বান্দরবান জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বান্দরবান জেলা
প্রশাসনিক বিভাগ চট্টগ্রাম
আয়তন (বর্গ কিমি) ৪,৪৭৯
জনসংখ্যা মোট: ২,৯২,৯০০
পুরুষ: ৫৩.৩৯%
মহিলা: ৪৬.৬১%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা: বিশ্ববিদ্যালয়: ০
কলেজ : ২
মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২৪
মাদ্রাসা : ৬
শিক্ষার হার ৩৯.৫ %
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
প্রধান শস্য ধান, সরিষা, তুলা
রপ্তানী পণ্য কলা, কাঁঠাল, বাঁশ
বান্দরবান জেলার সাঙ্গু নদী
বড় করুন
বান্দরবান জেলার সাঙ্গু নদী

বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বান্দরবান জেলাটি বাংলাদেশ এর দক্ষিণপূর্ব দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের অন্তর্গত । এই অঞ্চলের অন্য দুইটি জেলা হল রাঙামাটিখাগড়াছড়ি। বান্দরবান সদর মারমা রাজা অংশুপ্রু এর বাসভূমি। বান্দরবান জেলা এর নৈসর্গিক বৈচিত্র্যের জন্য বাংলাদেশের একটি গুরূত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা করুন] ভৌগলিক সীমানা

বান্দরবান জেলার দৃশ্য
বড় করুন
বান্দরবান জেলার দৃশ্য

বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি বান্দরবান বাংলাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিসম্পন্ন স্থান।বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিনডং (১০০৩ মিটার) বান্দরবান জেলায় অবস্থিত, যা বিজয় বা মদক মুয়াল নামেও পরিচিত। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং (৮৮৩ মিটার) এবং সর্বোচ্চ খাল রাইখিয়াং এই জেলায় অবস্থিত। এখানকার দুইটি উল্লখ্য দশর্নীয় স্থান হল চিম্বুক পাহাড় ও বগা লেক ।

রাস্তা চিম্বুক- রুমা, বান্দরবান-রংছড়ি-রুমা, আজিজনগর-গজালিয়া-লামা, খানহাট - ধোপাছড়ি-বান্দরবান, বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি-আলীকদম-বৈসারী-ধুনধাম এবং চিম্বুক-টন্কাবতী-বারো আউলিয়া বাংলাদেশের ভিতরে , বান্দরবানকে ভিরে রয়েছ কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি। অন্যদিকে রয়েছে মায়ানমার, চীন ও আরাকান সীমান্ত। এই জেলার অন্যতম নদী সাঙ্গু নদী যা সাংপো বা শঙ্খ নামেও পরিচিত। এই নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল যে এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়।। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মাতামুহুরী এবং বখালী।

[সম্পাদনা করুন] প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

বান্দরবান জেলা ৭টি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হলো:

[সম্পাদনা করুন] ইতিহাস

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: : পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস

বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রামের অংশ। এই অঞ্চলটি ১৫৫০ সালের দিকে প্রণীত বাংলার প্রথম মানচিত্রে বিদ্যমান ছিল। তবে এর প্রায় ৬০০ বছর আগে ৯৫৩ সালে আরাকানের রাজা এই অঞ্চল অধিকার করেন। ১২৪০ সালের দিকে ত্রিপুরার রাজা এই এলাকা দখল করেন। ১৫৭৫ সালে আরাকানের রাজা এই এলাকা পুনর্দখল করেন, এবং ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকারে রাখেন। মুঘল সাম্রাজ্য ১৬৬৬ হতে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত এলাকাটি সুবা বাংলার অধীনে শাসন করে। ১৭৬০ সালে ব্রিটিস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই এলাকা নিজেদের আয়ত্বে আনে। ১৮৬০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসাবে যুক্ত হয়। ব্রিটিশরা এই এলাকার নাম দেয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্ট্‌স বা পার্বত্য চট্টগ্রাম। এটি চট্টগ্রাম জেলার অংশ হিসাবে বাংলা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। ১৯৪৭ সালে এই এলাকা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি বাংলাদেশের জেলা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮০ এর দশকের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি জেলা - রাঙামাটি, বান্দরবান, ও খাগড়াছড়িতে বিভক্ত করা হয়। [১]

[সম্পাদনা করুন] অর্থনীতি

[সম্পাদনা করুন] চিত্তাকর্ষক স্থান

বান্দরবানের দূরত্ব ঢাকা থেকে ৮ ঘন্টা, চট্টগ্রাম থেকে ২ ঘন্টাএবং কক্সবাজার থেকে ৩ ঘন্টার পথ। রাঙ্গামাটি থেকে যেতে হলে ৬ ঘন্টার বাসভ্রমণ করতে হবে।

শৈলপ্রপাত
বড় করুন
শৈলপ্রপাত

শহর থেকে প্রায় ৪কিমি দূরে বালাঘাটায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মন্দির। এটি সম্পূর্ণরূপে দক্ষিণপশ্চিম এশিয়ার মন্দিরগুলোর অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ মুর্তিটি এখানে রয়েছে। মিলানছড়িতে অবস্থিত শৈলপ্রপাতটি ও একটি মনোমুগ্ধকর স্থান।

এখানে একটি বৌদ্ধমন্দির রয়েছে যা অধিবাসীদের কাছে কিয়াং নামে পরিচিত । এছাড়া শহরের মধ্যেই রয়েছে যাদিপাড়ার রাজবিহার এবং উজানীপাড়ার বিহার । শহর থেকে চিম্বুকের পথে যেতে পড়বে ব্যোম ও ম্রু দের গ্রাম। প্রান্তিক লেক, জীবননগর এবং কিয়াচলং লেক আরো কয়েকটি উল্লেখ্য পর্যটন স্থান। রয়েছ মেঘলা সাফারী পার্ক। সাঙ্গু নদীতে নৌকা ভ্রমণও ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য হতে পারে একটি মনোহর অভিজ্ঞতা।

[সম্পাদনা করুন] তথ্যসূত্র

  1. Chittagong Hill Tracts, বাংলাপিডিয়া হতে।

[সম্পাদনা করুন] আনুষঙ্গিক নিবন্ধ


বাংলাদেশের বিভাগ এবং জেলা বাংলাদেশের পতাকা
বরিশাল বিভাগ: বরগুনা | বরিশাল | ভোলা | ঝালকাঠি | পটুয়াখালী | পিরোজপুর
চট্টগ্রাম বিভাগ: বান্দরবান | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | চাঁদপুর | চট্টগ্রাম | কুমিল্লা | কক্সবাজার | ফেনী | খাগড়াছড়ি | লক্ষ্মীপুর | নোয়াখালী | রাঙামাটি
ঢাকা বিভাগ: ঢাকা | ফরিদপুর | গাজীপুর | গোপালগঞ্জ | জামালপুর | কিশোরগঞ্জ | মাদারীপুর | মানিকগঞ্জ | মুন্সিগঞ্জ | ময়মনসিংহ | নারায়ণগঞ্জ | নরসিংদী | নেত্রকোনা | রাজবাড়ী | শরিয়তপুর | শেরপুর | টাঙ্গাইল
খুলনা বিভাগ: বাগেরহাট | চুয়াডাঙ্গা | যশোর | ঝিনাইদহ | খুলনা | কুষ্টিয়া | মাগুরা | মেহেরপুর | নড়াইল | সাতক্ষীরা
রাজশাহী বিভাগ: বগুড়া | দিনাজপুর | গাইবান্ধা | জয়পুরহাট | কুড়িগ্রাম | লালমনিরহাট | নওগাঁ | নাটোর | নবাবগঞ্জ | নিলফামারী | পাবনা | পঞ্চগড় | রাজশাহী | রংপুর | সিরাজগঞ্জ | ঠাকুরগাঁও
সিলেট বিভাগ: হবিগঞ্জ | মৌলভীবাজার | সুনামগঞ্জ | সিলেট


এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন
অন্যান্য ভাষা