আর্যভট্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আইইউসিএএ-এর প্রাঙ্গনে আর্যভট্টের ভাস্কর্য
আইইউসিএএ-এর প্রাঙ্গনে আর্যভট্টের ভাস্কর্য

আর্যভট্ট (দেবনগরী: आर्यभट) (৪৭৬৫৫০) ভারতের প্রাচীন গণিতবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। বর্তমান ভারতের কেরালায় তার জন্ম। কিছু তথ্যমতে জানা যায় যে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য কুসুমপুরায় গিয়েছিলেন। তিনি কুসুমপুরায়ই বসবাস করতেন, তার ভাষ্যকার ভাস্কর ১ যে স্থানকে পাটালিপুত্র বলে অভিহিত করেছেন। স্থানটি বর্তমান ভারতে পাটনা নামে পরিচিত। তিনি কুসুমপুরের আর্যভ নামে খ্যাত ছিলেন। ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম তার নামে "আর্যভট্ট" রাখা হয়।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] উচ্চশিক্ষা

বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষাশেষে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন।

[সম্পাদনা] প্রধান অবদান

প্রাচীন ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে আর্যভট্টই মূল ব্যক্তিত্ব যার কিছু অবদানের কথা এখনও জানা যায়। তার বিখ্যাত রচনার মধ্যে রয়েছে আর্যভট্টম এবং আর্যভট্ট-সিদ্ধান্ত। তার প্রকৃত জন্মস্থান জানা না গেলেও তাকে কাশ্মীরের লোক বলে ধরা হয়। আর্যভট্টমে বেশ কিছু গাণিতিক এবং জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকথা পদবাচ্যের আকারে সন্নিবেশিত হয়েছিলো যা পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিলো। এই পুস্তকগুলোর মূলকথা পরবর্তীতে আর্যভট্টের শিষ্য ভাস্কর ১ এবং নীলকণ্ঠ সম্যজী কর্তৃক পরিবর্ধিত ভাষ্য আকারে সংকলিত হয়।

আর্যভট্টকে শূণ্যের আবিস্কারকের মর্যাদা দেওয়া হয়।

[সম্পাদনা] আর্যভট্টম'

মাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্যভট্ট এই গ্রন্থটি সংকলন করেন। এ চারটি অধ্যায়‌ দশগীতিকা, গণিতপাদ, কালক্রিয়া ও গোলপাদ। দশগীতিকা, কালক্রিয়া ও গোলপাদ অধ্যায়ে গোলীয় ত্রিকোণমিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী রয়েছে। অন্যদিকে গণিত পাদে আছে পাটীগণিত, বীজগণিত, সমতল ত্রিকোণমিতি, দ্বিঘাত সমীকরণ, প্রথম স্বাভাবিক n সংখ্যার ঘাতবিশিষ্ট পদ সমূহের সমষ্টি এবং একটি সাইন অনুপাতের সারণি রয়েছ। তাছাড়া এই অধ্যায়ে সে সময়কার জনপ্রিয় জ্যোতিষচর্চার প্রয়োজনীয় ৩৩টি গাণিতিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। গনিতপাদে আর্যভট্ট পাই-এর মান তথা বৃত্তের পরিধির সঙ্গে এর ব্যাসের মান ৩.১৪১৬ হিসাবে চিহ্নিত করেন।

[সম্পাদনা] আরও দেখুন


[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ