ভোল্ট
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভোল্ট (সংকেত V) হল এস্আই একক পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক বিভব এর একক। [১]। এর নাম রাখা হয়েছে ইতালীয় বিজ্ঞানী আলেস্সান্দ্রো ভোল্টার নামানুসারে, যিনি সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক ব্যাটারি তৈরী করেন।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] সংজ্ঞা
১ এম্পিয়ার বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি ১ ওয়াট কাজ সম্পন্ন করে, তাহলে ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যকে ১ ভোল্ট বলে। অন্য কথায়:
.
১৯৯০ খ্রীস্টাব্দ হতে আন্তর্জাতিক ভাবে ভোল্টকে সংজ্ঞায়িত করা হয় জোসেফসন ক্রিয়ার মাধ্যমে।
- K{J-90} = 0.4835979 GHz/µV.
[সম্পাদনা করুন] প্রচলিত ভোল্টেজ
বিভিন্ন পরিচিত উৎসে ব্যবহৃত ভোল্টের উদাহরণ হল:
- স্নায়ু কোষ এর বিভব পার্থক্য: ৪০ মিলিভোল্ট
- পূনরাহিতকরণযোগ্য ক্ষারীয় ব্যাটারী: ১.২ ভোল্ট
- সাধারণ ব্যাটারী (উদাহরণস্বরূপ, এএএ, এএ, সি এবং ডি কোষসমূহ): ১.৫ ভোল্ট
- লিথিয়াম পলিমার রিচার্জেবল ব্যাটারী: ৩.৭ ভোল্ট
- ট্রানজিস্টর-ট্রানজিস্টর লজিক মাত্রা: ৫ ভোল্ট
- মোটরগাড়ির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা: ১২ ভোল্ট
- গৃহস্থালী বিদ্যুৎ সরবরাহ: : ২৪০ ভোল্ট অস্ট্রেলিয়া, ১২০ ভোল্ট উত্তর আমেরিকা, ২৩০ ভোল্ট (ইউরোপ ), ২২০-২৩০ ভোল্ট (এশিয়া)
- বজ্রপাত: বিভিন্ন রকম, প্রায় ১০০ মেগাভোল্ট।
[সম্পাদনা করুন] ভোল্ট এককের ইতিহাস
গ্যালভানিক ক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে লুইজি গ্যালভানির সাথে মতপার্থক্যের কারণে আলেসসান্দ্রো ভোল্টা ১৮০০ খ্রীস্টাব্দে আধুনিক ব্যাটারীর প্রাচীন সংস্করণ ভোল্টার স্তুপ তৈরী করেন। ভোল্টা আবিষ্কার করেন যে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ধাতু জোড় হচ্ছে দস্তা ও রূপা। ১৮৮০ এর দশকে আন্তর্জাতিক বৈদ্যুতিক সম্মেলন (বর্তমানে আন্তর্জাতিক ইলেক্ট্রো-টেকনিকাল কমিশন IEC) বৈদ্যুতিক বিভবের (শক্তির) একক হিসাবে ভোল্টকে অনুমোদন করে।
[সম্পাদনা করুন] তথ্যসূত্র
- ↑ Rudolf F. Graf, "Volt", Dictionary of Electronics; Radio Shack, 1974-75. Fort Worth, Texas. ISBN B000AMFOZY