় প্রিমিয়ার লীগের প্রতি দলের গড় আয় এনবিএ এর গড় আয়ের সমান বা কোন কোণ ক্ষেত্রে একটু বেশিই।

২০০৫-০৬ মৌসুমে প্রতি খেলায় গড় দর্শক সংখ্যা ৩৩,৮৭৫ যা যেকোন পেশাদার লীগের দর্শকের তালিকায় চতুর্থ। এক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লীগ সিরি এ ও লা লিগার আগেই আছে তবে জার্মান বুন্দেসলিগার পেছনে পড়ে গেছে। দর্শকদের সংখ্যা লীগের প্রথম মৌসুমের (১৯৯২-৯৩) তুলনায় ৬০% বেশি যা তখন ছিল গড়ে ২১,১২৬।[১৬] অবশ্য ১৯৯২-৯৩ মৌসুমের শুরুতে অধিকাংশ স্টেডিয়ামের ধারনক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছিল কারন টেলরের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৪-৯৫ সালের ভিতর স্টেডিয়ামের সংস্কারের একটি দাবি ছিল। [১৭][১৮] ২০০৫-০৬ সালের দর্শক সংখ্যা ছিল প্রিমিয়ার লীগের রেকর্ড গড় দর্শক সংখ্যা ৩৫,৪৬৪ যা হয়েছিল ২০০২-০৩ মৌসুমে, এর তুলনায় কম।[১৯]

নতুন তিন বছরের চুক্তি অনুযায়ী প্রিমিয়ারশিপের সম্প্রচারের জন্য স্কাই দেবে ১.৩১৪ বিলিয়ন পাউন্ড ৯২টি খেলার জন্য ও সেটান্টা ৩৯২ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে ৫০টি খেলার জন্য। বিদেশী টেলিভিশন সম্প্রচারস্বতত্ত্ব থেকে পাওয়া যাবে ৬২৫ মিলিয়ন পাউন্ড এবং ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া যাবে আরও ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড। প্রিমিয়ারশিপের বিজয়ী দল পাবে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রাইজ মানি ও টিভি আয়সহ) যা বর্তমানে আছে ৩০.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড এনএফএল দলগুলোর টিভিস্বত্ত্ব আয়ের সাথে তুলনীয় (এনএফএল তার টিভিস্বত্ত্বের আয় দলগুলোর সাথে বন্টন করে)। নতুন চুক্তির অধীনে সবচেয়ে নিচের দল পাবে ২৬.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। নতুন চুক্তির ফলে প্রিমিয়ার লীগ খেলাধুলায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী সম্প্রচারস্বত্ত্বের অধিকারী হবে। শীর্ষস্থানটি অবশ্য এখনো উত্তর আমেরিকার জাতীয় ফুটবল লীগের।

[সম্পাদনা] গনমাধ্যম প্রচারনা

[সম্পাদনা] ইংল্যান্ড

২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টোটেনহামের মধ্যকার একটি খেলা
২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টোটেনহামের মধ্যকার একটি খেলা

প্রিমিয়ারশিপের ইতিহাসে টেলিভিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। টেলিভিশনের সম্প্রচারস্বত্ত্ব থেকে প্রাপ্ত অর্থ খেলার ভিতর ও বাহির দুই ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটিয়েছে। ১৯৯২ সালে 'ব্রিটিশ স্কাই ব্রডকাস্টিং' কে প্রচারস্বত্ত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত ছিল খুবই সাহসী পদক্ষেপ, পরে যার সুফল পাওয়া গেছে। সে সময় যুক্তরাজ্যের বাজারে পে-চ্যানেলে দর্শকদের খেলা দেখানোটা চিন্তার বাইরে ছিল। কিন্তু স্কাই এর বিপনন ব্যবস্থাপনা ও প্রিমিয়ার লীগের ফুটবলের মানোন্নতির কারনে দর্শকের আগ্রহ দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলে প্রিমিয়ারশিপের টিভিস্বত্ত্বের মূল্যও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া টিভির কথা বিবেচনায় রেখে খেলার সময়সূচি নির্ধারন করা হয়। সাধারনত রবি ও সোমবার খেলার সময় নির্ধারন করা হয়। এ সময়সূচি সাধারনত অন্য কোন খেলার কথা বিবেচনায় রেখে করা হয় যাতে একই দিনে দুইটি জনপ্রিয় খেলা না পড়ে।

প্রিমিয়ার লীগ এর টিভিস্বত্ত্ব বিক্রি করে থাকে সমষ্টিগতভাবে। সিরি এ, লা লিগা সহ অন্যান্য ইউরোপীয়ান লীগের সাথে এক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লীগের কিছু পার্থক্য আছে। ঐসব লীগে দলগুলো তাদের সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রি করে আলাদাভাবে। ফলে টিভিস্বত্ত্ব থেকে পাওয়া অর্থের অধিকাংশই যায় বড় হাতেগোনা কয়েকটি দলের পকেটে। প্রিমিয়ার লীগে টিভিস্বত্ত্ব থেকে প্রাপ্ত অর্থ তিনভাগে ভাগ করা হয়ঃ[২০] অর্ধেক অর্থ সবগুলো ক্লাবের মাঝে সমান হারে বন্টন করা হয়; এক চতুর্থাংশ লীগের অবস্থানের উপর নির্ভর করে দেয়া হয়, যাতে শীর্ষদলটি সর্বনিম্ন অবস্থানের দল থেকে বিশ গুন বেশি অর্থ পায় ও একই হারে বাকী অবস্থানের দলগুলো অর্থ পায়; বাকী এক চতুর্থাংশ টিভিতে খেলা দেখানোর জন্য বিভিন্ন পরিসেবা খাতে ব্যয় হয়, যার একটা বড় অংশ শীর্ষস্থানীয় দলগুলো পায়। খেলা বাবদ প্রাপ্ত বৈদেশিক অর্থের পুরোটাই সমান হারে ভাগ করে দেয়া হয় বিশটি দলের মধ্যে।

প্রথম যখন স্কাইয়ের সাথে চুক্তি হয় তখন এর মূল্য ছিল ১৯১ মিলিয়ন পাউন্ড, পাঁচ মৌসুমের জন্য।[২১] ১৯৯৭–৯৮ মৌসুমে সম্পাদিত পরের চুক্তির মূল্য ছিল ৬৭০ মিলিয়ন পাউন্ড, চার মৌসুমের জন্য[২১] প্রিমিয়ার লীগের স্কাইয়ের সাথে বর্তমান চুক্তি হচ্ছে ১.০২৪ বিলিয়ন পাউন্ড, আগস্ট ২০০৪ থেকে তিন মৌসুমের জন্য। ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৬-০৭ এ তিন মৌসুমের জন্য প্রিমিয়ার লীগ বিদেশে সম্প্রচারস্বত্ত্ব বাবদ ৩২০ মিলিয়ন পাউন্ড পেয়েছে। প্রিমিয়ার লীগ বিদেশে তাদের সম্প্রচারস্বত্ত্ব এলাকাভিত্তিকভাবে বিক্রি করে। [২২] আগস্ট ২০০৬ থেকে স্কাই টিভির একচেটিয়া বানিজ্যের দিন শেষ হয়, যখন সেটান্টা স্পোর্টসকে মোট ছয় গুচ্ছ খেলার মধ্যে দুই গুচ্ছ খেলার স্বত্ত্ব দেয়া হয়। এটা করা হয় যখন ইউরোপীয়ান কমিশন চাপ দেয় যে একটি মাত্র টেলিভিশন কেন্দ্রের কাছে সম্পূর্ণ সম্প্রচারস্বত্ত্ব বিক্রি করা যাবেনা। স্কাই ও সেটান্টা সর্বমোট ১.৭ বিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করেছে যা আগের তুলনার দুই তৃতীয়াংশ বেশি। এটা অনেক ভাষ্যকারকেই বিস্মিত করেছে কারন তারা মনে করেছিলেন অনেকদিন দ্রুত দাম বাড়ার পর হয়তো টিভিস্বত্ত্বের মূল্য সাম্যাবস্থায় উপনীত হয়েছে। বিবিসি এই তিন মৌসুমের হাইলাইটস (খেলার দিন) দেখানোর স্বত্ত্ব পেয়েছে ১৭১.৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে। গত তিন মৌসুমের জন্য এই মূল্য ছিল ১০৫ মিলিয়ন পাইন্ড যার তুলনায় বর্তমান মূল্য ৬৩% বেশি।[২৩]

[সম্পাদনা] বিশ্বব্যাপী

[সম্পাদনা] খেলোয়াড়

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগ চালু হওয়ার সময় কেবল এগারজন খেলোয়াড় প্রথম একাদশে 'বিদেশী' (যুক্তরাজ্যআয়ারল্যান্ড এর বাইরের দেশ) খেলোয়াড় হিসেবে খেলতেন।[২৪] ২০০০-০১ মৌসুমে বিদেশী খেলোয়াড়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬% এ। ২০০৪-০৫ মৌসুমে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫%। ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯ তারিখে চেলসি প্রথম প্রিমিয়ার লীগের দল হিসেবে পুরো প্রথম একাদশই বিদেশী খেলোয়াড় দিয়ে গঠন করে,[২৫] এবং ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৫ তারিখে আর্সেনাল প্রথম দল হিসেবে কোন খেলার জন্য পুরো ১৬ জনের দলকেই বিদেশী খেলোয়াড় দিয়ে সাজায়। [২৬]

ইংলিশ প্রতিযোগিতা হওয়া সত্ত্বেও কোন ইংরেজ ব্যবস্থাপক এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগ জিতেননি। ২০০৬ পর্যন্ত কেবল চারজন ভিন্ন ম্যানেজার লীগ শিরোপা জিতেছেনঃ দুজন স্কটিশ (স্যার এলেক্স ফার্গুসন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও কেনি ডালগ্লিশ, ব্ল্যাকবার্ন রোভারস), একজন ফরাসি (আর্সেন ওয়েঙ্গার, আর্সেনাল) ও একজন পর্তুগীজ (জোসে মোরিনহো, চেলসি)। দু’জন ইংরেজ ম্যানেজার প্রিমিয়ারশিপে অবশ্য দ্বিতীয় স্থান লাভে সমর্থ হয়েছেন। এরা হলেন রয় এটকিনসন (এস্টন ভিলা, ১৯৯৩ সালে) ও কেভিন কিগান (নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ১৯৯৬ সালে)।

[সম্পাদনা] ট্রান্সফার রেকর্ড

একটি মৌসুমে রেকর্ড পরিমান অর্থের বিনিময়ে খেলোয়াড় কেনার রেকর্ড পরের কোন মৌসুমে ভেঙ্গে দেয়া বর্তমানে চল হয়ে দেখা দিয়েছে। লীগের শুরুর দিকে এই প্রবণতা বেশি ছিল। তবে একুশ শতকের শুরুতে আবার এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

  • ৩.৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড জুন ১৯৯৩ (রয় কিন, নটিংহাম ফরেস্ট থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
  • ৫ মিলিয়ন পাউন্ড জুলাই ১৯৯৪ (ক্রিস সাটন, নরউইচ সিটি থেকে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স)
  • ৭ মিলিয়ন পাউন্ড জানুয়ারি ১৯৯৫ (অ্যান্ডি কোল, নিউক্যাসল ইউনাইটেড থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
  • ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড জুন ১৯৯৫(ডেনিস বার্গক্যাম্প, ইন্টার মিলান থেকে আর্সেনাল)
  • ৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ড জুলাই ১৯৯৫ (স্ট্যান কলিমোর, নটিংহাম ফরেস্ট থেকে লিভারপুল)
  • ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড (তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড) জুলাই ১৯৯৬ (অ্যালান শিয়ারার, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স থেকে নিউক্যাসল ইউনাইটেড)
  • ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড নভেম্বর ২০০০ (রিও ফার্ডিনান্ড, ওয়েস্ট হ্যাম থেকে লিডস ইউনাইটেড)
  • ১৯ মিলিয়ন পাউন্ড মে ২০০১ (রুড ভ্যান নিস্তেলরয়, পিএসভি আইন্দোভেন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
  • ২৮.১ মিলিয়ন পাউন্ড জুলাই ২০০১ (জুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন, ল্যাজিও থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
  • ২৯ মিলিয়ন পাউন্ড জুলাই ২০০২ (রিও ফার্ডিনান্ড, লিডস ইউনাইটেড থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
  • ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড জুন ২০০৬ (আন্দ্রে শেভচেঙ্কো, এ. সি. মিলান থেকে চেলসি)

প্রথম পাঁচটি ট্রান্সফার রেকর্ড একবছরের বেশি স্থায়ী হয় নি। ডেনিস বার্গক্যাম্পের রেকর্ড একমাস স্থায়ী ছিল। অ্যালান শিয়ারারের রেকর্ড ইংল্যান্ডে পাঁচ বছর স্থায়ী ছিল, যদিও একবছরের মাথায় বিশ্বরেকর্ডটি ভেঙ্গে যায়। রিও ফার্ডিনান্ডের রেকর্ড প্রায় চার বছর স্থায়ী হয়েছে। ২০০৬ সালের গ্রীষ্মে আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর ৩০ থেকে ৫৬ মিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যবর্তী কোন অজানা অঙ্কের বিনিময়ে এসি মিলান থেকে চেলসিতে আগমনের পর নতুন রেকর্ড স্থাপিত হয়। প্রিমিয়ার লীগ স্থাপনের ১৫ বছরের মাথায় এ পর্যন্ত ১১ বার রেকর্ড ট্রান্সফার সংঘটিত হয়েছে।

[সম্পাদনা] প্রিমিয়ারশিপ-ফুটবল লীগের দূরত্ব

ফুটবল লীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে অনেক প্রিমিয়ার লীগের দল নীচের বিভাগের দলগুলোর সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে। এর একটি মূল কারন এসব লীগের মধ্যে টেলিভিশন প্রচারস্বত্ত্বের অসম ব্যবধান।[২৭] এ কারনে নতুন প্রিমিয়ার লীগে আগত দলগুলো প্রথম মৌসুমে সাধারনত রেলিগেশন এড়াতে পারে না। ২০০১-০২ মৌসুম ছাড়া বাকী সকল মৌসুমেই প্রিমিয়ারশিপে নবাগত অন্তত একটি দল রেলিগেশনের আওতায় পড়ে আবার ফুটবল লীগে ফেরত গেছে। ১৯৯৭-৯৮ সালে প্রিমিয়ারশিপে উন্নীত তিনটি দলই ফুটবল লীগে নেমে গেছে।

যেসমস্ত দল প্রিমিয়ারশিপ থেকে রেলিগেশনের খপ্পরে পড়ে, তাদেরকে লীগে প্রাপ্ত টেলিভিশন স্বত্ত্বের কিছু অংশ "প্যারাসুট পেমেন্ট" এর ধরনে দেয়া হয়। ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে চালু হওয়া এই অর্থের পরিমান ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ড যা তাদের নিম্ন লীগের প্রথম দু’বছর দেয়া হবে।[২৭] যদিও টেলিভিশন থেকে প্রাপ্ত আয় পুষিয়ে নিতে এই অর্থ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে (গড়ে প্রিমিয়ার লীগের দল পায় ২৮ মিলিয়ন পাউন্ড যেখানে চ্যাম্পিয়নশিপের দল গড়ে পায় ১ মিলিয়ন পাউন্ড) [২৭]),তবুও সমালোচকরা মনে করেন এই পরিমান যেসকল দল প্রিমিয়ারশিপে খেলে আর যারা খেলতে পারে না তাদের মধ্যবর্তী ব্যবধান বাড়াচ্ছে। [২৮]। কারন রেলিগেশন হওয়ার পরবর্তী বছরে আবার তাদের প্রিমিয়ারশিপে ফেরত আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিছু দল আছে যে তার এত বেশি রেলিগেশন এবং প্রমোশন পায় যে তাদের কে বলা হয় "ইয়ো-ইয়ো (yo-yo)" দল।

[সম্পাদনা] প্রিমিয়ার লীগের দল

[সম্পাদনা] প্রিমিয়ার লীগের বিজয়ী

প্রিমিয়ার লীগের এ পর্যন্ত সবকটি আসরের বিজয়ীর তালিকা ও শীর্ষ গোলদাতার তালিকা দেখুন ইংলিশ ফুটবল শিরোপাধারী

[সম্পাদনা] বর্তমান প্রিমিয়ার লীগ সদস্য

২০০৬-০৭ মৌসুমের প্রিমিয়ারশিপের ২০টি দলের অবস্থান, সবুজ ফোটার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে
২০০৬-০৭ মৌসুমের প্রিমিয়ারশিপের ২০টি দলের অবস্থান, সবুজ ফোটার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে

নিচের ১৯টি দল ২০০৭-০৮ মৌসুমের প্রিমিয়ার লীগে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাকি একটি দল প্লে-অফ খেলার মাধ্যমে নির্বাচিত হবে।

দল
২০০৬-০৭
মৌসুমে
অবস্থান
শীর্ষ বিভাগে
প্রথম মৌসুম
শীর্ষ বিভাগে
অবস্থানের ধারায়
প্রথম মৌসুম
আর্সেনাল [২৯][৩০] ৪র্থ ১৯০৪–০৫ ১৯১৯–২০
এস্টন ভিলা [২৯][৩০] ১১তম ১৮৮৮–৮৯ ১৯৮৮–৮৯
বার্মিংহাম সিটি [৩০] চ্যাম্পিয়নশিপে ২য় ১৮৯৩–৯৪ ২০০৭–০৮
ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স [৩০] ১০ম ১৮৮৮–৮৯ ২০০১–০২
বোল্টন ওয়ান্ডারার্স ৭ম ১৮৮৮–৮৯ ২০০১–০২
চেলসি [২৯][৩০] ২য় ১৯০৭–০৮ ১৯৮৯–৯০
এভারটন [২৯][৩০] ৬ষ্ঠ ১৮৮৮–৮৯ ১৯৫৪–৫৫
ফুলহ্যাম ১৬তম ১৯৪৯–৫০ ২০০১–০২
লিভারপুল [২৯][৩০] ৩য় ১৮৯৪–৯৫ ১৯৬২–৬৩
ম্যানচেস্টার সিটি [৩০] ১৪তম ১৮৯৯–১৯০০ ২০০২–০৩
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড [২৯][৩০] ১ম ১৮৯২–৯৩ ১৯৭৫–৭৬
মিডলসব্রো [৩০] ১২তম ১৯০২–০৩ ১৯৯৮–৯৯
নিউক্যাসল ইউনাইটেড ১৩ম ১৮৯৮–৯৯ ১৯৯৩–৯৪
পোর্টসমাউথ ৯ম ১৯২৭–২৮ ২০০৩–০৪
রিডিং ৮ম ২০০৬–০৭ ২০০৬–০৭
সান্ডারল্যান্ড [৩০] চ্যাম্পিয়নশিপে ১ম ১৮৯০–৯১ ২০০৭–০৮
টোটেনহাম হটস্পার [২৯][৩০] ৫ম ১৯০৯–১০ ১৯৭৮–৭৯
ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ১৫তম ১৯২৩–২৪ ২০০৫–০৬
উইগান এথলেটিক ১৭তম ২০০৫–০৬ ২০০৫–০৬

২০০৬-০৭ সালের যে দলগুলো প্লে-অফে অংশ নেবে তারা হলো ডার্বি কাউন্টি (চ্যাম্পিয়নশিপে ৩য়), ওয়েস্ট ব্রম (৪র্থ), উভারহ্যাম্পটন (৫ম) ও সাউদাম্পটন (৬ষ্ঠ)।

[সম্পাদনা] সাবেক প্রিমিয়ার লীগ সদস্য

এ পর্যন্ত চল্লিশটি দল ১৯৯২ থেকে ২০০৬ এর মধ্যে প্রিমিয়ার লীগে খেলেছে। আরো দুটি দল রয়েছে যারা প্রিমিয়ার লীগ গঠনে ভুমিকা রেখেছিল কিন্তু প্রিমিয়ার লীগ শুরু হওয়ার আগেই রেলিগেশনের খপ্পরে পড়ে এবং দুঃখজনকভাবে আর কখনও প্রিমিয়ার লীগে আসতে পারেনি। বর্তমান ও অতীতের সব দলের তালিকা দেখুন, প্রিমিয়ার লীগের দলের তালিকা

প্রিমিয়ার লীগের এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৫ টি মৌসুমের সবকয়টিতেই খেলেছে এমন দলের সংখ্যা সাতটি। এরা হচ্ছে আর্সেনাল, এস্টন ভিলা, চেলসি, এভারটন, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টোটেনহাম। ১৯৯৩ সালে অন্তর্ভুক্তির পর থেকে নিউক্যাসল ইউনাইটেড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪টি মৌসুম প্রিমিয়ার লীগ খেলছে।

[সম্পাদনা] ভেন্যু

প্রিমিয়ারশিপ অবস্থান স্টেডিয়াম ধারনক্ষমতা দল Overall Rank টুকিটাকি
ওল্ড ট্রাফোর্ড ৭৬,৩১২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিমিয়ারশিপের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম
এমিরেটস স্টেডিয়াম ৬০,৪৩২[৩১] আর্সেনাল  
সেইন্ট জেমস’ পার্ক ৫২,৩৮৭[৩২] নিউক্যাসল ইউনাইটেড কমপক্ষে ৬০,০০০ আসনে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে
সিটি অব ম্যানচেস্টার স্টেডিয়াম ৪৭,৭২৬[৩৩] ম্যানচেস্টার সিটি ইস্টল্যান্ডস নামেও পরিচিত
এনফিল্ড ৪৫,৩৬২[৩৪] লিভারপুল স্ট্যানলি পার্ক স্টেডিয়াম এ স্থানান্তরিত হওয়ার প্রস্তাব আছে
ভিলা পার্ক ৪২,৫৯৩[৩৪] এস্টন ভিলা কমপক্ষে ৫১,০০০ আসনে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ ৪২,৪৪৯[৩৪] চেলসি  
গুডিসন পার্ক ৪০,৫৬৯[৩৪] এভারটন ১০  
হোয়াইট হার্ট লেন ৩৬,২৩৮[৩৫] টোটেনহাম হটস্পার ১৩  
১০ আপটন পার্ক ৩৫,১৪৬[৩৬] ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড 14  
১১ রিভারসাইড স্টেডিয়াম ৩৫,১০০ মিডলসব্রো 15  
১২ ব্রামল লেন ৩৩,০০০ শেফিল্ড ইউনাইটেড 17  Redevelopment and extension of Hallam FM Kop Stand in dicussion
১৩ ইউড পার্ক ৩১,৩৬৭[৩৪] ব্ল্যাকবার্ন রোভারস 21  
১৪ রিবক স্টেডিয়াম ২৭,৮৭৯[৩৪] বোল্টন ওয়ান্ডারার্স ২৭  
১৫ দি ভ্যালি ২৭,১১৩[৩৪] চার্লটন এথলেটিক 29  
১৬ জেজেবি স্টেডিয়াম ২৫,১৩৮[৩৭] উইগান এথলেটিক 34 Shared with Wigan Warriors Rugby League Club
১৭ ক্রাভেন কটেজ ২৪,৫১০ ফুলহ্যাম 37  
১৮ মাদেস্কি স্টেডিয়াম ২৪,০৪৫ রিডিং 38 Planning permission being sought to expand to approx 37,500. Shared with Guinness Premiership team London Irish
১৯ ফ্রাটন পার্ক ২০,২৮৮ পোর্টসমাউথ 46 Plan to increase capacity to 35,000 seats.
২০ ভিনক্যারেজ রোড ১৯,৯২০ ওয়াটফোর্ড 49 নিরাপত্তাজনিত কারনে ধারনক্ষমতা কম রাখা আছে। ২৩,০০০ আসনে উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তৈরী হচ্ছে। এটি প্রিমিয়ারশিপের সর্বকনিষ্ঠ স্টেডিয়াম

[সম্পাদনা] শীর্ষ গোলদাতা

প্রিমিয়ার লীগে সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা
(লক্ষ্য করুন, এগুলো শুধু প্রিমিয়ারশিপের জন্য)
অবস্থান খেলোয়াড় গোলসংখ্যা
ইংল্যান্ড এর পতাকা অ্যালান শিয়ারার ২৬০
ইংল্যান্ড এর পতাকা এন্ড্রু কোল [৩৮] ১৮৮
ফ্রান্স এর পতাকা থিয়েরি অঁরি [৩৮] ১৭৪
ইংল্যান্ড এর পতাকা রবি ফাউলার [৩৮] ১৬২
ইংল্যান্ড এর পতাকা লেস ফার্ডিনান্ড ১৪৯
ইংল্যান্ড এর পতাকা টেডি শেরিংহ্যাম [৩৮] ১৪৭
নেদারল্যান্ড এর পতাকা জিমি ফ্লয়েড হ্যাসলবেইঙ্ক [৩৮] ১২৭
ইংল্যান্ড এর পতাকা মাইকেল ওয়েন [৩৮] ১২৫
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এর পতাকা ড্যুইট ইয়র্ক ১২২
১০ ইংল্যান্ড এর পতাকা ইয়ান রাইট ১১৩
এ তালিকা এপ্রিল ১৪ ২০০৭ পর্যন্ত (মোটা হরফে লিখিত খেলোয়াড়েরা এখনও প্রিমিয়ার লীগে খেলছেন)[৩৯]
ড্যুইট ইয়র্ক এখনও খেলেন তবে চ্যাম্পিয়নশিপ দল সান্ডারল্যান্ডের পক্ষে।
এন্ড্রু কোল প্রিমিয়ার লীগ দল পোর্টসমাউথের তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়
কিন্তু বর্তমানে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল বার্মিংহাম সিটির পক্ষে খেলেন


এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য, দেখুন ইংলিশ ফুটবল শিরোপাধারী

সাবেক ব্ল্যাকবার্ন রোভারস এবং নিউক্যাসল ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়ারার ২৬০ গোল করে সর্বোচ্চ প্রিমিয়ারশিপ গোলের রেকর্ডধারী। শিয়ারার তার খেলা ১৪ মৌসুমের ১০টিতেই শীর্ষ দশ গোলদাতার তালিকায় থেকেছেন এবং তিনবার শীর্ষ গোলদাতার খেতাব জিতেছেন।

১৯৯২–৯৩ থেকে চালু হওয়া প্রিমিয়ার লীগে এগারজন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় শীর্ষ গোলদাতার খেতাব জিতেছেন। ২০০৫-০৬ সালে থিয়েরি অঁরি ২৭ গোল করে টানা তৃতীয় বারের মত শীর্ষ গোলদাতার খেতাব জিতেছেন। শিয়ারারও অবশ্য টানা তিনবার শীর্ষ গোলদাতা হয়েছিলেন (১৯৯৪-৯৫ থেকে ১৯৯৬-৯৭ পর্যন্ত)। অন্যান্য একাধিক বার হওয়া শীর্ষ গোলদাতারা হলেন মাইকেল ওয়েনজিমি ফ্লয়েড হ্যাসলবেইঙ্ক, উভয়ে দু’বার এ খেতাব জিতেছেন। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৪ গোলের রেকর্ড করেছেন এন্ড্রু কোল নিউক্যাসলের পক্ষে ও অ্যালান শিয়ারার ব্ল্যাকবার্নের পক্ষে। কোলের রেকর্ড হয়েছে ১৯৯৩–৯৪ মৌসুমে, শিয়ারারের ১৯৯৪–৯৫ মৌসুমে। দুটিতেই ছিল ৪২টি করে খেলা (২২টি দলের অংশগ্রহণে)। পরবর্তীতে দলের সংখ্যা কমে ২০টি ও খেলার সংখ্যা কমে ৩৮টি হয়। ৩৮ খেলার মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড করেন শিয়ারার ৩১ টি গোল করে, ১৯৯৫–৯৬ মৌসুমে।


প্রিমিয়ারশিপে ১,০০০ দলীয় গোল করার মাইলফলক প্রথম স্থাপন করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২০০৫-০৬ মৌসুমে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এই গোলটি করেন। অবশ্য খেলায় তারা মিডলসব্রোর কাছে ৪-১ গোলে পরাজিত হয়। অন্য যে একটিমাত্র দল ১,০০০ গোলের মাইলফলক ছুতে পেরেছে তারা হচ্ছে আর্সেনাল।

[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র

  1. Campbell, Dennis. "United (versus Liverpool) Nations", The Observer, January 6 2002. Retrieved on 2006-08-08.
  2. "1985: English teams banned after Heysel", BBC. Retrieved on 2006-08-08.
  3. The History of the F.A. Premier League. archived from the original on 2005-03-09 Retrieved on 2006-08-05.
  4. Taylor of Gosforth, Lord (1990). Final Report into the Hillsborough Stadium Disaster. HMSO. Cmnd. 962.. See also The Football Spectators (Seating) Order 1994. Controller of HMSO. Retrieved on 2006-10-14.
  5. Fact Sheet 8: British Football on Television. University of Leicester Centre for the Sociology of Sport. Retrieved on August 10, 2006.
  6. The History Of The Football League. Football League official website. Retrieved on August 10, 2006.
  7. "Fifa wants 18-team Premier League", BBC. Retrieved on 2006-08-08.
  8. Our relationship with the clubs. Premier League. Retrieved on 2006-08-08.
  9. The Premier League and Other Football Bodies. Retrieved on 2006-08-08.
  10. European Club Forum. Retrieved on 2006-08-08.
  11. Johansson backs Liverpool. Retrieved on 2007-04-14.
  12. Blatter backs Liverpool Champions League place.
  13. Duo backing Reds. Retrieved on 2007-04-14.
  14. UEFA Country Ranking 2007. Retrieved on 2007-03-11.
  15. "First fall in Premiership wages", BBC News, 31 May 2006. Retrieved on 2006-08-08.
  16. Football Stats Results for 1992 - 1993 Premiership. Retrieved on 2006-08-10.
  17. Fact Sheet 2: Football Stadia After Taylor. Retrieved on 2006-08-10.
  18. Shifting stands. Retrieved on 2006-08-10.
  19. Premiership Attendance - 2002/03. Retrieved on 2006-08-10.
  20. "Frequently asked questions about the F.A. Premier League", premierleague.com. Retrieved on 2006-08-08.
  21. ২১.০ ২১.১ Martin Cave. "Football rights and competition in broadcasting", Football Governance Research Centre, University of London. Retrieved on 2006-08-08.
  22. [1]
  23. "BBC keeps Premiership highlights", BBC News, 8 June 2006. Retrieved on 2006-08-08.
  24. Ron Atkinson. "England need to stem the foreign tide", The Guardian, 2002-08-23. Retrieved on 2006-08-10.
  25. Phil Neal: King of Europe?. Guardian Unlimited. Retrieved on August 10, 2006.
  26. Wenger backs non-English line-up. BBC Sport. Retrieved on August 10, 2006.
  27. ২৭.০ ২৭.১ ২৭.২ Rich clubs forced to give up a sliver of the TV pie. Retrieved on 2006-08-08.
  28. Why clubs may risk millions for riches at the end of the rainbow. Retrieved on 2006-08-13.
  29. ২৯.০ ২৯.১ ২৯.২ ২৯.৩ ২৯.৪ ২৯.৫ ২৯.৬ সকল লীগ মৌসুমে খেলেছে
  30. ৩০.০০ ৩০.০১ ৩০.০২ ৩০.০৩ ৩০.০৪ ৩০.০৫ ৩০.০৬ ৩০.০৭ ৩০.০৮ ৩০.০৯ ৩০.১০ ৩০.১১ প্রিমিয়ার লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
  31. Questions & Answers. Arsenal.com. (2006-08-22). Retrieved on 2006-12-12.
  32. Modern St James' Park in detail. Newcastle United FC official website. Retrieved on 2006-12-12.
  33. Stadium History. Manchester City FC official website. Retrieved on September 18, 2006.
  34. ৩৪.০ ৩৪.১ ৩৪.২ ৩৪.৩ ৩৪.৪ ৩৪.৫ ৩৪.৬ Premiership Club-by-club Guide. BBC. Retrieved on 2006-12-13.
  35. White Hart Lane Seating. Tottenham Hotspur FC official website. Retrieved on 2006-12-12.
  36. Stadium Information. West Ham United FC official website. Retrieved on 2006-12-12.
  37. JJB Stadium - Facts & Figures. Wigan Warriors. Retrieved on 2006-12-29.
  38. ৩৮.০ ৩৮.১ ৩৮.২ ৩৮.৩ ৩৮.৪ ৩৮.৫ বর্তমানে প্রিমিয়ার লীগে খেলছেন
  39. FA Premier League - Actim Station. Retrieved on 2006-11-08.

[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ


Template:FA Premier League teamlist Template:FA Premier League seasons Template:UEFA leagues Template:English football league system cells Template:Football in England table cells