ভিটামিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খাদ্যে জরুরী কিছু ছোট জৈব অণু যাদের অভাবে বিভিন্ন রোগ হয়।

চিত্র:Retinol structure.png
ভিটামিন এ বা রেটিনল

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] মানবদেহের ভিটামিনসমূহ

Vitamin name রাসায়নিক নাম দ্রাব্যতা অভাবের ফলে সৃষ্ট রোগসমূহ যে হারে খাবার গ্রহণ করতে হবে
(পুরুষ, বয়স: ১৯-৭০)[১]
সর্বোচ্চ যে পরিমাণ খাবার গ্রহণ করা যাবে
(UL/day)[১]
ভিটামিন এ রেটিনয়েড (রেটিনল, retinoids
and carotenoids)
স্নেহ পদার্থ রাতকানা রোগ,
Keratomalacia[২]
900 µg 3,000 µg
ভিটামিন বি Thiamine পানি Beriberi 1.2 mg (N/D)[৩]
Vitamin B2 Riboflavin পানি Ariboflavinosis 1.3 mg N/D
Vitamin B3 Niacin পানি Pellagra 16.0 mg 35.0 mg
Vitamin B5 Pantothenic acid পানি Paresthesia 5.0 mg [৪] N/D
Vitamin B6 Pyridoxine পানি রক্তশূন্যতা[৫] 1.3-1.7 mg 100 mg
Vitamin B7 Biotin পানি n/a 30.0 µg N/D
Vitamin B9 Folic acid পানি Deficiency during pregnancy is
associated with birth defects.
400 µg 1,000 µg
Vitamin B12 Cyanocobalamin পানি Megaloblastic anaemia[৬] 2.4 µg N/D
Vitamin C Ascorbic acid পানি Scurvy 90.0 mg 2,000 mg
Vitamin D Ergocalciferol, Cholecalciferol Fat Rickets, Osteomalacia 5.0 µg-10 µg [৭] 50 µg
Vitamin E Tocopherol, Tocotrienol Fat Deficiency is very rare, mild
hemolytic anemia in newborn
infants.[৮]
15.0 mg 1,000 mg
Vitamin K Naphthoquinone Fat Bleeding diathesis 120 µg N/D

[সম্পাদনা] জলদ্রাব্য ভিটামিন

[সম্পাদনা] ভিটামিন বি

ভিটামিন বি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নামেও পরিচিত। এই ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয় এবং ভঙ্গুর। বি ভিটামিনের অনেকগুলো কার্বোহাইড্রেট বিপাকে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন বি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।

[সম্পাদনা] ভিটামিন বি ওয়ান বা থায়ামিন

ভিটামিন ব১-এর রাসায়নিক নাম থায়ামিন যা একটি বর্ণহীন, কেলাসাকৃতির পদার্থ। থায়ামিন শরীরের ভিতর থায়ামিন পাইরোফস্ফেটে পরিণত হয় যা কার্বোহাইড্রেট বিপাকে একটি সহ-উৎসেচক (যা উৎসেচকের সাথে মিলিত হতে হয়ে কিছু আংশিক বিক্রিয়া অণুঘটিত করে) হিসেবে কাজ করে । থায়ামিনের অভাবে বেরিবেরি রোগ হয় যা পেশী দূর্বল করে দেয়। এছাড়াও হৃৎপিণ্ডের আকার বেড়ে যাওয়া, পায়ে খিল ধরা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কারণ হিসেবে এই ভিটামিনের অভাব কাজ করে। স্নায়ু উদ্দীপক পদার্থ সংশ্লেষণে এটি ভূমিকা রাখে। সবচেয়ে বেশী থায়ামিন সমৃদ্ধ খাদ্যের মধ্যে রয়েছে: শূকরের মাংস, যকৃত, হৃৎপিণ্ড এবং বৃক্কের মাংস, ভাঁটিখানার ঈস্ট, চর্বিহীন মাংস, ডিম, পাতাযুক্ত সবুজ শাক-সব্জি, শস্যদানা, গমের বীজ, বৈঁচী (এ ধরণের বীচিশূন্য ফল), [[বাদাম[[ এবং শুঁটি। শস্যপেষাই কলের মাধ্যমে শস্যদানা ঝালঅই করার সময় এর থায়ামিনসমৃদ্ধ অংশগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল বা পেষাইকৃত গমে থায়ামিনের পরিমাণ কম থাকে। বর্তমানকালের গবেষণায় চাল ও গমে থায়ামিনের পরিমাণ বেশ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে, তথাপি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সমস্যা রয়েই গেছে।

[সম্পাদনা] ভিটামিন বি টু বা রাইবোফ্ল্যাভিন

ভিটামিন বি২-এর রাসায়নিক নাম রাইবোফ্ল্যাভিন (C17H20N4O6)। রাইবোফ্ল্যাভিন থেকে ফ্ল্যাভিন মনোনিউক্লিওটাইড ও ফ্ল্যাভিন অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড নামে দুটি সহ-উৎসেচক তৈরী হয়। এই সহ-উৎসেচক কার্বোহাইড্রেট, চর্বি এবং শ্বসনীয় আমিষ বিপাকে সাহায্য করে থাকে। শ্লেষ্মা ঝিল্লীর রক্ষণাবেক্ষণেও এর ভূমিকা রয়েছে। বি২-এর অভাবে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো অতটা স্পষ্ট নয়। কিছু লক্ষণের মধ্যে রয়েছে: ত্বকের বিকৃতি (বিশেষত নাক ও ঠোটের চারপাশে) এবং আলোক সংবেদনশীলতা। রাইবোফ্ল্যাভিনের ভালো উৎসগুলোর মধ্যে আছে: কলিজা, দুধ, মাংস, গাঢ় সবুজ রঙের সব্জি, শস্যদানা, পেস্তা, পাউরুটি এবং মাশরুম।

[সম্পাদনা] ভিটামিন বি থ্রি বা নিকোটিনিক অ্যাসিড

এর রাসায়নিক নাম নায়াসিন (C6H5NO2) বা নিকোটিনিক এসিড। এটিও সহকারী উৎসেচক যা পুষ্টিকর খাদ্য থেকে শক্তির বিমুক্তকরণে সাহায্য করে। নায়াসিনের অভাব হলে অপুষ্টি রোগ দেখা দেয়। এর প্রাথমিক লক্ষণ হল ত্বকের যে অংশ সরাসরি সূর্যের আলো পায় সে অংশে বিভিন্ন স্ফোটক উদগত হয় যাতে মনে হয় সূর্যের আলোয় সে অংশ পুড়ে গেছে। পরবর্তী লক্ষনগুলো হল: লাল ও

[সম্পাদনা] ভিটামিন বি ফাইভ বা প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড

[সম্পাদনা] ভিটামিন বি সিক্স

[সম্পাদনা] ভিটামিন এইচ বা বায়োটিন বা ভিটামিন বি সেভেন

ভিটামিন এইচের রাসায়নিক নাম হচ্ছে বায়োটিন (biotin - C10H16N2O3S) যা চর্বি বিপাকে সহায়তা করে। ডিমের কুসুম এবং কলিজায় এটি পাওয়া যায়। বায়োটিনের অভাবে ক্ষুধামন্দা, অন্তঃত্বকের কিছু রোগ, চুল পড়ে যাওয়া এবং অ্যানিমিয়া দেখা দেয়।[৯]

[সম্পাদনা] ভিটামিন বি টুয়েল্ভ বা সায়ানোকোবালামিন

[সম্পাদনা] ভিটামিন এম বা ফোলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি নাইন

[সম্পাদনা] ভিটামিন সি বা অ্যাস্করবিক অ্যাসিড

[সম্পাদনা] স্নেহদ্রাব্য ভিটামিন

[সম্পাদনা] ভিটামিন এ বা রেটিনল

ভিটামিন একটি হালকা হলুদ বর্ণের প্রাথমিক অ্যালকোহল। এটি ক্যারোটিন থেকে উদ্ভূত হয়। ত্বকের উৎপত্তি ও রক্ষণাবেক্ষণ, শ্লেষ্মা ঝিল্লী, হাড়, দাঁত, দৃষ্টি এবং পুনরুৎপাদন ক্ষমতার উপর এই ভিটামিনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। রাতকানা রোগ অন্যতম প্রাচীন একটি রোগ। ভিটামিন এ-'র অভাবে এই রোগটি হয়ে থাকে। এছাড়া এই ভিটামিনের অভাবে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় তা হল: ত্বকের অত্যধিক শুষ্কতা, শ্লেষ্মা ঝিল্লীর নিঃসরণ কমে যাওয়া, ব্যাক্টিরিয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া, অশ্রু গ্রন্থির অকার্যকারিতা এবং তার ফলে চোখের শুষ্কতা। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের অন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনেও এই ভিটামিনের অভাব কাজ করে।

দুইটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে মানব দেহে ভিটামিন এ তৈরী হতে পারে। একটি হল: ক্যারোটিন থেকে উৎপাদন। গাজর, ফুলকপি, লাউ, পালং শাক, মিষ্টি আলু প্রভৃতিতে ক্যারোটিন থাকে। অন্য উপায়টি হল: তৃণভোজী প্রাণী কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ভিটামিন এ সরাসরি গ্রহণ করা। প্রাণীজ উপায়ে ভিটামিন এ যা থেকে পাওয় যায় তা হল: দুধ, মাখন, পনির, ডিমের কুসুম, কলিজা এবং মাছের যকৃতের তেল। আমরা সাধারণত যে খাবার গ্রহণ করি তা থেকেই এই ভিটামিনের চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়ে যায়। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করা উচিত নয়। এতে শারীরিক বৃদ্ধির উপর প্রভাব পড়ে। এছাড়া মাসিক রজঃস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, লোহিত রক্ত কণিকা ধ্বংস হওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, মথা ব্যাথা এবং জন্ডিস সহ এ ধরণের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

[সম্পাদনা] এ২

এটি ভিটামিন এ-এর একটি বিশেষ রুপ যা মাছের যকৃত থেকে পাওয়া যায়।[১০]

[সম্পাদনা] ভিটামিন ডি বা ক্যাল্সিফেরল

[সম্পাদনা] ভিটামিন ই বা টোকোফেরল

[সম্পাদনা] ভিটামিন কে বা ন্যাপথোকুইনোন

[সম্পাদনা] কে১

সবুজ শাক-সব্জিতে পাওয়া যায়।[১১]

[সম্পাদনা] কে২

মাছের দেহে এই ভিটামিন পাওয়া যায়।[১২]

[সম্পাদনা] ভিটামিন পি

ভিটামিন পি-এর রাসায়নিক নাম হল: বায়োফ্ল্যাভোনয়েড (bioflavonoid)। এটি লেবু জাতীয় সকল ফলেই পাওয়া যায়।[১৩]