তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়ককে ফিউশান্ বিক্রিয়কও বলা হয়ে থাকে। এটি এমন এক বিক্রিয়ক যার মধ্যে নিউক্লীয় ফিউশান্ ঘটে কিন্তু মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তির পরিমাণ থাকে নিয়ন্ত্রিত।

যদিও তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়ককে এখনও বাস্তবে রূপ দেয়া যায়নি, তবুও বিশ্বজুড়ে অসংখ্য বিজ্ঞানী এমন একটি যন্ত্রের সফল বাস্তবায়ণের লক্ষ্যে নিরন্তর গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়কের সফল নির্মাণের প্রতিকূলে রয়েছে দুটি কেন্দ্রীয় সমস্যাঃ

১. বিক্রিয়াকারী কেন্দ্রীণ(Nuclide)সমূহকে বিপুল প্রজ্বলন(Ignition) তাপমাত্রায় (একটি ডিউটেরিয়াম-ট্রিটিয়াম বিক্রিয়ার জন্য যার মান প্রায় ৪০ × ১০ K) উত্তপ্ত করা;

২. বিক্রিয়াকারী কেন্দ্রীণসমূহকে যথেষ্ট সময় যাবৎ ধরে রাখা, যাতে ফিশান্ বিক্রিয়ায় মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তির মান বিপুল প্রজ্বলন তাপমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় শক্তিকে ছাড়িয়ে যায়(ল্বসান্ শর্ত দেখুন)।

যে দুটি পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে সেগুলি হলোঃ চৌম্বকীয় অবরোধ(Magnetic containment) এবং বটিকা ফিউশান(Pellet fusion)।

বদ্ধপ্রান্তীয় চৌম্বকীয় অবরোধ পদ্ধতিতে টোকাম্যাক(Tokamak) নামক একটি টরয়েড(Toroid) আকৃতির বিক্রিয়কের মধ্যে প্লাজমা ধারণ করা হয়। এই বিক্রিয়কের মধ্যে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রের সাহায্যে আয়নিত প্লাজমাকে নির্দিষ্ট পথে এমনভাবে চালনা করা হয় যেন প্লাজমাকণাগুলি ধারকের দেয়ালের সংস্পর্শে আসতে না পারে। আর মুক্তপ্রান্তীয় চৌম্বক ব্যবস্থায় একটি ঋজু বিস্তাররোধ পাত্রের দুই মুখে তৈরীকৃত চৌম্বক আরশিযুগল(শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রযুগল)-এর মাঝে প্লাজমাকে আটকে ফেলা হয়।

বটিকা ফিউশান পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো নিউক্লীয় জ্বালানীর একটি ছোট্ট বটিকাকে লেজার বা ইলেকট্রন-রশ্মির সাহায্যে উত্তপ্ত করে এত দ্রুত সংকুচিত করা যে, বটিকাটি শতটুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ার আগেই যাতে ফিউশান্ ঘটে যায়।

এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন
অন্যান্য ভাষা