রবিন ভ্যান পার্সি
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রবিন ভ্যান পার্সি | ||
![]() |
||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||
---|---|---|
জন্ম তারিখ | আগস্ট ৬, ১৯৮৩ | |
জন্ম স্থান | রটারডাম, নেদারল্যান্ড | |
উচ্চতা | ১.৮৩ মি.মি (৬ ফুট) | |
মাঠে অবস্থান | স্ট্রাইকার | |
ক্লাব তথ্য | ||
বর্তমান ক্লাব | আর্সেনাল | |
জার্সি নম্বর | ১১ | |
তরুণ ক্লাব | ||
এক্সিলসায়র রটারডাম | ||
সিনিয়র ক্লাব1 | ||
বছর | ক্লাব | খেলা (গোল)* |
২০০১-২০০৪ ২০০৪-বর্তমান |
ফিয়েনর্ড রটারডাম আর্সেনাল |
৬১ (১৪) ৭২ (২১) |
জাতীয় দল2 | ||
২০০৫-বর্তমান | নেদারল্যান্ড | ২১ (৯) |
1 পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা |
রবিন ভ্যান পার্সি (জন্ম আগস্ট ৬, ১৯৮৩ রটারডামে) একজন ডাচ ফুটবলার। বর্তমানে এফ এ প্রিমিয়ার লীগের অন্যতম জনপ্রিয় দল আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের স্ট্রাইকার হিসাবে খেলছেন। তিনি স্ট্রাইকারের পাশাপাশি উইঙ্গার হিসাবেও খেলতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] জীবনী
ভ্যান পার্সির ক্যারিয়ারের সূচনা হয় রটারডামের ফূটবল ক্লাব এক্সিলসায়রের তরুণ দলে। পরবর্তীতে ফিয়েনর্ড রটারডামে । এই ক্লাবের হয়েই তিনি ক্রমান্বয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। হঠাৎ করেই একদিন ইনজুরি আক্রান্ত প্রধান দলে ডাক পান। প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সাথে ২০০২ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করে। ৮ই মে ২০০২ সালে উয়েফা কাপ ফাইনালে বরউসিয়া ডর্টমান্ডকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে তার দল। সারা বছর তার অসামান্য কৃতিত্বের কারণে তিনি রয়াল নেদারল্যান্ড ফুটবল এসোসিয়েসন (Dutch: Koninklijke Nederlandse Voetbalbond or KNVB) কর্তৃক ২০০১-২০০২ সালের শ্রেষ্ঠ তরুণ খেলোয়ার নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে পিঠের ইনজুরির কারনে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে তার জায়গা হয়নি মূল দলে। নতুন মৌসুমে তিনি আবার আসল রূপে ফিরে আসেন। লীগের ২৮ টি ম্যাচে ৮ টি গোল করে তিনি নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন। কিন্তু তার সাথে দলের ম্যানেজার বার্ট ভ্যান মারউইক্সের কঠিন সম্পর্ক থাকার কারণে ইউরোপিয়ান সুপার কাপে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলার আগের দিন তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ কারনেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সাথে ২০০২ সালে চুক্তি শেষ হবার পর তা আর নবায়ণ করেনি।
[সম্পাদনা] আর্সেনাল
২০০৪ সালে ট্রান্সফার উইন্ডো চলাকালীন সময়ে ইংল্যান্ড ভিত্তিক ফুটবল ক্লাব আর্সেনাল তাকে দলে টানে। এই জন্য তাদের পিএসভি আইন্দহোভেন, ওয়ার্ডার ব্রেমান, সেভিলার মতো দলের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয়।
এজন্য আর্সেনালকে খরচ করতে হয় প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার। ম্যানেজারের ভ্যান পার্সির সামর্থ্যের উপর আস্থা থাকার কারনে ২০০৪ সালের ৮ই মে এফএকাপে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে অভিষেক হয় রবিন ভ্যান পার্সির। প্রথম দিকে দলে একজন উইঙ্গার হিসাবে খেললেও পরবর্তীতে ডেনিস বার্গক্যাম্পের অবসর গ্রহন করার পর স্ট্রাইকার হিসাবে খেলা শুরু করেন।
মৌসুমের শুরুতে সাউথহ্যাম্পটনের সাথে ম্যাচে অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ করার কারণে রেফারি তাকে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন। ফলে তিনি ম্যানেজারের ক্ষোভের সন্মুখীন হন। এই সময় তিনি হতাশ না হয়ে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করা শুরু করেন। কিছুদিন পর থিয়েরি অঁরির ইনজুরির কারনে ম্যানেজার আবার তাকে মাঠে নামান। পুনরায় দলে সুযোগ পেয়ে তিনি তার সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দেন। নিজের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে যোগ করেন অসংখ্য গোল। এই সময় তার দলের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল এফএকাপের সেমিফাইনালে ব্ল্যাকবার্ণ রোভার্সের বিপক্ষে খেলায়। সেখানে তিনি ২টি গোল করে আর্সেনালকে উঠিয়ে নিয়ে আসেন সেমিফাইনালে।
ভ্যান পার্সি ২০০৫-০৬ মৌসুমের প্রথম ম্যাচে গোল করেন। তার ধারাবাহিক কৃতিত্ব এবং পরপর চার ম্যাচে মোট ৬টি গোল করার পর তিনি নভেম্বর মাসেরPlayer Of The Month নির্বাচিত হন। সাথে সাথে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সাথে ২০১১ সাল পর্যন্ত চুক্তি নাবায়ন করে। ২০০৬-০৭ মৌসুমের শুরুতে চার্লটন এথলেটিকের বিপক্ষে তার দেয়া গোল BBC's মাসের সেরা গোল নির্বাচিত হয়। ২০০৭ সালের ২১শে জানুয়ারি এমিরেটস্ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে খেলায় পিছিয়ে পড়া আর্সেনালকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন বদলি খেলোয়াড় হিসাবে নামার পর গোল দিয়ে। ইনজুরি আক্রান্ত হবার কারণে চলতি মৌসুমে তার আর মাঠে নামার সম্ভাবনা নেই।
[সম্পাদনা] আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
রবিন ভ্যান পার্সি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথম সম্পূর্ণ ম্যাচ খেলেন ২০০৫ সালের ৪ঠা জানুয়ারি রোমানিয়ার বিপক্ষে। জাতীয় দলের কোচ মার্কো ভ্যান বাস্তেন ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের নেদারল্যান্ড দলের অন্যতম ফরয়ার্ড খেলোয়াড় হিসাবে দলে নেন। তার প্রথম বিশ্বকাপ গোল ছিল গ্রুপ পর্বের খেলায় আইভরিকোষ্টের (Côte d'Ivoire) বিপক্ষে। খেলার ২৩ মিনিটের মাথায় তিনি দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে গোলটি করেন।
[সম্পাদনা] ব্যক্তিগত জীবন
ভ্যান পার্সির মা একজন শিক্ষক এবং বাবা একজন শিল্পী। তার বাবাই তাকে ছোট থেকে বড় করে তুলেন। ছোটবেলা থেকেই তার ব্যক্তিগত আচরণে সমস্যা ছিল। এইজন্য তাকে মাঝে মাঝে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হতো। তিনি ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে Bouchra এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার Shaqueel নামে একটি সন্তান রয়েছে। অনেকে ধারণা করে ভ্যান পার্সি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। যদিও সাক্ষাৎকারে তিনি এ ব্যাপারে কখনো মুখ খুলেননি। [১]
[সম্পাদনা] ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান
(২০০৭ সালের ২১শে জানুয়ারিতে সংশোধিত)
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ | ইউরোপ | সর্বমোট | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
খেলা | গোল | সহযোগিতা | গোল | সহযোগিতা | গোল | সহযোগিতা | খেলা | গোল | সহযোগিতা | ||||
ফিয়েনর্ড রটারডাম | ২০০১-০২ | ৮ | - | ? | - | - | - | ৭ | - | - | ১৫ | - | - |
2002-03 | ২৩ | ৯ | ? | - | - | - | ২ | - | - | ২৫ | ৯ | - | |
2003-04 | ২৮ | ৬ | ? | - | - | - | ৩ | - | - | ৩১ | ৬ | - | |
সর্বমোট | ৭১ | ১৫ | - | ||||||||||
আর্সেনাল | ২০০৪–০৫ | ২৬ | ৬ | ১ | ৯ | ৪ | - | ৬ | ১ | - | ৪১ | ১০ | ১ |
২০০৫-০৬ ইংলিশ ফুটবল | ১ | ৭ | ৪ | - | ৭ | ২ | - | ৩৮ | ১১ | ১ | |||
২০০৬-০৭ ইংলিশ ফুটবল | ৭ | ১ | ০ | ০ | ৮ | ২ | ১ | ৩০ | ১৩ | ৮ | |||
সর্বমোট | ১১০ | ৩৪ | ১০ | ||||||||||
ক্যারিয়ারে সর্বমোট | ১৮১ | ৪৯ | ১০ |
[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ
- The biggest Robin van Persie fansite English/Dutch
- Profile at 4thegame.com
- Profile at sporting-heroes.net
- van Persie's Netherland stats at voetbalstats.nl