এডউইন ভ্যান ডের সার
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এডউইন ভ্যান ডার সার | ||
![]() |
||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||
---|---|---|
জন্মতারিখ | অক্টোবর ২৯, ১৯৭০ | |
জন্মস্থান | ![]() |
|
উচ্চতা | (৬' ৬") ১.৯৭ মিটার | |
ডাকনাম | উচ্ছল সবুজ দৈত্য ভিডিএস সাদা খরগোশ উড়ন্ত ডাচম্যান ভ্যান ডের স্টার হিম খরগোশ পিনোকিও ভ্যান্ডি |
|
অবস্থান | গোলরক্ষক | |
ক্লাব তথ্য | ||
বর্তমান ক্লাব | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | |
নম্বর | ১ | |
যুব ক্লাব | ||
১৯৯০-১৯৯২ | আয়াক্স | |
পেশাদারী ক্লাব* | ||
বছর | ক্লাব | উপস্থিতি (গোল) |
১৯৯০-১৯৯৯ ১৯৯৯-২০০১ ২০০১-২০০৫ ২০০৫- |
আয়াক্স জুভেন্টাস ফুলহ্যাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড |
২২৬ (১) ৬৬ (০) ১২৭ (০) ৭০ (০) |
জাতীয় দল | ||
১৯৯৫- | নেদারল্যান্ড | ১১৯ (০) |
* পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা |
এডউইন ভ্যান ডার সার (জন্ম অক্টোবর ২৯, ১৯৭০ নেদারল্যান্ডের ভুরহৌটে) একজন পেশাদার ডাচ ফুটবলার যিনি গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন। তিনি নেদারল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং প্রিমিয়ার লীগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের হয়ে খেলেন। তিনি ২০০৬-০৭ মৌসুমে ঘোষিত পিএফএ বর্ষসেরা দলের একজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা] শুরুর দিকের ক্যারিয়ার
ভ্যান ডের সার তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ফোরহোটে (Foreholte) (ভুরহৌটের আঞ্চলিক ফুটবল দল), পরে তিনি যান ভিভি নুর্দউয়িজক দলে। এখানে থাকাকালীন তিনি আয়াক্স দলের নজরে আসেন। পরে তিনি আয়াক্স দলে যোগ দেন এবং ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে আয়াক্স দলের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়লাভ করেন। এছাড়া ১৯৯১-৯২ মৌসুমে তার দল উয়েফা কাপ জিতে নেয়। তিনি আয়াক্সের হয়ে মোট ২২৬ টি খেলাতে অংশ নেন।
এরপর তিনি জুভেন্টাস দলে আসেন, কিন্ত শেষ পর্যন্ত তিনি বুফনের কাছে তার অবস্থান খোয়ান, যাকে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখেন। তিনি জুভের হয়ে ৬৬টি খেলায় অংশ নিয়েছেন এবং একমাত্র অ-ইতালীয় গোলরক্ষক হিসেবে জুভের গোলপোস্ট সামলেছেন।[1]
[সম্পাদনা] প্রিমিয়ারশিপে আগমন
২০০১ সালে তিনি ফুলহ্যামের সাথে প্রায় ৭.৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে চার বছর মেয়াদী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। [2] তিনি ফুলহ্যামের হয়ে ১২৭টি খেলাতে অংশ নেন।

২০০৫ সালের ১লা জুন তিনি আনুমানিক ২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দুই বছরের চুক্তিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন। তবে সঠিক ফী অজানা। ভ্যান ডের সারকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষকের সমস্যা সমাধানে আনা হয়, কেননা পিটার স্মাইকেল যুগের পর দলটি দীর্ঘকাল একজন ভাল গোলরক্ষক পাননি। ইউনাইটেড ম্যানেজার এলেক্স ফার্গুসনের মতে পিটার স্মাইকেলের পর ম্যানচেস্টারের সেরা গোলরক্ষক ভ্যান ডের সার। [3] ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে তার চুক্তি নবায়ন করে তিনি ২০০৮ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত খেলার দায়িত্ব পান।
স্যার এলেক্স ফার্গুসন জনসম্মুখে তার খেলার কারন সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন (এই মৌসুমে তার বয়স হবে ৩৮): "এডউইন ফিট, দক্ষ ও ক্ষুধার্ত এবং সে সহজেই আরো দুই বছর খেলতে পারে"
ভ্যন ডের সারকে তার উচ্ছল সবুজ দৈত্য নাম দেয়ার কারন তার উচ্চতা (১৯৭ সেমি / ৬'৬") ও সবুজ গোলরক্ষকের পোষাক যা তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পড়েন। [4]
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০০৭ এ প্রিমিয়ার লীগে ইউনাইটেডের হয়ে টোটেনহামের বিপক্ষে খেলার সময় আইরিশ স্ট্রাইকার রবি কিনের সাথে সংঘর্ষে তার নাক ভেঙ্গে যায়। [5].
মে ৫, ২০০৭ এ তিনি ম্যানচেস্টার সিটির দারিয়ুস ভেসেলের একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিজয় নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে চেলসি আর্সেনালের বিপক্ষে জিততে ব্যর্থ হলে সে ম্যানচেস্টার চার বছর পর তাদের ১৬তম লীগ শিরোপা লাভ করে।
[সম্পাদনা] আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভ্যান ডের সারের অভিষেক ঘটে ১৯৯৫ সালের ৭ জুন বেলারুশের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ যে তিনটি খেলায় নেদারল্যান্ড পেনাল্টিতে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে তার সবকয়টিতেই তিনি গোলরক্ষক হিসেবে ছিলেন: ইউরো ১৯৯৬, ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৯৮ ও ইউরো ২০০০।
২০০৬ বিশ্বকাপে আইভরি কোস্টের বিরুদ্ধে খেলার আগে ভ্যান ডের সার টানা ১০টি প্রতিযোগিতামূলক খেলায় কোন গোল হজম করেননি। ১,০১৩ মিনিট গোল না খাওয়া একটি সর্বকালের ইউরোপীয়ান রেকর্ড। [6]
ভ্যান ডের সার নেদারল্যান্ডের হয়ে ১১৮ বার খেলেছেন যা তাকে নেদারল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়ে পরিনত করেছে। এটি তাকে একশর বেশি জাতীয় দলে খেলা শীর্ষ ৬০ জন খেলোয়াড়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। অধিনায়ক হিসেবে তিনি ফ্রাঙ্ক ডি বোরের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন ২০০৬ বিশ্বকাপে পর্তুগালের সাথে খেলার সময়। পর্তুগালের বিপক্ষে দুঃখজনক হারের পর নেদারল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেও তিনি ইউরো ২০০৮ পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
[সম্পাদনা] সম্মাননা
- এরেদিভিসি: ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৮
- কেএনভিবি কাপ: ১৯৯৩, ১৯৯৮, ১৯৯৯
- ইংরেজ লীগ কাপ: ২০০৬
- উয়েফা ইন্টারটোটো কাপ: ২০০২
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ: ১৯৯৫
- ইউরোপীয়ান সুপার কাপ: ১৯৯৫
- ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ: ১৯৯৫
- এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ: ২০০৭
[সম্পাদনা] ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অ্যান-ম্যারি ভ্যান কেস্টেরেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের বিয়ে হয় আমস্টার্ডামে ২০০৬ সালের ২০শে মে। অন্যন্যদের মধ্যে তৎকালীন পেশাদার দল ও জাতীয় দল সহযোগী রুড ভ্যান নিস্তেলরয় উপস্থিত ছিলেন।
এই জুটির দুটি সন্তান আছে: ছেলে জো ও মেয়ে লিন।
[সম্পাদনা] বহিঃসূত্র
- Edwin van der Sar Official website at Icons.com
- Profile and career stats
- Edwin van der Sar ক্যারিয়ার তথ্য
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব - বর্তমান স্কোয়াড |
---|
১ ভ্যান ডার সার | ২ নেভিল | ৩ এভরা | ৪ হাইঞ্জ | ৫ ফার্ডিনান্ড | ৬ ব্রাউন | ৭ রোনালদো | ৯ সাহা | ১০ রুনি | ১১ গিগস | ১৩ পার্ক | ১৪ স্মিথ | ১৫ ভিডিচ | ১৬ ক্যারিক | ১৭ ন্যানি | ১৮ স্কোলস | ১৯ রসি | ২০ সলশেয়ার | ২১ ডং | ২২ ও'শি | ২৩ রিচার্ডসন | ২৪ ফ্লেচার | ২৬ বার্ডসলে | ২৭ সিলভেস্ট্রে | ২৮ পিক | ২৯ কুসচাক | –– অ্যান্ডারসন | –– ফস্টার | –– হারগ্রিভস | ম্যানেজার: ফার্গুসন |
বিষয়শ্রেণীসমূহ: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড় | প্রিমিয়ার লীগ খেলোয়াড় | ওলন্দাজ ফুটবলার | ফুটবল (সকার) গোলরক্ষক | ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৯৪ খেলোয়াড় | ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৯৮ খেলোয়াড় | ফিফা বিশ্বকাপ ২০০৬ খেলোয়াড় | উয়েফা ইউরো ১৯৯৬ খেলোয়াড় | উয়েফা ইউরো ২০০০ খেলোয়াড় | উয়েফা ইউরো ২০০৪ খেলোয়াড় | ১৯৭০-এ জন্ম