ভাষাবিজ্ঞান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভাষাবিজ্ঞান বলতে একটি ব্যবস্থা বা সংশ্রয় হিসেবে ভাষার প্রকৃতি, গঠন, ঔপাদানিক একক ও এর যেকোন ধরনের পরিবর্তন নিয়ে গবেষণাকে বোঝায়। যাঁরা এই গবেষণায় রত, তাদেরকে বলা হয় ভাষাবিজ্ঞানী।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] ভাষাবিজ্ঞানের শাখা
ভাষাবিজ্ঞানীরা কোন নির্দিষ্ট কালের একটি নির্দিষ্ট ভাষার ওপর গবেষণা করতে পারেন; একে বলা হয় এককালিক, সমকালীন, বা কালকেন্দ্রিক ভাষাবিজ্ঞান। অথবা তারা কোন একটি ভাষার ঐতিহাসিক বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করতে পারেন; একে বলা হয় কালানুক্রমিক, বিবর্তনমূলক, বা ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান।
তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানে কোন ভাষার আভ্যন্তরীণ কাঠামোর একটি তত্ত্ব প্রদানের চেষ্টা করা হয়। অন্যদিকে ব্যবহারিক ভাষাবিজ্ঞানে ভাষিক ধারণাগুলো শিক্ষণ ও অন্যান্য কাজে লাগানো হয়। তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানে যেহেতু ভাষার আভ্যন্তরীণ কাঠামো নিয়ে গবেষণা করা হয়, এ গবেষণার প্রকৃতি তাই মূলত এককালিক। তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানে ভাষার অর্জন, প্রয়োগ, সামাজিক ও নৃতাত্ত্বিক অনুষঙ্গ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয় না। এগুলো ব্যবহারিক ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন সমাজভাষাবিজ্ঞান, মনোভাষাবিজ্ঞান, নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান, ইত্যাদি বিশেষায়িত ক্ষেত্রে গবেষণা করা হয়।
ভাষার কাঠামোর (structure) বিভিন্ন স্তরের (level) ওপর ভিত্তি করে ভাষাবিজ্ঞানকে নিচের শাখাগুলোতে ভাগ করা যায়:
- ধ্বনিবিজ্ঞান (Phonetics): উচ্চারিত কথার/ধ্বনির ভৌত (physical) প্রকৃতি।
- ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology): ভাষাতে ধ্বনির ব্যবহার।
- রূপমূলতত্ত্ব/শব্দতত্ত্ব (Morphology): শব্দের গঠন।
- বাক্যতত্ত্ব (Syntax): বাক্যের গঠন।
- অর্থবিজ্ঞান (Semantics): শব্দার্থ ও বাক্য গঠনে তার ভূমিকা।
- প্রায়োগিক ভাষাতত্ত্ব/প্রয়োগতত্ত্ব (Pragmatics): ভাষার প্রয়োগে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব।
আবার ভাষা বিষয়ক গবেষণার প্রকৃতি (nature) ও বিস্তার (scope) অনুসারে ভাষাবিজ্ঞানকে নীচের শাখাগুলোতে ভাগ করা যায়:
- তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান (Theoretical linguistics): বিভিন্ন ভাষা কী ভাবে কাজ করে।
- ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান (Historical linguistics): বিভিন্ন ভাষা কী ভাবে উদ্ভূত হল।
- সমাজভাষাবিজ্ঞান (Sociolinguistics): ভাষা ও সমাজ কাঠামো।
- মনোভাষাবিজ্ঞান (Psycholinguistics): মস্তিষ্কের বা মনের ভেতর ভাষার রূপ কী রকম।
- ফলিত ভাষাবিজ্ঞান (Applied linguistics): শিক্ষণ, অনুবাদ, ইত্যাদি।
- গণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান (Computational linguistics): ভাষার গাণিতিক ও পরিসাংখ্যিক প্রকৃতি, কম্পিউটারে মানুষের ভাষার প্রক্রিয়াকরণ, ইত্যাদি।
এছাড়া কিছু ভাষাবিজ্ঞানী প্রতীকী ভাষা (sign languages), অব্যক্ত যোগাযোগ (non-verbal communication), প্রাণীদের মধ্যে যোগাযোগ (animal communication) ও অন্যান্য বিষয় (যেগুলো মুখের ভাষার সাথে সম্পর্কিত নয়) নিয়ে গবেষণা করেন।
কীভাবে সঠিকভাবে লিখতে বা পড়তে হয়, ভাষাবিজ্ঞান তা শেখায় না। ভাষাবিজ্ঞান বিধানমূলক (prescriptive) নয়, বরং বর্ণনামূলক (descriptive)। ভাষাবিজ্ঞানীরা অনেক সময় বিভিন্ন তথ্য (fact) উপস্থাপন করেন যা মানুষকে ভাষাবিষয়ক কোন সিদ্ধান্ত বা মূল্যায়নে সহায়তা করে, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত বা মূল্যায়নগুলো ভাষিক বিজ্ঞানের অংশ নয়।
[সম্পাদনা করুন] ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাস
পাশ্চাত্যে খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর গ্রিক দার্শনিকেরা প্রথম ভাষার তত্ত্বের ব্যাপারে আগ্রহী হন। ভাষার উৎস ও গ্রিক ভাষার ব্যাকরণগত কাঠামো ছিল তাদের মূল বিতর্কের বিষয়। প্লাতো (Plato) ও আরিস্তোত্ল্ (Aristotle) ভাষার অধ্যয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ধারণা করা হয় প্লাতো-ই প্রথম বিশেষ্য ও ক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য করেন। খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দীতে দিয়োনিসুস থ্রাক্স প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রিক ব্যাকরণ রচনা করেন। এ প্রভাবশালী ব্যাকরণটিকে পরবর্তীতে রোমীয় বা লাতিন ব্যাকরণবিদেরা মডেল হিসেবে গ্রহণ করেন এবং অনুরূপে তাঁদের কাজও পরবর্তীতে মধ্যযুগ ও রেনেসাঁসের (Renaissance) সময় লেখা সব ব্যাকরণকে প্রভাবিত করে। এ সময় ইউরোপে প্রচলিত বেশির ভাগ ভাষার ব্যাকরণবিদেরা গ্রিক ও লাতিন ব্যাকরণকে মান ও "শুদ্ধ" ব্যাকরণ গণ্য করে তাদের নিজ নিজ ভাষার জন্য বিধানমূলক ব্যাকরণ রচনা করেন। রেনেসাঁসের পরে পাশ্চাত্যের চিন্তাবিদেরা বিশ্বের অন্যান্য ভাষার ব্যাকরণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, যার ফলশ্রুতিতে ১৯শ শতকে ভাষা বিষয়ক গবেষণা "ভাষাবিজ্ঞান" নামের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পাশ্চাত্যের বাইরে ভারতীয় উপমহাদেশে ভাষাবিষয়ক গবেষণার একটি স্বতন্ত্র ধারা অতি প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান ছিল। ভারতীয় ব্যকরণবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলেন পাণিনি (খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দী)। তবে তাঁর বেশ কয়েক শতাব্দী আগে থেকেই ভারতে ব্যাকরণচর্চা শুরু হয়েছিল। পাণিনির ব্যাকরণের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী; তাঁর ব্যাকরণের ওপর ভিত্তি করে কমপক্ষে ১২টি ভিন্ন ব্যাকরণ-তত্ত্বের ধারা ও হাজার খানেক ব্যাকরণ রচিত হয়। সংস্কৃত ব্যাকরণবিদেরা উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মধ্যে পার্থক্য করেন, এবং গ্রিক ব্যকরণবিদদের মত বিশেষ্য ও ক্রিয়াপদ ছাড়াও অনুসর্গ ও অব্যয় নামের দুটি পদ আবিষ্কার করেন। ভারতীয় ভাষা গবেষণার কাজ ধ্বনিতাত্ত্বিক ও শব্দের অন্তর্সংগঠন - উভয় দিক থেকেই পাশ্চাত্যের ব্যাকরণের চেয়ে উন্নত বলে গণ্য করা হয়। পাণিনীয় সংস্কৃত ব্যাকরণ সম্বন্ধে বলা হয়ে থাকে যে আজও পৃথিবীর ইতিহাসের আর কোন ভাষার ব্যাকরণে এরকম পুঙ্খানুপুঙ্খতা, আভ্যন্তরীণ সঙ্গতি ও ধারণার সাশ্রয় (exhaustiveness, internal consistency and economy of statement) পরিলক্ষিত হয়নি। এ ব্যাকরণের মূল অংশে প্রায় চার হাজার সূত্র প্রদান করা হয়েছে। কেবল ১৮শ শতকের শেষার্ধে এসেই পাশ্চাত্যের ভাষাতাত্ত্বিকেরা ভারতীয় ব্যাকরণের এই ধারার সাথে প্রথম পরিচয় লাভ করেন।
অনেকেই ১৭৮৬ সালকে ভাষাবিজ্ঞানের জন্মবছর হিসেবে গণ্য করেন। ঐ বছরের ২৭শে সেপ্টেম্বর তারিখে স্যার উইলিয়াম জোন্স কলকাতার রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটির এক সভায় একটি গবেষণাপত্র পাঠ করেন, যাতে তিনি উল্লেখ করেন যে সংস্কৃত, গ্রিক, লাতিন, কেল্টীয় ও জার্মানীয় ভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রকমের গাঠনিক সাদৃশ্য রয়েছে এবং প্রস্তাব করেন যে এগুলো সবই একই ভাষা থেকে উদ্ভূত। জোন্সের এই আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করে সমগ্র ১৯শ শতক জুড়ে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানীরা তুলনামূলক কালানুক্রমিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বিভিন্ন ভাষার ব্যাকরণ, শব্দভাণ্ডার ও ধ্বনিসম্ভারের মধ্যে তুলনা করার চেষ্টা করেন এবং ফলশ্রুতিতে আবিষ্কার করেন যে প্রকৃতপক্ষেই লাতিন, গ্রিক ও সংস্কৃত ভাষাগুলো পরস্পর সম্পর্কিত, ইউরোপের বেশির ভাগ ভাষার মধ্যে বংশগত সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এগুলো সবই একটি আদি ভাষা প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে উদ্ভূত। ১৯শ শতকের শেষ চতুর্থাংশে লাইপ্ৎসিশ (Leipzig)-ভিত্তিক "নব্যব্যাকরণবিদেরা" (Jung-grammatiker; কার্ল ব্রুগ্মান, হের্মান অস্ট্হফ, হের্মান পাউল, প্রমুখ) দেখান যে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আদি ভাষাগুলোর উচ্চারণের সুশৃঙ্খল, নিয়মাবদ্ধ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন ভাষাগুলোর উদ্ভব হয়েছে।
১৯শ শতকের শেষে সুইস ভাষাবিজ্ঞানী ফের্দিনঁ দ্য সোস্যুর ভাষা গবেষণার গতিধারায় পরিবর্তন আনেন। সোস্যুর-ই প্রথম এককালিক ও কালানুক্রমিক ভাষাবিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য করেন। ফলে ভাষাবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভাষার তুলনামূলক ঐতিহাসিক বিচারের পরিবর্তে যেকোন একটি ভাষার একটি নির্দিষ্ট কালের বিবরণের ব্যাপারে দৃষ্টিনিক্ষেপ করেন। সোস্যুর আরও প্রস্তাব করেন যে, ভাষা (langue, লংগ্) ও উক্তি (parole, পারোল) দুটি ভিন্ন সত্তা। তাঁর মতে ভাষা হল অদৃশ্য আভ্যন্তরীণ কাঠামো, আর উক্তি হল তার বাস্তব বহিঃপ্রকাশ। সোস্যুর মত দেন যে ভাষা বিভিন্ন আন্তঃসম্পর্কিত, পরস্পরনির্ভর উপাদানে তৈরী একটি সুশৃঙ্খল কাঠামো বা সংগঠন। তাঁর এই মতের ওপর ভিত্তি করে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে সাংগঠনিক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত ঘটে। বিখ্যাত মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী এডওয়ার্ড স্যাপির ও লিওনার্ড ব্লুমফিল্ড ছিলেন ভাষাবৈজ্ঞানিক সংগঠনবাদের পুরোধা। তাঁরা ভাষার গবেষণায় উপাত্তভিত্তিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর জোর দেন এবং বলেন যে ভাষাবিজ্ঞানের কাজ ভাষা কী ভাবে কাজ করে তা নৈর্ব্যক্তিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পর্যবেক্ষণ করা; ভাষা কী রকম হওয়া উচিত, তা নিয়ে গবেষণা করা ভাষাবিজ্ঞানের কাজ নয়। ১৯৩০ ও ১৯৪০-এর দশককে বলা হয় ভাষাবিজ্ঞানের "ব্লুমফিল্ডীয় যুগ"; এ সময় ব্লুমফিল্ড-প্রদত্ত কঠোর নিয়মতান্ত্রিক বিশ্লেষণী পদ্ধতি অনুসরণ করে বহু ভাষার বিবরণমূলক ব্যাকরণ রচিত হয়। এ সময় ভাষাবিজ্ঞানীরা কোন ভাষার মাতৃভাষী ব্যক্তির বিভিন্ন উক্তি সংগ্রহ করতেন ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিভিন্ন নিয়মতান্ত্রিক বিশ্লেষণ প্রয়োগ করে সেগুলোর ভেতরের ধ্বনিতাত্ত্বিক ও বাক্যতাত্ত্বিক সূত্র ও বিন্যাসগুলো আবিষ্কারের চেষ্টা করতেন।
১৯৫০-এর দশকেই কিছু কিছু ভাষাবিজ্ঞানী সংগঠনবাদের দুর্বলতা আবিষ্কার করেন। তাঁরা বলেন সংগঠনবাদীরা কেবল ভাষার বাহ্যিক রূপ ও দৃশ্যমান উপাত্ত নিয়েই আগ্রহী এবং ভাষাবিজ্ঞানকে অহেতুক উপাত্ত-সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ক্ষুদ্র সীমায় আবদ্ধ করে ফেলেছেন। এর ফলে ভাষার অদৃশ্য আভ্যন্তরীণ সংগঠন ও বিভিন্ন ভাষার বিশ্বজনীন ধর্মগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী নোম চম্স্কি সংগঠনবাদের বিরুদ্ধে লেখেন এবং ভাষা যে একটি মানসিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর সব ভাষাই যে কিছু সার্বজনীন বিন্যাস অনুসরণ করে, সে ব্যাপারে জোর দেন। চম্স্কির এই লেখার ফলে ভাষাবিজ্ঞানের গতি আরেকবার পরিবর্তিত হয়। চম্স্কি বিশ্বাস করেন যে কোন ব্যক্তির অচেতন, অব্যক্ত ভাষাবোধ (linguistic competence) এবং তার ভাষা-উৎপাদন (linguistic performance) দুটি ভিন্ন বস্তু। তাঁর মতে ভাষাবিজ্ঞানীর কাজ হল মানুষের ভাষাবোধ যেসব অন্তর্নিহিত মানসিক সূত্র দিয়ে গঠিত সেগুলো আবিষ্কার করা। এ প্রস্তাবের সমর্থনে ১৯৫৭ সালে Syntactic Structures নামের গ্রন্থে চম্স্কি উদ্ভাবন করেন "রূপান্তরমূলক সৃষ্টিশীল ব্যাকরণ" (Transformational Generative Grammar) নামের একটি ধারণা, যে ব্যাকরণের সূত্রগুলো দিয়ে কোন একটি ভাষার সমস্ত "বৈধ" বাক্যের গঠন ব্যাখ্যা করা সম্ভব। চম্স্কি আরও বলেন যে সব ভাষার মানুষই ভাষা বিষয়ক কিছু সার্বজনীন ধারণা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, যাদের সমষ্টিগত নাম তিনি দেন "বিশ্বজনীন ব্যাকরণ" (Universal Grammar)। এই ব্যাকরণের সীমা উদ্ঘাটন করাও ভাষাবিজ্ঞানীর অন্যতম কাজ।
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান মূলত চম্স্কি প্রস্তাবিত রূপান্তরমূলক ব্যাকরণের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত বিভিন্ন ধরণের ব্যাকরণিক কাঠামোর গবেষণা। চম্স্কি বাক্যতত্ত্বকে ভাষাবিজ্ঞানের মূল ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও বর্তমানে ভাষাবিজ্ঞানীরা বাক্যতত্ত্ব ও অর্থবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্কের ব্যাপারে অধিক আগ্রহী।
[সম্পাদনা করুন] উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি
[সম্পাদনা করুন] প্রাথমিক পাঠ্য
- Aitchison, Jean (1995), Linguistics: An Introduction. Hodder & Stoughton; Hodder Headline, 1999, 2nd Edition.
- Akmajian, Adrian et al. (2001), Linguistics, 5th ed., MIT Press. (ISBN 0262511231)
- Atkinson, Martin, et al. (1988), Foundations of General Linguistics. London: Unwin Hyman.
- Anderson S. and D. Lightfoot (2002) The Language Organ. Cambridge: CUP.
- Burling, R. (1992), Patterns of Language: Structure, Variation, Change. Academic Press.
- Clark, V. (1994), Language: Introductory Readings. St.Martin's Press.
- Finegan, E., & Besnier, N. (1989), Language: Its Structure and Use. Harcourt, Brace, Jovanich.
- Fromkin, V. et al (2000) Linguistics: an introduction to linguistic theory. Oxford: Blackwell.
- Hudson, G. (2000), Essential Introductory Linguistics. Oxford: Blackwell.
- Jannedy, S., Poletto, R., & Weldon, T. L., Eds., (1994), Language Files: Materials for an Introduction to Language and Linguistics (6th ed.). Ohio State University.
- Kenworthy, J. (1991), Language in Action: An Introduction to Modern Linguistics. Longman.
- Napoli, Donna J. (2003), Language Matters. A Guide to Everyday Questions about Language. Oxford University Press.
- Newmeyer, F. (2005) Possible and Probable Languages. Oxford: OUP.
- Newmeyer, F., ed. (1988) Linguistics: The Cambridge Survey. Cambridge University Press.
- O'Grady, William D., Michael Dobrovolsky & Francis Katamba, Eds., (2001), Contemporary Linguistics, Longman. (ISBN 0-582-24691-1)
- Jackendoff, R. (2002) Foundations of Language. Oxford: OUP.
- Radford, A. et al. (1999) Linguistics: an introduction. Cambridge: CUP.
- Smith, N. (2004) Chomsky: Ideas and Ideals. Cambridge: CUP.
- Trask, R. L. (1995), Language: The Basics. London: Routledge.
[সম্পাদনা করুন] গবেষণামূলক কাজ
- Fauconnier, Gilles
- (1995), Mental Spaces, 2nd ed., Cambridge University Press. (ISBN 0521449499)
- (1997), Mappings in Thought and Language, Cambridge University Press. (ISBN 0521599539)
- & Mark Turner (2003), The Way We Think, Basic Books. (ISBN 0465087868)
- Rymer, p. 48, quoted in Fauconnier and Turner, p. 353
- Sampson, Geoffrey (1982), Schools of Linguistics, Stanford University Press. (ISBN 0804711259)
- Sweetser, Eve (1992), From Etymology to Pragmatics, repr ed., Cambridge University Press. (ISBN 0521424429)
[সম্পাদনা করুন] জনপ্রিয় গ্রন্থসমূহ
- Bloomfield, Leonard (1933), Language.
- Burgess, Anthony
- (1964), Language Made Plain
- (1992), A Mouthful of Air
- Deacon, Terrence (1998), The Symbolic Species, WW Norton & Co. (ISBN 0393317544)
- Deutscher, Guy, Dr. (2005), The Unfolding of Language, Metropolitan Books (ISBN 0805079076) (ISBN 9780805079074)
- Hayakawa, Alan R & S. I. (1990), Language in Thought and Action, Harvest. (ISBN 0156482401)
- Pinker, Steven
- (2000), The Language Instinct, repr ed., Perennial. (ISBN 0060958332)
- (2000), Words and Rules, Perennial. (ISBN 0060958405)
- Rymer, Russ (1992), Annals of Science in "The New Yorker", 13th April
- Sapir, Edward. Language.
- Saussure, Ferdinand de. Cours de linguistique générale [Course in general linguistics].
- White, Lydia (1992), Universal Grammar and Second Language Acquisition.
[সম্পাদনা করুন] কোষগ্রন্থসমূহ (References)
- Aronoff, Mark & Janie Rees-Miller (Eds.) (2003) The Handbook of Linguistics. Blackwell Publishers. (ISBN 1405102527)
- Asher, R. (Ed.) (1993) Encyclopedia of Language and Linguistics. Oxford: Pergamon Press. 10 vols.
- Bright, William (Ed) (1992) International Encyclopedia of Linguistics. Oxford University Press. 4 Vols.
- Brown, Keith R. (Ed.) (2005) Encyclopedia of Language and Linguistics (2nd ed.). Elsevier. 14 vols.
- Bussmann, H. (1996) Routledge Dictionary of Language and Linguistics. Routledge (translated from German).
- Crystal, David
- (1987) The Cambridge Encyclopaedia of Language. Cambridge University Press.
- (1991) A Dictionary of Linguistics and Phonetics. Blackwell. (ISBN 0-631-17871-6)
- (1992) An Encyclopaedic Dictionary of Language and Languages. Oxford: Blackwell.
- Frawley, William (Ed.) (2003) International Encyclopedia of Linguistics (2nd ed.). Oxford University Press.
- Malmkjaer, Kirsten (1991) The Linguistics Encyclopaedia. Routledge (ISBN 0415222109)
- Trask, R. L.
- (1993) A Dictionary of Grammatical Terms in Linguistics. Routledge. (ISBN 0-415-08628-0)
- (1996) Dictionary of Phonetics and Phonology. Routledge.
- (1997) A student's dictionary of language and linguistics.
- (1999) Key Concepts in Language and Linguistics. London: Routledge.
[সম্পাদনা করুন] আরও দেখুন
ভাষাবিজ্ঞানের উপকরণ: ভাষা • পৃথিবীর ভাষাসমূহ • লিখন পদ্ধতি • পৃথিবীর লিখন পদ্ধতিসমূহ • প্রতীকী ভাষা
তথ্য আহরণ (Data acquisition): ক্ষেত্রানুসন্ধানমূলক ভাষাবিজ্ঞান (Field Linguistics) • ভাষাংশ ভাষাবিজ্ঞান (Corpus Linguistics) তত্ত্বীয় ভাষাবিজ্ঞান (Theoretical Linguistics): ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology) • ধ্বনিবিজ্ঞান (Phonetics) • রূপমূলতত্ত্ব (Morphology) • রূপধ্বনিতত্ত্ব (Morphophonemics) • বাক্যতত্ত্ব (Syntax) • সঞ্জননী ব্যাকরণ (Generative Grammar) • অর্থবিজ্ঞান (Semantics) • বর্ণনামূলক/এককালিক ভাষাবিজ্ঞান (Descriptive/Synchronic Linguistics) ভাষা, পরিবেশ ও সমাজ: প্রয়োগতত্ত্ব (Pragmatics) • অধিবাচন বিশ্লেষণ (Discourse analysis) • ব্যবহারিক ভাষাবিজ্ঞান (Functional Linguistics) • সমাজভাষাবিজ্ঞান (Sociolinguistics) • নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান (Anthropological Linguistics) • জাতিভাষাবিজ্ঞান (Ethnolinguistics) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান (Historical Linguistics): ভাষা পরিবারসমূহ (Language families) • তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান (Comparative Linguistics) • ব্যুৎপত্তি (Etymology) • ব্যক্তিগত ভাষার বিবর্তনতত্ত্ব (Lingustic Ontogeny) • স্থান-নাম তত্ত্ব (Typonymy) ফলিত ভাষাবিজ্ঞান (Applied Linguistics): উপভাষাতত্ত্ব (Dialectology) • ভৌগলিক ভাষাবিজ্ঞান (Geolinguistics) • মনোভাষাবিজ্ঞান (Psycholinguistics) • অভিধানবিজ্ঞান (Lexicology) • গণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান (Computational Linguistics) • মাতৃভাষা অর্জন (First Language acquisition) • দ্বিতীয় ভাষা অর্জন (Second language acquisition) • বহুভাষিকতা (Multilingualism) • আদালতি ভাষাবিজ্ঞান (Forensic linguistics) • চিকিৎসা ভাষাবিজ্ঞান (Clinical linguistics) • ভাষানুবাদ (Translation) • ভাষা পরিকল্পনা (Language planning) • ভাষাতাত্ত্বিক শ্রেণীকরণবিদ্যা (Linguistic Typology) • শিক্ষামূলক ভাষাবিজ্ঞান (Educational linguistics) • স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান (Neurolinguistics) ইতিহাস: ভাষার উৎস (Origins of Language) • ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাস (History of Linguistics) ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্য: সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্ব (Philology) • শৈলীবিজ্ঞান (Stylistics) • ছন্দোবিজ্ঞান (Prosody) • অলংকারশাস্ত্র (Rhetoric) অন্যান্য: ভাষাবিজ্ঞানীদের তালিকা (List of Linguists) • অসমাধানকৃত সমস্যাসমূহ (Unsolved problems) • পরিভাষা (Terminology) • সংকেতবিজ্ঞান (Semiotics) |