মুহাম্মদের বৈবাহিক জীবন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
একটি ধারাবাহিক রচনার অংশ যার বিষয় |
|
|
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) (৫৭০ - ৬৩২) ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তিনি আরবীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সেনানায়ক হিসেবেও সফলতা লাভ করেছেন। ইতিহাসে তাকে রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তি এবং ইসলামের প্রবর্তক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যৌবনে তিনি মূলত ব্যাবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২৫ বছর বয়সে তাঁর সাথে আরবের বিশিষ্ট ধনী এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের বৈবাহিক জীবন প্রায় ২৪ বছর স্থায়ী হয়। এরপর খাদিজা মৃত্যুবরণ করেন। খাদিজার জীবদ্দশায় নবী আর কোন স্ত্রী গ্রহণ করেননি। মুসলিম জীবনীকারদের বর্ণনামতে খাদিজার মৃত্যুর পর নবী আরও ১০ জন (মতান্তরে ১২ জন) স্ত্রী গ্রহণ করেন। অর্থাৎ তার স্ত্রীর সংখ্যা সর্বমোট ১১ জন (মতান্তরে ১৩ জন)। মুহাম্মদের জীবনকে প্রধান দুইটি অংশে ভাগ করা হয়: মক্কী জীবন এবং মাদানী জীবন। মক্কী জীবনে তিনি দুইজনকে বিয়ে করেন। তার বাকি সবগুলো বিয়েই ছিলো মাদানী জীবনে তথা হিজরতের পরে।
[সম্পাদনা] পরিবার
মুহাম্মদের স্ত্রীগণ |
---|
সাওদা বিনতু জামা* আয়িশা* হাফসা বিনতু উমর জয়নব বিনতু খুযায়মা উম্মু সালামা হিন্দ বিনতু আবী উমাইয়্যা জয়নব বিনতু জাহশ জুওয়াইরিয়া বিনতু আল-হারিস রামালাহ বিনতু আবী-সুফিয়ান সাফিয়া বিনতু হুওয়াই মাইমুনা বিনতু আল-হারিস মারিয়া আল-কিবতিয়া** *succession disputed **disputed |
[সম্পাদনা] খাদিজা বিনতু খুওয়াইলিদ
[সম্পাদনা] সাওদা বিনতু জামা
[সম্পাদনা] আয়িশা
[সম্পাদনা] হাফসা বিনতু উমর
[সম্পাদনা] জয়নব বিনতু খুযায়মা
[সম্পাদনা] উম্মু সালামা হিন্দ বিনতু আবী উমাইয়্যা
[সম্পাদনা] জয়নব বিনতু জাহশ
[সম্পাদনা] জুওয়াইরিয়া বিনতু আল-হারিস
[সম্পাদনা] রামালাহ বিনতু আবী-সুফিয়ান
[সম্পাদনা] সাফিয়া বিনতু হুওয়াই
[সম্পাদনা] মাইমুনা বিনতু আল-হারিস
[সম্পাদনা] মারিয়া আল-কিবতিয়া
[সম্পাদনা] স্ত্রীদের তালিকা
নাম | গোত্র | বিয়ের পূর্বের অবস্থা | বয়স | বিয়ের কারণ | বিয়ের তারিখ | মৃত্যুর তারিখ |
খাদিজা বিনতু খুওয়াইলিদ | বনু আসাদ | বিধবা | ২৫ - ৪০ | ৫৯৫ | ৬১৯ | |
সাওদা বিনতু জামআ | বনু আব্দু শাম্স | বিধবা | ৬৫ | বৃদ্ধ, গরিব এবং বিধবা; আবিসিনিয়া হিজরতের পর | ৬১৯-এর পরপর | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর |
আয়েশা | বনু তাইম | কুমারী | ৯ (মতান্তর:বিয়ের সময় আয়েশার বয়স) | মুহাম্মদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আবু বকর তার মেয়েকে বিয়ে দেন।[১] | ৬২২ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর |
হাফসা বিনতু উমর | বনু আদি | বিধবা | উমরের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে তার মেয়েকে | ৬২৪ - ৬২৫ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর | |
জয়নব বিনতু খুযায়মা | বিধবা | ৬২৬ - ৬২৭ | বিয়ের পরপরই | |||
উম্মে সালামা হিন্দ বিনতু আবি উমাইয়া | বনু উমাইয়া | উহুদ যুদ্ধে বিধবা হন | প্রায় ৬৫ | সাহায্যের জন্য, ৪ জনের জননী ছিলেন | ৬২৬ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর |
জয়নব বিনতু জাহ্শ | তালাকপ্রাপ্ত এবং বিধবা | ৬২৫ - ৬২৭ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর | |||
জুওয়াইরিয়া বিনতু আল-হারিস | বনু মুস্তালিক | বিধবা; মা মালাকাত আইমানুকুম-এর আওতায় | সম্ভবত রাজনৈতিক | ৬২৭ - ৬২৮ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর | |
উম্মে হাবিবা | বনু উমাইয়া | তালাকপ্রাপ্ত, তার স্বামী আবিসিনিয়ায় খ্রিস্টান হয়ে যায় বলে | সাহায্য | ৬২৯ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর | |
সাফিয়া বিনতু হুইয়াই | বনু নাদির | বিধবা; মা মালাকাত আইমানুকুম-এর আওতায় | সম্ভবত রাজনৈতিক | ৬২৯ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর | |
মাইমুনা বিনতু আল-হারিস | বিধবা | ২৬ | ৬২৯ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর | ||
মারিয়া আল কিবতিয়া | মিশরীয় | দাসী | রাজনৈতিক | ৬২৮ - ৬২৯ | মুহাম্মদের মৃত্যুর পর |
[সম্পাদনা] আরও দেখুন
[সম্পাদনা] মন্তব্য
- ↑ Sunni view that sha was divinly chosen (Sahih Bukhari Template:Bukhari-usc), Shi'a reject that hadith as fabricated. Shi'a view it as a political marriage, in order for Muhammad to get a new tribe and protector after Abu Talib died in the Year of Sorrow
- 1.^ Bahishti Zewar by Maulana Ashraf Thanvi
- 2.^ THE SEALED NECTAR Memoirs of the Noble Prophet. Chanpter on the Prophetic Household by Saifur Rahman al-Mubarakpuri
- 3.^ THE SEALED NECTAR Memoirs of the Noble Prophet. Chanpter on the Prophetic Household by Saifur Rahman al-Mubarakpuri
- 4.^ THE SEALED NECTAR Memoirs of the Noble Prophet. Chanpter on the Prophetic Household by Saifur Rahman al-Mubarakpuri
- 5.^ Bahishti Zewar by Maulana Ashraf Thanvi
- 6.^ THE SEALED NECTAR Memoirs of the Noble Prophet. Chanpter on the Prophetic Household by Saifur Rahman al-Mubarakpuri