হাদিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর বাণী ও জীবনাচরণকে হাদীস (আরবিতে الحديث) বলা হয়ে থাকে। হাদীসের উপদেশ মুসলমানদের জীবনাচরণ ও ব্যবহারবিধির অন্যতম পথনির্দেশ। কুরআন ইসলামের মৌলিক গ্রন্থ এবং হাদিসকে অনেক সময় তার ব্যাখ্যা হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে হাদিস সংকলন

[সম্পাদনা] সুন্নী দৃষ্টিভঙ্গি

সুন্নী বিশ্বাস মতে ছয় জন প্রসিদ্ধ হাদিস শাস্ত্র বিশারদ এবং ইসলামী চিন্তাবিদ মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রায় সকল হাদীস সংকলন করেন। তাদের সংকলনগুলো গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়। এই ছয়টি গ্রন্থকে সিহাহ্‌ সিত্তাহ্‌ বলা হয় যার অর্থ বিশুদ্ধ ছয়। এই গ্রন্থগুলো হল:

নাম সংগ্রাহক আকার
সহিহ্‌ বুখারি মুহাম্মদ আল-বুখারি (মৃ. ৮৭০) ৭২৭৫ টি হাদিস
সহিহ্‌ মুসলিম মুসলিম ইবনুল হিজাজ (মৃ. ৮৭৫) ৯২০০ টি
সূনান আবু দাঊদ আবু দাঊদ (মৃ. ৮৮৮)
সূনান আত-তিরমিযী আল-তিরমিযী (মৃ. ৮৯২)
সূনান নাসাঈ আল-নাসাঈ (মৃ. ৯১৫)
সূনান ইবন মাযা ইবন মাযা (মৃ. ৮৮৬)

[সম্পাদনা] শিয়া দৃষ্টিভঙ্গি

শিয়া দৃষ্টিভঙ্গিতে ছয়জন প্রসিদ্ধ হাদীস সংগ্রাহককে এতোটা মূল্যায়ন করা হয় না। শিয়া মত অনুসারে পাঁচজন প্রসিদ্ধ হাদিস সংগ্রাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথম চারজন সবচেয়ে প্রসিদ্ধ:

  • উসুল আল-কাফি
  • আল-ইসতিবাসার
  • আল-তাহজিব
  • মুন লা ইয়াহ্‌দুরুহু আল-ফাকিহ
  • নাহ্‌য আল-বালাগা

[সম্পাদনা] ইবাদি দৃষ্টিভঙ্গি

ইবাদি মত মূলত আরব রাষ্ট্র ওমানে প্রচলিত। এই মতে সূন্নীদের অনুসৃত কিছু হাদিস গ্রহণ করা হয়, আবার অনেকগুলোই গ্রহণ করা হয় না। হাদিস গ্রহণের ব্যাপারে তাদের নিজস্ব মত রয়েছে। সুন্নীরা বিপুল সংখ্যক হাদিস গ্রহণ করেছে যা ইবাদিরা করেনি। তাদের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং একচেটিয়া হাদিস গ্রন্থ হচ্ছে:

  • আল-জামি আল-সহিহ্‌[1] - যার অপর নাম মুসনাদ আল-রাবি ইবন হাবিবআবু ইয়াকুব ইউসুফ ইবন ইবরাহিম আল-ওয়ারিজলানি এই গ্রন্থ সংকলন করেছেন।

[সম্পাদনা] অমুসলিম দৃষ্টিভঙ্গি

ইসলামের প্রায় সকল হাদিস যখন সংকলন শেষ হয় তার পরপরই পাশ্চাত্য জগতের সাথে মুসলিমদের মূল বিরোধ এবং সংযোগ শুরু হয়। একদিকে যেমন ক্রুসেডের মাধ্যমে সম্পর্ক দিনে দিনে বিরুপ আকার ধারণ করছিল অন্যদিকে আবার তেমনই একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করছিল। পাশ্চাত্যে প্রথমে কুরআনের অনুবাদ করা হয়। এর অনেক পরে কিছু চিন্তাবিদ হাদিস এবং ইসলামী আইনশাস্ত্র সহ অন্যান্য বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন। বর্তমান কালের কয়েকজন বিখ্যাত অমুসলিম হাদিস বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন:

  • হার্বার্ট বার্গ, The Development of Exegesis in Early Islam (২০০০)
  • ফ্রেড এম. ডোনার, Narratives of Islamic Origins (১৯৯৮)
  • উইলফ্রেড মেডিলাং, Succession to Muhammad (১৯৯৭)

এখানে হাদিস সম্পর্কে অমুসলিমদের কিছু উক্তি তুলে ধরা হল: উইলফ্রেড মেডিলাং [১]

   
হাদিস
work with the narrative sources, both those that have been available to historians for a long time and others which have been published recently, made it plain that their wholesale rejection as late fiction is unjustified and that with [not without] a judicious use of them a much more reliable and accurate portrait of the period can be drawn than has so far been realized.
   
হাদিস


হ্যারাল্ড মোজকি [২]:

   
হাদিস
the mere fact that ahadith and asanid were forged must not lead us to conclude that all of them are fictitious or that the genuine and the spurious cannot be distinguished with some degree of certainty.
   
হাদিস

গ্রেগর শোয়েলার [৩]:

   
হাদিস
The current research on the life of Muhammad is characterized by the fact that two groups of researchers stand directly opposed to one another: The one group advocates, somewhat aggressively, the conviction that all transmitted traditions, in part because of great inner contradictions, legendary forms, and so forth, are to be rejected. The other group is opposed to that view. According to these researchers, the Islamic transmission, despite all these defects, has at least a genuine core, which can be recognized using the appropriate source-critical methods. The difficulty certainly consists of finding criteria by which the genuine is to be differentiated from spurious.
   
হাদিস
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন