ইন্টারনেট ব্যাংকিং
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমকেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং বলে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট-এ যুক্ত হয়ে ব্যাংকের নির্দিষ্ট সুরক্ষিত ওয়েবসাইট-এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ করে। একাউন্টে প্রবেশের জন্য ব্যাংক গ্রাহককে প্রয়োজনীয় তথ্য (সাধারণত: একটি আইডি ও পাসওয়ার্ড) সরবরাহ করে। তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল ব্যাংকি কার্যক্রম করা যায় না। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা দিন দিন কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] সুবিধা
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের ফলে একজন গ্রাহক নিম্মোক্ত সুবিধাগুলো পেতে পারেন:
- ২৪ ঘন্টা, ৩৬৫ দিন একাউন্টে প্রবেশের সুবিধা
- হিসাবের ব্যালেন্স অনুসন্ধান
- এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে অর্থ স্থানান্তর
(তবে বাংলাদেশে এখনও অন্য ব্যাংকের হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের সুবিধা নেই। অথ্যাৎ এটি শুধু একই ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ)
- নিজের একাধিক হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর
- ইউটিলিটি বিল পরিশোধ (যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি)
- সুদের হার অনুসন্ধান, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অনুসন্ধান
- হিসাবের রিপোর্ট অনুসন্ধান
- চেক বই এর জন্য অনুরোধ
- চেক এর পেমেন্ট বাতিল করা
- বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম খোলা ইত্যাদি।
বি:দ্র: ব্যাংক ভেদে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধার কিছুটা তারতম্য হতে পারে।
[সম্পাদনা] ইতিহাস
[সম্পাদনা] বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং
বাংলাদেশে যে সমস্ত ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা দেয় এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
- ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
প্রথম তিনটি ব্যাংকিই একই সফটওয়্যার ব্যবহার করে। সফটওয়্যারটির নাম ফ্লেক্সকিউব যা আই-ফ্লেক্স সল্যুশনসএর তৈরি।
[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ
- ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
- ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড
- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
- ফ্লেক্সকিউব