মানি লন্ডারিং
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মানি লন্ডারিং বলতে স্বাভাবিকভাবে অর্থকে পরিস্কার করা বুঝায়। আসলে, কোন অবৈধ উপায়ে উপার্জিত আয়কে আইনের চোখে এমনভাবে উপস্থাপিত করা হয়, যেন মনে হয় যে তার অর্থটি প্রকৃতই বৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে। সাধারণত: এক খাতের টাকা আরেক খাতে নিয়ে, সেই টাকা আবার আরেক খাতে নিতে নিতে বিষয়টি এমন দাড়ায় যে মূল উৎস খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়। ফলে আইনের লোকজনের পক্ষে অবৈধ উৎসটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় না।
এরকম করার কারণ হল এছাড়া এ অর্থের মালিক ঐ টাকা খরচ করতে পারেনা। কারণ, সেক্ষেত্রে সে আইনের হাতে ধরা পড়ে যেতে পারে। সাধারণত: মাদকদ্রব্য কারবারী, অসৎ রাজনৈতিক নেতা বা সরকারী আমলারা এরকম পন্থার আশ্রয় নেয়।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] পদ্ধতি
তিনটি পর্যায়ে মানি লন্ডারিং করা হয়। এগুলো হল:
- প্লেসমেন্ট (Placement)
- লেয়ারিং (Layering)
- ইন্টেগ্রেশন (Integration)
[সম্পাদনা] প্লেসমেন্ট
এ পর্যায়ে অবৈধ অর্থ সরাসরি অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রবেশ করানো হয়। সাধারণত, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যমে এটি শুরু হয়। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, অবৈধ অর্থের লেনদেনের পরিমান বেশ বড় হয়। সেক্ষেত্রে ব্যাংকে বড় অংকের টাকা জমা দিতে গেলে প্রশ্নের সম্মুঙ্খীন হতে হয়।
[সম্পাদনা] লেয়ারিং
এ পর্যায়ে অর্থকে বিভিন্ন পন্থায় এক খাত থেকে আরেক খাতে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে টাকা এক হিসাব থেকে আরেক হিসাবে, এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের হিসাবে, এমনকি এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাঠিয়ে লেনদেনের একটা জটিল অবস্থা তৈরি করা হয় যাতে লেনদেনগুলো অনুসরণ করা না যায়। অথ্যাৎ কোন লেনদেনের পর কোনটি হয়েছে তা বের করা যায় না। ফলে মূল উৎসটিও বের করা সম্ভব হয় না।
[সম্পাদনা] ইন্টিগ্রেশন
এ পর্যায়ে অর্থ আবারও মূল অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রবেশ করে। তবে এবার অবৈধ অর্থ হিসাবে নয়। বৈধ অর্থ হিসাবেই এ টাকা অর্থনীতিতে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে আগের প্রমান না থাকেল এই অর্থের উৎস বের করা প্রায় অসম্ভব। সাধারণত: ব্যবসায়ের লাভ হিসাবে ব্যাংকে এ অর্থ জমা করা হয়।