লক্ষ্মীপুর জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লক্ষ্মীপুর জেলা
প্রশাসনিক বিভাগ চট্টগ্রাম
আয়তন (বর্গ কিমি) ১,৪৫৫
জনসংখ্যা মোট: ১৪,৭৯,৩৭১
পুরুষ: ৪৯.২১%
মহিলা: ৫০.৭৯%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: বিশ্ববিদ্যালয়: ০
কলেজ : ১৭
মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ১৪৫
মাদ্রাসা : ১৬৭
শিক্ষার হার ৩৪.৩ %
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মুনীর চৌধুরী
প্রধান শস্য ধান, গম,পাট
রপ্তানী পণ্য নারিকেল, সুপারি, মাছ

লক্ষ্মীপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।


সূচিপত্র

[সম্পাদনা করুন] ভৌগলিক সীমানা

এর মোট আয়তন ১৪৫৫.৯৬ বর্গ কিমি। এটি উত্তরে চাঁদপুর জেলা, দক্ষিনে ভোলানোয়াখালি, পূর্বে নোয়াখালি এবং পশ্চিমে বরিশাল, ভোলা ও মেঘনা নদী দ্বারা পরিবেষ্ঠিত।

লক্ষ্মীপুর শহর রহমতখালি নদীর তীরে অবস্থিত এবং মোট ১২ টি ওয়ার্ড ও ২২ টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। ১৯৭৬ সালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা গঠিত হয়।

[সম্পাদনা করুন] প্রধান নদী

মেঘনা, ডাকাতিয়া, কাটাখালি, রহমতখালি ও ভুলনা।

[সম্পাদনা করুন] প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

১৯৮৪ সালে লক্ষ্মীপুর একটি পূর্নাঙ্গ জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ জেলার অধীনে ৪টি উপজেলা, ৩ টি পৌরসভা, ৫৫টি মহল্লা, ৪৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৪৪৫টি মৌযা এবং ৫৩৬ টি গ্রাম আছে।

লক্ষ্মীপুর জেলার ৪টি উপজেলা হলো:

[সম্পাদনা করুন] ইতিহাস

ত্রয়োদশ শতাব্দিতে লক্ষ্মীপুর ভুলনা রাজ্যের অধীন ছিল। মুঘল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে লক্ষ্মীপুরে একটি সামরিক স্থাপনা ছিল। ষোড়শ থেকে উনবিংশ শতাব্দি পর্যন্ত এ এলাকায় প্রচুর পরিমানে লবন উৎপন্ন হত এবং বাইরে রপ্তানি হত। লবনের কারনে এখানে লবন বিপ্লব ঘটে। স্বদেশী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরবাসী স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করে। এ সময় মহাত্মা গান্ধি এ অঞ্চল ভ্রমন করেন। তিনি তখন প্রায়ই কাফিলাতলি আখড়া ও রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ীতে অবস্থান করতেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৬ সালের জুন মাসে লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন। ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এখানে পাক-হানাদার বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সতের বার যুদ্ধ হয়। এখানে তিনটি স্মৃতি স্তম্ভ, দুইটি গণকবর ও একটি গণহত্যা কেন্দ্র পাওয়া যায়।

[সম্পাদনা করুন] অর্থনীতি

প্রধান পেশাঃ কৃষি (৩৫.১৯%), মৎস্যজীবি (২.৭%), কৃষি শ্রমিক (১৯.৮৬%), শ্রমজীবি (৩.১৬%), ব্যবসা(১২.১০%), চাকুরী (১২.২১%), যোগাযোগ (২.০৪%), মিস্ত্রী (১.২৭%) এবং অন্যান্য (১১.৪৭%)।

প্রধান শস্যঃ ধান, গম, সরিষা, পাট, মরিচ, আলু, ডাল, ভুট্টা, সয়াবিন, আখ, কাঠবাদাম।

প্রধান ফলঃ আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, তাল, লেবু, নারিকেল, আপেল, সারিফা, আমড়া, জাম।

খামারঃ এ জেলায় ৫৮ টি মৎস্যখামার, ১৬টি নার্সারি, ১০২টি দুগ্ধ খামার, ২২২টি মুরগীর খামার ও ৩টি হ্যাচারি রয়েছে।

শিল্প-কারখানাঃ টেক্সটাইল মিল, ধানের কল, ময়দার কল, বরফের কল, অ্যালুমিনিয়াম কারখানা, বিড়ি কারখানা, মোম কারখানা, সাবানের কারখানা, নারিকেলের তন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, ছাপাখানা, তেলের মিল, ব্যাটারি কারখানা, বেকারি।

কুটির শিল্পঃ বাঁশ ও বেতের কাজ, কাঠের কাজ, সেলাই, কামার, কুমার, মুচি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির মেকানিক ইত্যাদি।

প্রধান রপ্তানি পন্যঃ নারিকেল, মাছ, মরিচ, কাঠবাদাম।

[সম্পাদনা করুন] যোগাযোগ

এ জেলার ২৪৩ কিমি রাস্তা পাকা, ২৩৫ কিমি রাস্তা সেমি পাকা এবং ১৮২২ কিমি রাস্তা এখনও পাকা করা হয়নি।

[সম্পাদনা করুন] চিত্তাকর্ষক স্থান

তিতা খান জামে মসজিদ, মিতা খান মসজিদ, মধু বানু মসজিদ, দায়েম শাহ মসজিদ, আব্দুল্লাহপুর জামে মসজিদ, শাহাপুর নীল কুঠি, শাহাপুর সাহেব বাড়ী, দালাল বাজার জমিদার বাড়ী, শ্রীগোবিন্দ মহাপ্রভু আখড়া, দালাল বাজার মঠ, খোয়া-সাগর-দীঘি, কমলা সুন্দরী দীঘি, রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ী, শ্যামপুর দরগা শরিফ, কাচুয়া দরগা, কাঞ্চনপুর দরগা।

[সম্পাদনা করুন] বহিঃ সংযোগ

  1. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য

[সম্পাদনা করুন] আনুষঙ্গিক নিবন্ধ


বাংলাদেশের বিভাগ এবং জেলা বাংলাদেশের পতাকা
বরিশাল বিভাগ: বরগুনা | বরিশাল | ভোলা | ঝালকাঠি | পটুয়াখালী | পিরোজপুর
চট্টগ্রাম বিভাগ: বান্দরবান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | চাঁদপুর | চট্টগ্রাম | কুমিল্লা | কক্সবাজার | ফেনী | খাগড়াছড়ি | লক্ষ্মীপুর | নোয়াখালী | রাঙামাটি
ঢাকা বিভাগ: ঢাকা | ফরিদপুর | গাজীপুর | গোপালগঞ্জ | জামালপুর | কিশোরগঞ্জ | মাদারীপুর | মানিকগঞ্জ | মুন্সিগঞ্জ | ময়মনসিংহ | নারায়ণগঞ্জ | নরসিংদী | নেত্রকোনা | রাজবাড়ী | শরিয়তপুর | শেরপুর | টাঙ্গাইল
খুলনা বিভাগ: বাগেরহাট | চুয়াডাঙ্গা | যশোর | ঝিনাইদহ | খুলনা | কুষ্টিয়া | মাগুরা | মেহেরপুর | নড়াইল | সাতক্ষীরা
রাজশাহী বিভাগ: বগুড়া | দিনাজপুর | গাইবান্ধা | জয়পুরহাট | কুড়িগ্রাম | লালমনিরহাট | নওগাঁ | নাটোর | নবাবগঞ্জ | নিলফামারী | পাবনা | পঞ্চগড় | রাজশাহী | রংপুর | সিরাজগঞ্জ | ঠাকুরগাঁও
সিলেট বিভাগ: হবিগঞ্জ | মৌলভীবাজার | সুনামগঞ্জ | সিলেট
অন্যান্য ভাষা