প্রবেশদ্বার:জীববিজ্ঞান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পদার্থ ও শক্তি | জীবনী | পৃথিবী | ইতিহাস | গণিত | দর্শন | বিজ্ঞান | সামাজিক বিজ্ঞান |
সম্পাদনা  

জীববিজ্ঞান প্রবেশদ্বার

অ্যামানিটা মাস্কারিয়া নামে ছত্রাক যার থেকে মাস্কারিন আবিস্কৃত হয়।
বড় করুন
অ্যামানিটা মাস্কারিয়া নামে ছত্রাক যার থেকে মাস্কারিন আবিস্কৃত হয়।

জীববিজ্ঞান প্রবেশদ্বারের স্বাগতম। জীববিজ্ঞানের আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা "জীব" অর্থাৎ "যাদের জীবন আছে" তাদের নিয়ে। প্রকৃতিতে আমরা বিভিন্ন ধরণের জীবন দেখতে পাই যেমন প্রাক-কেন্দ্রিক জীব : ব্যাক্টেরিয়াআর্কিয়া (বা আর্কিব্যাক্টেরিয়া) যারা সবাই আণুবীক্ষণিক তাই অণুজীব বিভাগের অন্তর্গত; এবং সুকেন্দ্রিক জীব: ছত্রাক, উদ্ভিদ, প্রাণী ও প্রোটিস্টসমূহ যাদের মধ্যে কিছু অণুজীব, কিছু খুব বড় - যেমন কিছু ছত্রাক একরের পর একর জুড়ে বাড়তে পারে- এবং তা সত্ত্বেও তাকে একটিই জীব বলে বিবেচনা করা যায়।

আলোচ্য জীবদের অনুসারে জীববিজ্ঞানকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ অণুজীববিজ্ঞান বা মাইক্রোবায়োলজি, ব্যাক্টেরিয়া-বিজ্ঞান বা ব্যাক্টেরিওলজি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বা বোটানি, ও প্রাণীবিজ্ঞান বা জুলজি, ছত্রাকবিজ্ঞান বা মাইকোলজি ইত্যাদি। জীবদের দেহের গঠন সংক্রান্ত বিদ্যা শারীরস্থান (ফিজিওলজি), জীবদেহের কার্যপ্রণালী বা শারীরবৃত্ত (অ্যানাটমি), কিভাবে জীবসমূহের উৎপত্তি হল সেই নিয়ে বিবর্তনবাদ এবং সেই সাথে জীবজগতের আন্তঃসম্পর্ক ও জীবজগতের সঙ্গে প্রকৃতর সম্পর্ক কিরূপ তা নিয়ে বাস্তুবিজ্ঞান, জীবনের প্রক্রিয়ার আণবিক নিরীক্ষণ সংক্রান্ত বিজ্ঞান বা আণবিক জীবনবিজ্ঞান (মলিক্যুলার বায়োলজি) জীবন সংক্রান্ত অণুদের নিয়ে ভৌতবিজ্ঞান -এসবই এখন জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা।

বর্তমান কালকে জীববিজ্ঞানের কাল বলা যায়। কারণ এ শতাব্দির সত্তর এর দশকে জীববিজ্ঞানের জ্ঞান এত ব্যাপকভাবে বেড়েছে যা অন্য কোন সময় হয়নি। পূর্বে জীবদের সম্পর্কে কেবল বিবরণ ছিল, কিন্তু এখন বিজ্ঞান শব্দটি জীবনবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও পদার্থবিজ্ঞান বা রসায়নের মত সমানভাবে প্রযোজ্য। আসলে এখন বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সীমারেখাগুলি মুছে যাচ্ছে।

সম্পাদনা  

নির্বাচিত নিবন্ধ

স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং: অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কারক
বড় করুন
স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং: অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কারক
অ্যান্টিবায়োটিক(Antibiotics) কয়েকধরণের জৈব-রাসায়নিক ঔষধ যা অণুজীবদের (বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়া) নাশ করে বা বৃদ্ধিরোধ করে। সাধারানতঃ এক এক অ্যান্টিবায়োটিক এক এক ধরণের অণুজীব তৈরি করে ও অন্যান্য অণুজীবের বিরুদ্ধে কাজ করে। বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া(Bacteria) ও ছত্রাক(Fungi) অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে। "অ্যান্টিবায়োটিক" সাধারণভাবে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাবহার হয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না। তবে অ্যান্টিবায়োটিক হল আরও বড় জীবাণু-নাশক শ্রেণীর সদস্য যার মধ্যে আছে নানা প্রকার অ্যান্টি-ভাইরাল (ভাইরাস-নাশক), অ্যান্টি-ফাঙ্গাল (ছত্রাক-নাশক) ইত্যাদি। প্রাকৃতিতেও বহু জীবাণু-নাশক আছে যাদের অনেককেই এখনও ঔষধ হিসাবে পরিক্ষা করে দেখা হয়নি, যেমন ব্যাক্টেরিওসিন (Bacteriocin)- ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা নিসৃত কাছাকাছি ধরণের ব্যাক্টেরিয়া-ঘাতক প্রোটিন টক্সিন (বিষ)। সাধারণভাবে অ্যান্টিবায়োটিক শব্দটি ক্ষুদ্র জৈব-রাসায়নিক পদার্থ বোঝায়, বৃহত প্রোটিন নয় বা অজৈব-রাসায়নিক অণু নয় (যেমন আর্সেনিক)।

প্রাকৃতিক উপাদানের যে রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা আছে, তা আন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের বহু পূর্বে মানুষের জানা ছিল। শতবর্ষ পূর্বে চীনে সয়াবিনের ছত্রাক(Mould) আক্রান্ত ছানা (Moldy Soybean Curd) বিভিন্ন ফোঁড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হত। চীনারা পায়ের ক্ষত সারাবার জন্য ছত্রাক Mould আবৃত পাদুকা (স্যান্ডল) পরত। ১৮৮১ সালে ব্রিটিশ অণুজীব বিজ্ঞানী জন টিন্ডাল (John Tyndall) ছত্রাকের জীবাণু প্রতিরোধী ভূমিকা লক্ষ্য করেন ... ... ... আরও জানুন

সম্পাদনা  

নির্বাচিত জীবনী

বারবারা ম্যাকলিন্টক
বড় করুন
বারবারা ম্যাকলিন্টক

বারবারা ম্যাক্‌লিন্টক (Barbara McClintock)(জুন ১৬, ১৯০২ - সেপ্টেম্বর ২, ১৯৯২) নোবেল বিজয়ী মার্কিন জীববিজ্ঞানী। তিনি ১৯৮৩ সালে শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সাতজন নারী বিজ্ঞানীর অন্যতম। তিনি সর্বপ্রথম অবস্থান পরিবর্তনে সক্ষম বংশগতির উপাদান আবিস্কার করেন। ইংরেজীতে একে ট্রান্সপোজেবল জেনেটিক এলিমেন্ট (Transposable Genetic Element)বলে। তিনি প্রথম ভুট্টা ক্রোমোসোমে এই উপাদান আবিস্কার করেন। পরবর্তিতে ব্যাক্টেরিয়া, ইস্ট সহ আরও অন্যান্য জীবে ট্রান্সপোজেবল জেনেটিক এলিমেন্ট আবিস্কার হয়।


বারবারা ম্যাক্‌লিন্টক সর্বপ্রথম ভুট্টার দানার উপরের বিভিন্ন রঙের দাগ ও ফোঁটার বংশগতির কারন উম্মেচনে গবেষণা করেন। তখন এর কারন হিসেবে তিনি একধরনের বংশগতির উপাদান (ক্রোমোসমেরই অংশ) চিহ্নিত করেন যা কিনা একই ও বিভিন্ন ক্রোমোসোমের মধ্যে স্থানান্তর হতে পারে। তিনি এর নাম দেন ট্রান্সপোসেবল জেনেটিক এলিমেন্ট। ১৯৪৮ সালে তিনি প্রথম তার প্রস্তাবনা প্রকাশ করেন। পরবর্তিতে তার আরও বিভিন্ন প্রকাশনা বের হয়, এর মধ্যে ১৯৫১ সালে প্রকাশিত Cold Spring Harbor Symposium on Quantitative Biology এর প্রকাশনাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিভিন্ন কারনে তার প্রস্তাবনা গৃহিত হয়নি। প্রকাশনার তথ্য অনেক জটিল ছিল, ফলে তার সহকর্মিদের তা বুঝানো কঠিন হয়ে পরে ...........আরও জানুন

সম্পাদনা  

বিষয়শ্রেণীসমূহ

সম্পাদনা  

আপনি কি কি করতে পারেন

  1. বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রানি, অণুজীব, শৈবাল, ছত্রাক নিয়ে লিখতে পারেন।
  2. বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ে লিখতে পারেন।
  3. জীবের বংশগতি সম্পর্কে লিখতে পারেন।
  4. বাস্তুতন্ত্র নিয়ে লিখতে পারেন
  5. জীবের বিবর্তন লিয়ে লেখা যায়।
  6. বিভিন্ন জীব অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে লিখতে পারেন।
সম্পাদনা  

নির্বাচিত চিত্র

প্রাককেন্দ্রিক কোষ
বড় করুন
প্রাককেন্দ্রিক কোষ
সম্পাদনা  

সমসাময়িক ঘটনা

  • অ্যান্ড্রু ফায়ার ও ক্রেগ মেলো ২০০৬ সালের শরীরতত্বে নোবেল পুরস্কার পেলেন, ১৯৯৮ সালে আর এন এ ইন্টারফেয়ারেন্স আবিস্কার করার জন্যে।
  • ১৯৫৯-এর নোবেলবিজয়ী আর্থার কর্নবার্গের পুত্র রজার কর্নবার্গ ২০০৬ সালের রসায়নের নোবেল পুরস্কার পেলেন গঠনমূলক জীববিজ্ঞানের কৌশল দ্বারা গবেসষণালব্ধ আর এন এ পলিমারেজের গঠন ও কার্যপদ্ধতিতে সেই গঠনের অবদান নির্ধারণ করার জন্যে। ১৯৬৫ থেকে এই বিষয়ে কাজ করলেও ২০০১ সালে সায়েন্স পত্রিকায় তাঁর প্রকাশিত ক্রিয়ারত আর এন এ পলিমারেজের কেলাসচিত্র (কৃস্টালোগ্রাফী) থেকে বৃহৎ অণুটি সক্রিয় অংশের গঠণ নির্ণয় করার কৃতত্বের জন্যেই মূলতঃ তিনি এই পরস্কারটি পেলেন। এই নিয়ে ষষ্ঠবার কোন পিতা পুত্র দুজনেই নোবেল বিজয়ী হবার বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী হলেন (পিতা বা মাতা দুজনের যেকন একজনকে ধরলে, এই নিয়ে অষ্টমবার কোন নোবেল জয়ী পিতা বা মাতার সন্তান নবেল বিজয়ী হলেন।
সম্পাদনা  

আপনি জানেন কি...

সম্পাদনা  

উইকিপ্রকল্পসমূহ

সম্পাদনা  

মূল বিষয়সমূহ

অণুজীব বিজ্ঞান | শৈবালবিদ্যা | ঊদ্ভিদবিদ্যা | ছত্রাকবিদ্যা | প্রানিবিজ্জান | কীটবিদ্যা

সম্পাদনা  

সম্পর্কিত প্রবেশদ্বারসমূহ

সম্পর্কিত বিষয়সমূহ

   
প্রবেশদ্বার:রসায়ন
   
প্রবেশদ্বার:বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
রসায়ন বিজ্ঞানের ইতিহাস বিজ্ঞান বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি                                 

জীববিজ্ঞানের বিষয়সমূহ

   
Portal:Cetaceans
   
Portal:Marine life
   
Portal:Molecular and Cellular Biology
   
Portal:Sharks
জৈবপ্রযুক্তি জলজ স্তন্যপায়ী জলজ জীবন অণুজীব বিজ্ঞান অনুপ্রাণ ও
কোষ জীবনবিজ্ঞান
হাঙ্গর

ফলিত জীববিজ্ঞান

   
প্রবেশদ্বার:খাদ্য
   
প্রবেশদ্বার:স্বাস্থ্য
   
প্রবেশদ্বার:ঔষধ
   
প্রবেশদ্বার:মন ও মস্তিস্ক
কৃষিবিজ্ঞান খাদ্য স্বাস্থ্য ঔষধ মন ও মস্তিস্ক
   
প্রবেশদ্বার:যৌনবিজ্ঞান
মনোবিজ্ঞান যৌনবিজ্ঞান
সম্পাদনা  

উইকিমিডিয়া


বিস্তারিত তথ্য - প্রবেশদ্বার?

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন (Purge server cache)